ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম |
---|
ইব্রাহিমীয় ধর্ম |
অন্যান্য ধর্ম |
ইসলাম এবং... |
ইসলামে ধর্মত্যাগ (আরবি: ردة রিদ্দাহ বা ارتداد ইরতিদাদ) হল সাধারণত কথা বা কাজের মাধ্যমে কোন মুসলিমের দ্বারা ইসলামকে পরিত্যাগ করা।[১][২][৩] এতে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে অথবা পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল এমন কোন ব্যক্তির দ্বারা অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া অথবা ধর্মহীন হওয়ার জন্য ধর্মবিশ্বাসকে অস্বীকার করা অন্তর্ভুক্ত।[৪][৫] ইসলামে ধর্মত্যাগের সংজ্ঞা এবং কেন ও কীভাবে তার শাস্তি প্রদান করা উচিত তা একটি বিতর্কের বিষয় এবং এসকল প্রশ্নের ইসলামী পণ্ডিত গনের মতামত এর মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।[৫][৬][৭]
প্রাথমিক প্রাথমিক ইসলামী আইনের ফিকহী মতবাদ অনুসারে ইসলামে ধর্ম ত্যাগে শুধুমাত্র ইসলামী বিশ্বাসের বাহ্যিক অস্বীকৃতি অন্য ধর্ম গ্রহণ বা ধর্মহীন হয়ে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত নয় বরং অবিশ্বাস প্রয়োগকারী কোন কথা ও কাজের অন্তর্ভুক্ত যেমন ইসলামী আকীদা অস্বীকার করা।[৮] ইসলামী আইনবিদগণ বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার জন্য কোন সাধারণ নীতিমালা তৈরি করেননি এর পরিবর্তে অনেক সময় তারা কথা ও কাজের বিভিন্ন লম্বা তালিকা তৈরি করেছেন যেগুলো তাদের দৃষ্টিতে ধর্ম ত্যাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।[৮] ধর্মত্যাগে সে সকল ব্যক্তি আওতাভুক্ত নয় যাদেরকে বন্দী অবস্থায় বা ইসলামবিরোধী কাজ করার কারণে ইসলাম গ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়েছে বাজারা অনিচ্ছাকৃত ভাবে জোরপূর্বক বা যুদ্ধের সময় (তাকিয়া বা কিতমান) নির্যাতনের ভয়ে পরিচয় লুকাতে ইসলাম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে।[৯][১০]
উনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ সুন্নি ও শিয়া বলতেন যে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইসলাম হতে ধর্মত্যাগ হল একটি অপরাধ ও পাপ এবং একটি বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজ যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড,[৫][১১] যাতে সাধারণত ধর্মত্যাগীদের অনুতপ্ত হওয়া ও ইসলামে ফিরে আসার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেয়া হতো।[৫][১২][১৩][১৪] যে সকল ধর্মত্যাগ কে ইসলামী আইনবিদগণ সাধারণত শাস্তিযোগ্য বলে গণ্য করতেন সেগুলো ছিল রাজনৈতিক প্রকারের, যদিও এ বিষয়ে মতামত উল্লেখযোগ্য আইনগত পার্থক্য ছিল।[১৫] ওয়ায়েল হাল্লাক বলেন যে "ধর্ম ধর্মীয় মূলনীতি ও ধর্মীয় নৈতিকতা কেন্দ্রিক এমন একটি সংস্কৃতিতে ধর্ম ত্যাগ হলো কিছু ক্ষেত্রে আধুনিক জাতি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল্য"।[১৬] প্রাথমিক ইসলামী আইন বিদ গণ এই কঠোর শাস্তি কে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য আইনি বিধান তৈরি করেছিলেন এবং ধর্মত্যাগের মাপকাঠি এত উঁচু ছিল যে ১১ শতাব্দী আগে বাস্তবে ধর্মত্যাগের কোন রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।[১৭] তবে, পরবর্তী আইনবিদগণ মৃত্যুদণ্ড হওয়ার জন্য শর্তের সীমা কমিয়ে আনে এবং বিচারকদের বিভিন্ন পন্থায় ধর্মত্যাগের আইন ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়,[১৭] যা তারা কখনো করতেন শিথিলভাবে এবং কখনো কঠোরভাবে।[১৮] উনিশ শতকের শেষের দিকে ধর্মত্যাগের অপরাধের শাস্তির অপব্যবহার শুরু হয়, যদিও বেসামরিক শাস্তিগুলো তখনো প্রয়োগ হতো।[৫]
আব্দুর রশিদ ওমর এর মতে, অধিকাংশ আধুনিক ইসলামী আইনবিদ ধর্ম তাকে মৃত্যুদণ্ড যোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা জারি রেখেছেন।[১২] কিছু আইনবিদ ইসলামে ধর্ম ত্যাগ কে ধর্মীয় অপরাধের একটি প্রকরণ বলে গণ্য করেন যদিও বাকিরা তা করেন না।[৫][৬][১৯] বাকিরা দাবি করেন যে মৃত্যুদণ্ড কোন সঠিক শাস্তি নয়,[২০][২১][২২][২৩] এবং এটি কোরআনের বিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ যেমন ৮৮ নম্বর সূরা ২১ ও ২২ তম আয়াত[২৪] বা ধর্মের ক্ষেত্রে কোন জোর জবরদস্তি নেই[২৫] এবং অথবা প্রাথমিক ইসলামী সমাজে প্রযুক্ত একটি মানবসৃষ্ট আইন বা নিয়ম যার উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণা বা বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল্য কার্যক্রমে শাস্তি দেওয়া বা সেগুলো প্রতিরোধ করা,[২৬] এবং এগুলো একমাত্র তখনই প্রয়োগ করা উচিত যদি ধর্ম ত্যাগ জনসম্মুখে অবাধ্যতা ও সমস্যা সৃষ্টির (ফিতনা) একটি কৌশলে পরিণত হয়।[২৭] খালেদ আবু আল-ফাজাল এর মতে, মধ্যমপন্থী মুসলিমগণ বিশ্বাস করে না যে ধর্মত্যাগের জন্য শাস্তি প্রয়োজন।[২৪] সমালোচকগণ[২৮][২৯] দাবি করেন যে ইসলামে ধর্মত্যাগের জন্য মৃত্যুদণ্ড বা অন্যান্য শাস্তি সমূহ।একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ধর্মীয় ও চিন্তার স্বাধীনতার একটি বিষয়।[২০][৩০]
২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], বিশ্বের ১২ টি দেশে ইসলাম ত্যাগের জন্য মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়,[৩১] যেখানে আরও ১৩টি দেশে ধর্মত্যাগ অবৈধ ও সরকার ধর্মত্যাগের জন্য কিছু শাস্তি দেয়, এগুলো হলঃ নির্যাতন, কারাবন্দী করা, বিয়ে বাতিল করা, সম্পত্তির উত্তরাধিকার বা অভিভাবকত্বের অধিকার বাতিল করা।[৩২] মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ধর্মত্যাগীদের জন্য (আরবি: مرتد মুরতাদ্দ) ফাঁসি, কারাদণ্ড থেকে শুরু করে বিনা শাস্তির বিধান পর্যন্ত চালু রয়েছে।[৩৩][৩৪] কিছু দেশের শরিয়া আদালত মুসলিম ধর্মত্যাগীদের বিয়ে বাতিল, সন্তানের অভিভাবকত্ব বাতিল এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার বাতিলের জন্য দেওয়ানি আইন (ইংরেজি: Civil law, রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সাধারণ আইন) ব্যবহার করে।[৩৫] ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনটি সরকার চার ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছেঃ "১৯৮৫তে সুদানে একজন, ১৯৮৯ ও১৯৯৮-তে ইরানে ২ জন এবং ১৯৯২তে সৌদি আরবে ১ জন।"[২৫] ২৩টি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ, ২০১৩-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], তাদের ফৌজদারি বা অপরাধমূলক আইনে ইসলাম ত্যাগকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।[৩৬] ২০১৪-এর তিউনিশিয়ার সংবিধানে ধর্মত্যাগের ভিত্তিতে হামলা হতে নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩৭] পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি জরিপে, মুসলিমদের ধর্মত্যাগের জন্য মৃত্যুদণ্ডে জনসমর্থন আফগানিস্তানে ৭৮% থেকে শুরু করে কাজাখস্তানে ১% পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
Whereas apostate (murtad) is the person who commits apostasy ('rtidad), that is the conscious abandonment of allegiance or ... renunciation of a religious faith or abandonment of a previous loyalty.
By the murtadd or apostate is understood as the Moslem by birth or by conversion, who renounces his religion, irrespective of whether or not he subsequently embraces another faith
Muslims who were forced to choose between recanting Islam or suffering persecution were, and still are, permitted to lie by feigning apostasy
There is a long-running debate in Islam over whether apostasy is a crime. Some liberal scholars hold the view that it is not (...), Others say apostasy is (...). The latter is the dominant view in conservative Muslim states such as Sudan, Saudi Arabia and Pakistan (...).
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; dforte2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; smz
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; fkazemi
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; ELLIOTT-3-26-2006
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি