খলিফা হাফতার | |
---|---|
خليفة حفتر | |
লিবীয় সেনাবাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২ মার্চ, ২০১৫ | |
রাষ্ট্রপতি | Aguila Saleh Issa (acting) Mohamed al-Menfi |
প্রধানমন্ত্রী | Abdullah al-Thani Abdul Hamid Dbeibeh[ক] |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | খলিফা বিলকাসিম হাফতার ৭ নভেম্বর ১৯৪৩[১] |
নাগরিকত্ব | লিবিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
সন্তান | 6, including Saddam |
পুরস্কার | Red diploma (high honours) – M.V. Frunze Military Academy |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য |
|
শাখা | লিবীয় সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৬৬–১৯৮৭; ২০১১–বর্তমান |
পদ | ফিল্ড মার্শাল[২] |
কমান্ড | লিবীয় সেনাবাহিনী |
যুদ্ধ |
|
খলিফা বিল-কাসিম হাফতার ( আরবি: خليفة بلقاسم حفتر, প্রতিবর্ণীকৃত: Ḵalīfa Bilqāsim Ḥaftar; জন্ম : ৭ নভেম্বর, ১৯৪৩ ) হলেন একজন লিবীয় রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা ও তাব্রুক-ভিত্তিক লিবিয়ার জাতীয় সেনাবাহিনীর (এলএনএ) কমান্ডার।[৩] ২ মার্চ, ২০১৫ সালে তিনি নির্বাচিত আইনসভা লিবিয়ান হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে'র অনুগত সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার নিযুক্ত হন।[৪]
তিনি লিবিয়ার তারহুনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুয়াম্মার গাদ্দাফির অধীনে লিবিয়ার সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে গাদ্দাফিকে ক্ষমতায় আনার অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লিবীয় বাহিনীতে দলে অংশ নেন এবং[৫] ১৯৮৭ সালে চাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় তিনি একজন যুদ্ধবন্দী হন, যখন এটি গাদ্দাফির জন্য একটি বড় বিব্রতকর ঘটনা ছিল। এটিই চাদে গাদ্দাফির উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য একটি বড় আঘাতের প্রতিনিধিত্ব করে। বন্দী অবস্থায় তিনি তার সহযোগী অফিসারদের সাথে গাদ্দাফিকে উৎখাতের আশায় একটি দল গঠন করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে একটি চুক্তিতে ১৯৯০ সালের দিকে মুক্তি পান এবং ভার্জিনিয়ার ল্যাংলিতে প্রায় দুই দশক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন।[৬] ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করার সময় তিনি লিবিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধের দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন।
হাফতার প্রথম লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ২০১১ সালে গাদ্দাফিকে উৎখাতকারী বাহিনীতে একটি সিনিয়র পদে ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি লিবীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন, যখন জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেস (GNC) তার অফিসের মেয়াদ অনুসারে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে অস্বীকার করেছিল। হাফতার জিএনসি ও তার ইসলামী মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। তার প্রচারণার ফলেই জিএনসি নির্বাচনের অনুমতি দেয়; কিন্তু তারপর লিবিয়ার দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ২০১৭ সালে দের্না সিটি কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রামযি আল-শায়েরি ও আইনজীবী রায়ান গুডম্যান, অ্যালেক্স হোয়াইটিং হাফতারকে দেরনা পুনরুদ্ধারের সময় যুদ্ধ বন্দীদের হত্যার আদেশ দেওয়ার জন্য যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।[৭][৮]
তাকে লিবিয়ার সবচে' শক্তিশালী যোদ্ধা হিসাবে বর্ণনা করা হয়। তিনি লিবীয় সংঘাতে প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক অভিজ্ঞতার জন্য খ্যাত।[৯][১০]
যদিও হাফতার একজন ইসলামবিরোধী হিসেবে[১১][১২][১৩][১৪] পরিচিত হলেও তার মিত্রদের মধ্যে সালাফি মাদখালি মিলিশিয়া রয়েছে।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে খলিফা হাফতার ২০০১ সালের ডিসেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেছিলেন।[১৫]
স্থানীয় আরবি ছাড়াও হাফতার ইংরেজি, ইতালীয় ও রুশ ভাষায় কথা বলতে পারে এবং ফরাসি ভাষাতেও দক্ষ।[১৬] তিনি দ্বৈত লিবীয়-মার্কিন নাগরিক।[৭][১৭] পরবর্তী লিবিয়ার নির্বাচনের আগে তিনি তার মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হয়।[১৮]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)