![]() জুলফিকার, আলীর তরবারির এই শৈল্পিক উপস্থাপন, আলাবীয় ও মূলধারার শিয়া মুসলমানদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক | |
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
২,৬৩০,০০০ (২০০২ সালের জরিপমতে)[১] | |
প্রতিষ্ঠাতা | |
ইবনে নুসায়ের[২] এবং আল-খাসিবী[৩] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
![]() | ৫০০,০০০[৪] |
![]() | ৫০০,০০০–১ মিলিয়ন[৫][৬] |
![]() | ১০০,০০০[৭][৮][৯] |
![]() | ৭০,০০০[১০][১১] |
গোলান মালভূমি | ৩,৯০০ (ইসরায়েলের নাগরিকত্বপ্রাপ্ত গাজারের বাসিন্দা) |
![]() | লেবাননীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয়দের ২%[১২] |
ভাষা | |
আরবি, তুর্কি |
![]() |
শিয়া ইসলাম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
![]() |
![]() |
আলবীয় (আরবি: علوية, প্রতিবর্ণীকৃত: Alawīyah) বা নুসায়েরী (نصيرية) হল শিয়া ইসলামের একটি শাখা।[১৪] আলবীয়রা আলী ইবনে আবী তালিবকে ভক্তি করে থাকে যাঁকে শিয়া চিন্তাধারায় প্রথম ইমাম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যে, ৯ম শতাব্দীতে ইবনে নুসায়ের এই মতবাদের প্রবর্তন করেন। ইবনে নুসায়ের ছিলেন দ্বাদশী শিয়াদের দশম ইমাম আলী আল-হাদী এবং একাদশ ইমাম হাসান আল-আসকারীর শিষ্য। এই কারণে আলবীয়দের প্রায়শই নুসায়েরী নামে অবিহিত করা হয়, যদিও এই নামটি আধুনিককালে অসম্মানজনক অর্থে ব্যবহার করা হয়। আরেকটি নাম আনসারী (انصارية) আলবীয়দের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা নুসায়েরী শব্দের ভুল লিপ্যন্তর বলে মনে করা হয়।
বর্তমানে সিরিয়ার জনসংখ্যার ১২% আলবীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। তুরস্ক ও উত্তর লেবাননে তারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু হিসেবে রয়েছে। অধিকৃত গোলান মালভূমির গাজার গ্রামেও আলবীয়দের বসতি রয়েছে। তুরস্কের শিয়া আলেভি সম্প্রদায় ও আলবীয়দের একই ধরে অনেকে ভুল করে থাকে। সিরীয় উপকূল এবং উপকূলবর্তী শহরে আলবীয়রা প্রধান ধর্মীয় গোষ্ঠী।
ঐতিহাসিকভাবে আলবীয়রা বহিরাগত ও অনালবীয়দের কাছ থেকে তাদের বিশ্বাস গোপন করে রাখত। ফলে তাদের সম্পর্কে গুজব রটে। আলবীয়দের সম্পর্কে আরবি বিবরণগুলোতে ভালো-মন্দ উভয় লিখিত রয়েছে।[১৫]
সিরিয়ায় ফরাসি মেন্ডেট আলবীয়দের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এর মাধ্যমে ফরাসিরা তাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সিরীয়দের নিয়োগ দিতে থাকে এবং সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা অঞ্চল গঠন করে যার মধ্যে আলবীয় রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলবীয় রাষ্ট্র পরে বিলুপ্ত করা হয়। তবে আলবীয়রা সিরীয় সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে থেকে যায়। ১৯৭০ সালে হাফিজ আল আসাদ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে সরকার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী আলবীয় আল-আসাদ পরিবার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করে। ১৯৭০ ও ১৯৮০-র দশকে সিরিয়ায় ইসলামি উত্থানের সময় সরকার চাপের মুখে পড়ে এবং সংঘাত সিরীয় গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত চলে আসে।