এম. স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম

স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম
জন্ম
মাইকেল স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম

১৯৪১ (বয়স ৮২–৮৩)
শিক্ষানিউ কলেজ, অক্সফোর্ড (BA, MA, DPhil)
পরিচিতির কারণলিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি
পুরস্কাররসায়নে নোবেল পুরস্কার (2019)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্ররসায়নবিদ
প্রতিষ্ঠানসমূহবিংহামটন ইউনিভার্সিটি

এম. স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম হলেন একজন ব্রিটিশ-মার্কিন রসায়নবিদ। তিনি বর্তমানে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক-এর অধীন বিংহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদান বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শিক্ষাক্রমের পরিচালক ও রসায়নশাস্ত্রের অধ্যাপক। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করায় তিনি ২০১৯ সালে রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[][]

শিক্ষা ও কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

হুইটিংহ্যাম যুক্তরাজ্যের লিংকনশায়ারের স্ট্যামফোর্ড বিদ্যালয়ে ১৯৫১-১৯৬০ সাল পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে তিমি রসায়ন বিষয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হন অক্সফোর্ডের ] নিউ কলেজে। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে বি.এ, ১৯৬৭ ডালে এম.এ এবং ১৯৬৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[] তিনি তার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে যোগ দেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখানে তিনি ১৯৭২ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এক্সন রিসার্চ ও প্রকৌশল কোম্পানিতে ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। পরবর্তী চার বছর তিনি বিংহামটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হতে অগ্রাধিকার পাওয়ার জন্য স্কুলুমবার্গারে কাজ করেন।[]

পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তিনি একই ভার্সিটিতে ভাইস-প্রভোস্ট হিসেবে গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ৬ বছর স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের গবেষণা ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিংহামটন ইউনিভার্সিটির রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

গবেষণা ও পুরস্কার

[সম্পাদনা]

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ইতিহাসে এর উন্নয়ন ও আন্তঃক্যালাসিতকরণ আবিষ্কার নিয়ে কাজ করা প্রধান ব্যক্তিদের অন্যতম হলেন হুইটিংহ্যাম। এক্সন (Exxon) ১৯৭০ এর দশকে হুইটিংহ্যামের রিচার্জেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্রস্তুত করেন। যেটি ছিলো মূলত টাইটানিয়াম ডাইসালফাইড ক্যাথোড ও লিথিয়াম অ্যানোড দ্বারা তৈরিকৃত ব্যাটারী। যাইহোক, এই রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহারিক কাজে ব্যবহারের জন্য কখনোই তৈরি করা হয় নি।

মলিবডেনাম ডাইসালফাইড দ্বারা তৈরি ব্যাটারিও প্রায় একই ধাঁচের, কিন্তু এটির স্থায়িত্ব, বৃষ্টিপ্রতিরোধী হওয়ায় ভিন্নতা বিদ্যমান। তিনি ১৯৭১ সালে দি ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল সোসাইটি কর্তৃক নরম্যান হ্যাকারম্যান ইয়ং অথার অ্যাওয়ার্ড[] এবং ২০০৪ সালে ব্যাটারি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। Battery Research Award in 2004[] এছাড়াও তিনি ২০০৬ সালে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি নিয়ে অবদান রাখার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি ২০১০ সালে গ্রীনটেক মিডিয়া কর্তৃক সেরা ৪০ উদ্ভাবনকারীর তালিকায় স্থান পান। ২০১২ সালে হুইটিংহ্যাম লিথিয়াম ব্যাটারিতে অবদান রাখার জন্য আজীবন আইবিএ ইগার অ্যাওয়ার্ড সম্মাননায় ভূষিত হন এবং ২০১৩ সালে মেটেরিয়াল রিসার্চ সোসাইটির ফেলো (সভ্য) হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নকল্পে কাজ করায় জন বি. গুডএনাফআকিরা ইয়োশিনোর সাথে রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[][]

উল্লেখযোগ্য কর্ম

[সম্পাদনা]
  • 5,514,490 নতুন স্তর ব্যবহারের মাধ্যমে গৌণ লিথিয়াম ব্যাটারির অ্যানোড উদ্ভাবন
  • 4,339,424 W ও Mo ধাতুর অক্সাইড তৈরির পদ্ধতি প্রস্তুতি
  • 4,243,624 অ্যামোনিয়াম ও সামুদ্রিক লবণ উৎপন্নকারী যৌগ থেকে ক্যাথোড তৈরির পদ্ধতি
  • 4,233,375 উচ্চ শক্তিসম্পন্ন ও ঘনত্ববিশিষ্ট চ্যালকোজেন এর কোষ তৈরি
  • 4,201,839 তড়িৎকোষের ক্ষার ধাতির অ্যানোড, কঠিন ক্যাথোড ও ইলেক্ট্রোলাইট
  • 4,166,160 অ্যামোনিয়াম-মলিবডেনাম ও চ্যালকোজেন যৌগ থেকে কোষের ক্যাথোড উদ্ভাবন পদ্ধতি
  • 4,144,384 ভ্যানাডিয়াম ও চ্যালকোজেন যৌগ থেকে কোষের ক্যাথোড উদ্ভাবন পদ্ধতি ইত্যাদি

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Nobel Prize in Chemistry Announcement"। The Nobel Prize। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৯ 
  2. Specia, Megan (৯ অক্টোবর ২০১৯)। "Nobel Prize in Chemistry Honors Work on Lithium-Ion Batteries - John B. Goodenough, M. Stanley Whittingham and Akira Yoshino were recognized for research that has "laid the foundation of a wireless, fossil fuel-free society.""The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. "Dr. M. Stanley Whittingham"Binghamton University। ২০১৯-০৮-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২ 
  4. "Norman Hackerman Young Author Award"The Electrochemical Society। ২০১৯-০৮-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২ 
  5. "Battery Division Research Award"। The Electrochemical Society। ২০১৯-০৮-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]