সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
![]() |
![]() ![]() |
কলন্দরিয়া তরিকা (আরবি: قلندرية), কলন্দর বা ক্যালান্দারি হলেন একধরনের ঘুরে বেড়ানো সুফি দরবেশ। কলন্দরদের লেখাগুলি কেবল উচ্ছৃঙ্খলতার উদযাপন নয়, বরং বৈষম্যবাদী বিশ্বাসের প্রতিফলন।
প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১১শ শতাব্দীর গদ্যগ্রন্থ কলন্দরনামা (কলন্দরদের কাহিনী) তে, যা আনসারি হরাওয়ীর নামে প্রচলিত। "কলন্দরিয়া" শব্দটি প্রথম সানাই গজনভির দ্বারা প্রয়োগ করা হয় বলে ধারণা করা হয়, যেখানে তাঁর কবিতায় বিভিন্ন অনুশীলনের বর্ণনা পাওয়া যায়। কলন্দর ধারার কবিতায় সাধারণত যেসব বিষয় উঠে আসে তা হলো জুয়া খেলা, খেলা-ধুলা, নেশা গ্রহণ, ধর্মীয় সমন্বয়বাদ, উচ্ছৃঙ্খলতা, সমাজবিরোধিতা, সামাজিক নিয়ম লঙ্ঘন এবং নাজার ইলা'ল-মুর্দ (যুবকদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া)। এসব কর্মকাণ্ডকে প্রথাগত মুসলমানরা সাধারণত কুফরি বা কুফর এবং খুরাফাত বলে থাকে।
এই আদেশ বা তরিকা প্রায়শই ইসলামী কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরে পড়ত।
কলন্দরিয়া একটি প্রথাবহির্ভূত সুফি তরিকা, যা মধ্যযুগীয় আল-আন্দালুসে উদ্ভব হয়েছিল। এটি আলমোহাদ খিলাফতের রাষ্ট্র-সমর্থিত জাহিরিবাদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে গড়ে ওঠে।[১][২]
আল-আন্দালুস থেকে কলন্দরিয়া দ্রুত উত্তর আফ্রিকা, লেভান্ত, আরব, বৃহত্তর ইরান, এশিয়া মাইনর, মধ্য এশিয়া এবং পাকিস্তানে ছড়িয়ে পড়ে।[৩][৪] ১২শ শতাব্দীর শুরুতে এই আন্দোলন বৃহত্তর খোরাসান এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় জনপ্রিয়তা লাভ করে।[৫]
কলন্দরিয়া সম্ভবত পূর্ববর্তী মালামতিয়া থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কিছু বৌদ্ধ ও হিন্দু প্রভাব প্রদর্শন করেছিল। মালামতিয়া মাদকদ্রব্য ব্যবহারের নিন্দা করত এবং কেবল কম্বল বা হিপ-লেংথের চুলের পোশাক পরত।[৬] কলন্দরিয়া বাংলার হজরত পাণ্ডুয়া এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে একাধিক কলন্দর ব্যক্তিত্বের প্রচেষ্টায় ছড়িয়ে পড়ে।[৭][৮]
পাকিস্তানে কলন্দরি গানে সাধারণত কাওয়ালির ধাঁচ এবং স্থানীয় বিভিন্ন লোকশিল্প, যেমন ভাংরা এবং তীব্র নাকারা বা ঢোল বাজনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।[৯]
The Qalandariyya seem to have arisen from the earlier Malamatiyya in Central Asia and exhibited Buddhist and perhaps Hindu influences.
The Qalandariyya seem to have arisen from the earlier Malamatiyya in Central Asia and exhibited Buddhist and perhaps Hindu influences.