| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ২১ ডিসেম্বর ১৯৪৫ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ৮ এপ্রিল ১৯৪৬ | ||||||
হাব | বোলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | ||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম | ShebaMiles | ||||||
জোট | স্টার অ্যালায়েন্স | ||||||
বিমানবহরের আকার | ৭৭ | ||||||
গন্তব্য |
| ||||||
প্রধান কোম্পানি | Ethiopian Government (100%) | ||||||
প্রধান কার্যালয় | Bole International Airport, Addis Ababa, Ethiopia | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি |
| ||||||
আয় | ETB 33.815 billion(FY 2012) | ||||||
নিট আয় | ETB 1.049 billion(FY 2012) | ||||||
লাভ | ETB 2.031 billion(FY 2012)[১][২] | ||||||
=মোট সম্পদ | ETB 26.368 billion(FY 2012) | ||||||
মোট ইক্যুইটি | ETB 2.772 billion(FY 2012) | ||||||
ওয়েবসাইট | ethiopianairlines |
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স (আমহারীয়: የኢትዮጵያ አየር መንገድ; የኢትዮጵያ; পূর্বে যাকে ইথিওপিয়ান এয়ার লাইনস (ইএএল) নামে জানা যেত), যাকে প্রায়ই শুধু ইথিওপিয়ান নামেও জানা যায়, সেটা হল ইথিওপিয়ার একটি ফ্ল্যাগ ক্যরিয়ার যার মালিকানার ভাঁড় সম্পূর্ণ রূপে দেশের সরকার এর উপর। ইথিওপিয়ার রাজধানী ও প্রধান শহর আদ্দিস আবাবা তে অবস্থিত বোলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ভিত্তি করে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স তাদের বিমান পরিষেবা পরিচালনা করে। বোলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ তাদের সদর দফতর নিয়ে এই বিমান পরিবহন সংস্থা টি ৮২ টা যাত্রী গণ্তব্যস্থল এ তাদের পরিসেবা প্রদান করে যার মধ্যে ১৯ টা গার্হস্থ্য্য গণ্তব্যস্থল। অন্য কোন ক্যারিয়ার এর তুলনায় ইথিওপিয়ান অনেক বেশি আফ্রিকার গণ্তব্যস্থলে ওড়ে। এটি বিমান পরিসেবা শিল্পর মধ্যে একটি দ্রুততম বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোম্পানি এবং আফ্রিকান মহাদেশের বৃহত্তম বিমান পরিবহন সংস্থা গুলোর মধ্যে অন্যতম।[৩] এটি সাব সাহারান অঞ্চলের কয়েকটি লাভজনক এয়ারলাইন্সের মধ্যে একটি| এই বিমান সংস্থার পণ্যসম্ভার বিভাগ কে ২০১১ সালে দি আফ্রিকান কার্গো এয়ারলাইন অফ দি ইয়ার সম্মানে পুরস্কৃত করা হয়।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স অথবা ইথিওপিয়ান হল ইথিওপিয়ার প্রধান বিমান পরিবহন সংস্থা যার মালিকানা সম্পূর্ণ রূপে দেশের সরকারের। ই এ এল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে ২১ সে ডিসেম্বর এবং তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করে ১৯৪৬ সালের ৮ ই এপ্রিল। ১৯৫১ সালে তারা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিসেবাও শুরু করে দেয়| ১৯৬৫ সালে এই সংস্থা টি একটি শেয়ার কোম্পানি হয়ে যায় এবং এদের নাম ইথিওপিয়ান এয়ার লাইনস থেকে বদল করে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স করা হয়। এই সংস্থা টি ১৯৫৯ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্য হয়ে আছে এবং ১৯৬৮ সাল থেকে আফ্রিকান এয়ারলাইনস এসোসিয়েশন এর সদস্য| ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ইথিওপিয়ান, স্টার এলায়েন্স এর ও একটি সদস্য।
ইথিওপিয়ার স্বাধীনতার পর সম্রাট প্রথম হ্যালি সেলাসী দেশের আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের কাছে সাহায্য চান একটি বিমান পরিবহন সংস্থা স্থাপন করার জন্য। বিবিসি সংবাদ অনুযায়ী এটা সম্ভব যে সম্রাট, ইথিওপিয়ার দারিদ্র্যের ছাপ দূর করার জন্য একটি জাতীয় মানের বিমান পরিসেবা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। ১৯৪৫ সালে ইথিওপিয়ান সরকার, ট্রান্সকন্টিনেন্টাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এবং ওয়েস্টার্ন এয়ার এক্সপ্রেস (পরে একত্রিত হয়ে টি ডব্লিউ এ) এর সাথে আলোচনার শুরু করে। ১৯৪৫ সালে ৮ ই সেপ্টেম্বর, টি ডাব্লিউ এ, আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, জন এইচ. স্পেন্সর এর সাথে একটি চুক্তি সই করে ইথিওপিয়ার মধ্যে একটি বাণিজ্যিক বিমান পরিসেবা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
এই বিমান সংস্থা টি, মূলত রূপে ইথিওপিয়ান এয়ার লাইনস (ই এ এল), প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালের ২১ সে ডিসেম্বর। এটি প্রতিষ্ঠা করতে প্রাথমিক ভাবে ২.৫ মিলিয়ন ইটিবি বিনিয়োগ করা হয় যেটা ২৫,০০০ শেয়ার এর মধ্যে বিভক্ত করা হয় আর যার পুরো অংশটাই সরকার এর হাতে। কোম্পানি টার অর্থ প্রদান করেছিল ইথিওপিয়ান সরকার কিন্তু ইটা পরিচালনা করত টি ডাব্লিউ এ।
সেপ্টেম্বর, ২০১৪ অনুযায়ী এই বিমান সংস্থার যাত্রী নেটওয়ার্ক টি পরিসেবা প্রদান করে ৮৩ টা আন্তর্জাতিক গণ্তব্যস্থলে এবং ২০ টি গার্হস্থ্য্য গণ্তব্যস্থলে যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ৪৯ টা আফ্রিকার শহর, ১৩ টা ইউরোপ এবং আমেরিকার শহর এবং ২১ টি মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার শহর।[৪] এদের পণ্যসম্ভার নেটওয়ার্ক টি পরিসেবা প্রদান করে ২৪ টি গণ্তব্যস্থলে যার মধ্যে ১৫ টা আফ্রিকার, ৭ টা মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার এবং ২ টো ইউরোপের। এপ্রিল ২০১৩ হিসাবে, এই ক্যারিয়ার এর সব চেয়ে ব্যস্ত ৫ টা রুট হল আদ্দিস আবাবা - দুবাই, আদ্দিস আবাবা - জোহানেসবার্গ, আদ্দিস আবাবা - গুয়াংঝোতেও, আদ্দিস আবাবা - নাইরোবি, আদ্দিস আবাবা - বেইজিং।
জানুয়ারী ২০১৫ হিসাবে, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স এর বহর নিম্নলিখিত বিমান নিয়ে গঠিত:[৫]
যাত্রী বহর | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
এয়ারক্রাফট | পরিষেবায় | অর্ডার | অপসন | যাত্রী | নোট | ||
পি | ওয়াই | মোট সংখা | |||||
এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ | - | ১৪ | - | টি বি এ | এক্সপেকটেড ই আই এস: ২০১৬ | ||
বোয়িং ৭৩৭-৭০০ | ৮ | - | - | ১৬ | ১০২ | ১১৮ | - |
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ | ১১ | ৩ | - | ১৬ | ১৩৮ | ১৫৪ | |
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ | — | ২০ | ৫ | টি বি এ | |||
বোয়িং ৭৫৭-২০০ | ১ | — | — | ১৬ | ১৫৯ | ১৭৫ | |
২ | ১৫৫ | ১৭১ | |||||
১ | ১৫৯ | ১৭৫ | |||||
বোয়িং ৭৬৭-৩০০ই আর | ১ | — | — | 24 | ২০৮ | ২৩২ | |
১ | ২১০ | ২৩৪ | |||||
২ | ২১১ | ২৩৫ | |||||
১ | ২১৩ | ২৩৭ | |||||
২ | ২২১ | ২৪৫ | |||||
২ | ৩০ | ১৯০ | ২২০ | ||||
১ | ১৯৫ | ২২৫ | |||||
বোয়িং ৭৭৭-২০০এল আর | ৬ | ৩৪ | ২৮৭ | ৩২১ | |||
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ই আর | ২ | ২ | ৩৪ | ৩৬৫ | ৩৯৯ | ||
বোয়িং ৭৮৭-৮ | ১০ | ৩ | ২ | ২৪ | ২৪৬ | ২৭০ | |
বোম্বারডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ | ১৭ | - | - | ৭৮ | ৭৮ | ||
৭ | ৬৪ | ৭১ | |||||
পণ্যসম্ভার বহর | |||||||
বোয়িং ৭৩৭-৪০০এফ | ১ | —এন/এ | |||||
বোয়িং ৭৫৭-২০০পি সি এফ | ২ | ||||||
বোয়িং ৭৭৭এফ | ৪ | ২ | |||||
ম্যাক ডনেল ডগলাস এমডি-১১এফ | ২ | ||||||
মোট সংখা | ৭৭ | ৪৪ | ১৭ |
ক্লাউড নাইন এবং ইকোনমি ক্লাস হল সাধারণত দুটি ক্লাস যেটা বেশির ভাগ ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট এ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও সব ফ্লাইট এ এরা অন বোর্ড যাত্রীদের খাওয়ার এবং প্রশংসাসূচক পানীয় সেবা প্রদান করে।[৬]