ওল্ডবয় Oldboy | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||
পরিচালক | পার্ক ছান-উক | ||||||||
প্রযোজক | লিম স্যুং-ইয়ং | ||||||||
চিত্রনাট্যকার |
| ||||||||
উৎস | গারোন সুছিয়ে ও নোবুয়াকি মিনেগিশি কর্তৃক ওল্ড বয় | ||||||||
শ্রেষ্ঠাংশে |
| ||||||||
সুরকার | চো ইয়ং-উক | ||||||||
চিত্রগ্রাহক | চং চং-হুন | ||||||||
সম্পাদক | কিম সাং-বম | ||||||||
প্রযোজনা কোম্পানি | শো ইস্ট | ||||||||
পরিবেশক |
| ||||||||
মুক্তি |
| ||||||||
স্থিতিকাল | ১২০ মিনিট[১] | ||||||||
দেশ | দক্ষিণ কোরিয়া | ||||||||
ভাষা | কোরীয় ভাষা | ||||||||
নির্মাণব্যয় | $৩ মিলিয়ন[২] | ||||||||
আয় | $১৫ মিলিয়ন[৩] |
ওল্ডবয় (কোরীয়: 올드보이; আরআর: Oldeuboi; এমআর: Oldŭboi) ২০০৩ সালের একটি দক্ষিণ কোরিয়ান নব্য-নোয়ার মারপিটধর্মী রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র[৪][৫] যা পার্ক ছান-উক কর্তৃক পরিচালিত ও সহ-রচিত। চলচ্চিত্রটি একই নামের জাপানি মাঙ্গার একটি আংশিক অভিযোজন। এতে ওহ তে-সু (ছোয়ে মিন-সিক) এর গল্প বলা হয়েছে, যিনি হোটেলের মতো দেখতে একটি কক্ষে ১৫ বছর ধরে বন্দী রয়েছেন, কিন্তু তার বন্দীর উদ্দেশ্য তিনি জানেন না। মুক্তির পরও তিনি ষড়যন্ত্র ও সহিংসতার জটিল চক্র থেকে মুক্তি পান না। প্রতিশোধের উপায় খুঁজতে গিয়ে তিনি এক আকর্ষণীয় তরুণী সুশি শেফ মি-দোর (কাং হিয়ে-জং) প্রেমে পড়েন।
চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যান্ড প্রিক্স পুরস্কার লাভ করে এবং জুরির সভাপতি ও পরিচালক কোয়েন্টিন টারান্টিনোর কাছ থেকে উচ্চ প্রশংসা লাভ করে। চলচ্চিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। চলচ্চিত্র সমালোচক রজার এবার্ট বলেন "ওল্ডবয় এর কাহিনির জন্য নয়, বরং মানুষের হৃদয়ের গভীরতা উন্মোচনের কারণে একটি শক্তিশালী চলচ্চিত্র"। [৬] এটি তার অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলির জন্যও প্রশংসা পেয়েছে, বিশেষ করে একক দৃশ্যে ধারণকৃত মারামারির সিকোয়েন্স।[৭] এটি সর্বকালের অন্যতম সেরা নিও-নোয়ার চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বেশ কয়েকটি প্রকাশনায একে ২০০০-এর দশকের সেরা চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে তালিকাভুক্ত করে।[৮] চলচ্চিত্রটি দুইবার পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে, ২০০৬ সালের একটি অননুমোদিত হিন্দি চলচ্চিত্র এবং ২০১৩ সালের একটি মার্কিন চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পার্ক ছান-উকের প্রতিশোধ ট্রিলজির দ্বিতীয় চলচ্চিত্র; পূর্বেরটি ছিলো মিস্টার ভেনজেন্স এর জন্য সহানুভূতি (২০০২) এবং পরের চলচ্চিত্র লেডি ভেনজেন্স (২০০৫)।
মেয়ের জন্মদিনে হো তে-সু মাতাল অবস্থায় গ্রেফতার হয়। তার বন্ধু নো চু-হোয়ান তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে। এক ফোনবুথ থেকে বাড়িতে কথা বলার সময় তে-সু গুম হয়ে যায়। ১৫ বছর তাকে একটি কক্ষে আটক রাখা হয়। একদিন সে হঠাৎ করেই ছাড়া পায় এবং সাথে পায় পড়নের পোশাক, টাকা ও একটি মোবাইল ফোন। একজন জাপানি শেফ মিদোর সাথে তার সাক্ষাৎ হয় এবং তাদের মধ্যে পরিণয় গড়ে ওঠে। তে-সু তার দীর্ঘ বন্দিজীবনের রহস্য উদ্ধার ও তার বন্দীকারীর উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অতীতের ভয়াবহ গোপন তথ্যের সন্ধান পায়।