আলি করিমি

আলি করিমি
আলি করিমি ২০১৫ সালে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম মোহাম্মদ আলী কারিমি পাশাকি
জন্ম (1978-11-08) ৮ নভেম্বর ১৯৭৮ (বয়স ৪৬)
জন্ম স্থান Karaj, Iran
উচ্চতা 1.79 m[]
মাঠে অবস্থান Attacking midfielder / forward
যুব পর্যায়
1990–1991 Naft Tehran[][]
1991–1994 Saipa[]
1994–1996 Fath Tehran
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
1996–1998 Fath Tehran
1998–2001 Persepolis 42 (11)
2001–2005 Al-Ahli 69 (45)
2005–2007 Bayern Munich 33 (3)
2007–2008 Qatar SC 26 (5)
2008–2009 Al-Sailiya 0 (0)
2008–2009Persepolis (loan) 21 (5)
2009–2011 Steel Azin 40 (14)
2011 Schalke 04 1 (0)
2011–2013 Persepolis 40 (13)
2013–2014 Tractor Sazi 26 (5)
মোট 298 (101)
জাতীয় দল
1999 Iran U23 3[] (2)
1998–2012 Iran 127 (38)
পরিচালিত দল
2014 Iran (assistant)[]
2017 Naft Tehran
2018 Sepidrood
2018–2019 Sepidrood
অর্জন ও সম্মাননা
 ইরান-এর প্রতিনিধিত্বকারী
Asian Games
প্রথম স্থান 1998 Bangkok
AFC Asian Cup
তৃতীয় স্থান 2004 China
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

আলী কারিমি (ফার্সি: علی کریمی; জন্ম ৮ নভেম্বর ১৯৭৮) একজন ইরানি ফুটবল কোচ এবং অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়। তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের সময় তিনি ইরান প্রো লিগ, ইউএই প্রো লিগ, কাতার স্টারস লিগ এবং বুন্দেসলিগা- এর সাথে খেলেছেন। তিনি ইরান জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। তিনি জাতীয় দলে ১২৭ ম্যাচে ৩৮টি গোল করেন। ২০০৪ সালে তিনি চতুর্থ ইরানি খেলোয়াড় হিসেবে বছরের সেরা এশিয়ান ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩-১৪ মৌসুমের শেষে তিনি অবসরের ঘোষণা দেন এবং ১১ এপ্রিল ২০১৪ সালে তাঁর ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের শেষ খেলাটি খেলেন।

কারিমি এর পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু হয় ফাতেহ তেহরানের সাথে, যেখানে ১৮ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে প্রথম দলের হয়ে অভিষেক করেন। এরপর তিনি পেরসিপোলিসের সাথে তিনটি মৌসুম খেলেন।সে সময় ক্লাব দুইবার ইরানি লিগ এবং একবার হাযফি কাপ জয় করে। ২০০১ সালের জুলাইয়ে কারিমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রো লিগের ক্লাব আল-আহলি দুবাইয়ের সাথে দুই বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। আল-আহলির খেলোয়াড় থাকাবস্থায়, কারিমি দুই কাপ শিরোপা জিতেছেন, এবং ২০০৩-০৪ মৌসুমে একজন মিডফিল্ডার হিসেবে চিত্তাকর্ষক কীর্তিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ২০০৫ সালে ২৬ বছর বয়সে ক্লাবটি ত্যাগ করার পর কারিমি ইউরোপের বায়ার্ন মিউনিখের যাওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এই ক্লাবে ২০০৫-০৬ মৌসুমে বুন্দেসলিগা এবং ডিএফবি-পোকাল জয় করে পূর্ববর্তী সাফল্যের ধারা বজায় রাখেন। পরবর্তীকালে তিনি আবার সাবেক কোচ ফেলিক্স মাগাথ এর সাথে যোগ দেন এবং শলকে ০৪ এর হয়ে দ্বিতীয় জার্মান কাপ জেতেন। কারিমি তার ক্যারিয়ার শেষ করেন ইরানের পেরিসিপোলিস এবং ট্রাক্টর সাজি দিয়ে, এবং তার ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত মৌসুমে হাজফি কাপ জয় করেন।

কারিমি ১৮ বছর বয়সে ১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর ১৯৯৮ ইরান জাতীয় দল - এ আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক করেন। তিনি সর্বমোট ১২৭ ম্যাচ খেলেন, যেখানে তিনি এশিয়ান গেমস ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৪, এবং এশিয়ান কাপ ২০০৭ এবং ফিফা বিশ্বকাপ ২০০৬ সহ পাঁচটি প্রধান টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি তাঁর অন-বল দক্ষতার, ড্রিবলিং রান এবং প্লেমেকিং ক্ষমতার কারণে বিখ্যাত, এসব কারণে তাঁকে প্রায়ই এশিয়ান ম্যারাডোনা এবং জাদুকর হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাঁকে এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হিসেবে বিশ্বাস করা হয়, এবং প্রায়ই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ইরানি খেলোয়াড় হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "2006 FIFA World Cup Germany"। FIFA। ১০ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  2. "Tamashagar Vol. 23 pp 46–47" (পিডিএফ)। hamshahrimags.com। ৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. يک بازي بزرگ حداقل شايستگي سربازان فوتبال ايران (Persian ভাষায়)। Mardomsalari Newspaper। ২১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  4. "Ali Karimi's official website"। ১১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. Bobrowsky, Josef (১৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯)। "Dunhill Cup 1999 (Ho Chi Minh City, Vietnam)"RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ 
  6. "Karimi to Assist Queiroz"Financial Tribune। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৮