গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডি | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী |
প্রযোজক | জয়ন্তীলাল গদা সঞ্জয় লীলা ভন্সালী |
চিত্রনাট্যকার | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী উৎকর্ষিণী বশিষ্ঠ |
কাহিনিকার | হুসাইন জাইদি |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সঞ্চিত বালহারা ও অঙ্কিত বালহারা |
চিত্রগ্রাহক | সুদীপ চ্যাটার্জি |
সম্পাদক | সঞ্জয় লীলা ভন্সালী |
প্রযোজনা কোম্পানি | ভন্সালী প্রডাকশন্স পেন স্টুডিওজ |
পরিবেশক | পেন মারুধর এন্টারটেইনমেন্ট |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৪ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ₹১০০ কোটি[২][৩] |
আয় | প্রা. ₹২০৯.৭৭ কোটি[৪] |
গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডি হলো সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত এবং ভন্সালী ও জয়নীলাল গদা প্রযোজিত ২০২২ সালের ভারতীয় হিন্দি-ভাষার জীবনীমূলক অপরাধ নাটক চলচ্চিত্র। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট, এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্তনু মহেশ্বরী, বিজয় রাজ, ইন্দিরা তিওয়ারি, সীমা পাহওয়া, বরুণ কাপুর এবং জিম সর্ব। অজয় দেবগন ক্ষণিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রটি গঙ্গুবাই কোঠেওয়ালি সম্পর্কে, যার জীবনী এস. হুসেন জাইদির লেখা মাফিয়া কুইন্স অফ মুম্বাই বইয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি কাঠিয়াওয়াডের একজন সাধারণ মেয়ের উত্থান চিত্রিত হয়েছে, যার জীবন নিয়তির হাতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না।[৫][৬][৭][৮] গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডির প্রিমিয়ার হয় ২০২২ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ৭২তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ২০২২ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডি এর বিষয়বস্তু, নির্দেশনা, নির্মাণ এবং আলিয়া ভাটের অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর চলচ্চিত্রকারের ঘরোয়া বক্স অফিসে ₹ ১৫৩.৬৯ কোটি এবং বিশ্বব্যাপী ₹২০৯.৭৭ কোটি আয় করে একটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।[৯] অসংখ্য প্রকাশনা ২০২২ সালের বিভিন্ন বছরের শেষের সেরা চলচ্চিত্র এবং অভিনয়ের তালিকায় ছবিতে গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডি এবং আলিয়া ভাটের অভিনয় তালিকাভুক্ত করেছে। ৬৮ তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে, চলচ্চিত্রটি আসরের সর্বাধিক ১৫টি মনোনয়ন লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক এবং ভাটের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীসহ সর্বাধিক ১০টি পুরস্কার অর্জন করে।[১০]
১৯৪৪ সালে কাথিয়াওয়াড়ের ধনী গুজরাটি হিন্দু ব্যারিস্টার জগজীবনদাস কাথিয়াওয়াড়ির ১৬ বছরের মেয়ে গঙ্গা নিজের প্রেমিক রমণিক লালের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বলিউডে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়ার নাম করে রমণিক গঙ্গাকে ১০০০ টাকার বিনিময়ে বোম্বাই শহরের কামাঠিপুরা নামক যৌনপল্লীতে অবস্থিত শীলা নাম্নী এক মহিলার পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। সেখানে তাকে বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয় ও গঙ্গু হিসেবে তার নতুন নাম রাখা হয়। বেশ্যাদের সপ্তাহে একদিন স্বেচ্ছায় অবসর পালন করার ডাক দিয়ে গঙ্গু পতিতাদের শ্রম অধিকার সম্পর্কে অবগত করে। একদিন শওকত নামে এক বিকৃত মানসিকতার স্থানীয় গুণ্ডা গঙ্গুকে এমন বেধড়ক মারধর করে যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ন্যায়ের দাবিতে গঙ্গু শওকতের মনিব, দক্ষিণ বোম্বাইয়ের নীতিপরায়ণ দুষ্কৃতী-সর্দার রহিম লালার শরণাপন্ন হয়। গঙ্গুর আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ রহিম তাকে নিজের পাতানো বোন হিসেবে স্বীকার করে, ও শওকত পুনরায় গঙ্গুর খোঁজে এলে তাকে সেখানেই পিটিয়ে আধমরা করে দেয়, যার ফলে পতিতালয়ের অন্যান্য পতিতাদের মধ্যে গঙ্গু সম্মানিত হয়। যৌনবৃত্তিতে ঢোকার ৯ বছর পর গঙ্গু শীলার মৃত্যুর পর তার পতিতালয়ের নতুন মালিক রূপে অন্যান্য পতিতাদের দ্বারা নির্বাচিত হয়। এই সময় থেকে সে গঙ্গুবাই নামে পরিচিতা হয় ও দাপটের সঙ্গে কামাঠিপুরাতে অবস্থান করতে থাকে।
১৯৫৬ সালে রত্নগিরি থেকে মধু নাম্নী এক ১৪ বছরের তরুণীকে কামাঠিপুরায় অবস্থিত রশ্মিবাইয়ের পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বহু উৎপীড়ন সত্ত্বেও মধুকে পতিতাবৃত্তিতে নামাতে অপারগ রশ্মিবাই অবশেষে গঙ্গুবাইকে ডেকে পাঠায়। গঙ্গুবাই মধুকে পতিতাবৃত্তিতে নামতে রাজি করানোর জন্য নিজের কাহিনি শোনায় এবং এও জানায় যে দেহব্যবসা থেকে মুক্তি পেয়ে যারা নিজেদের বাড়ি ফেরত চলে যেত, সেইসব মহিলাদেরকে তাদের আপনজনেরাই পরিবারের সম্মান বাঁচানোর নামে মেরে ফেলত। তাসত্ত্বেও মধু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে রশ্মিবাইয়ের প্রতিবাদ সত্ত্বেও গঙ্গুবাই মধুকে পতিতালয় থেকে বের করে নিরাপদ বাড়ি ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
কামাঠিপুরার সভানেত্রী নির্বাচনে গঙ্গুবাই প্রার্থী হিসেবে বিগত দুবছর বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিতে আসা রাজ়িয়াবাই নামক এক ক্রূর হিজড়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। রশ্মিবাইয়ের বেশ্যালয় থেকে মধুকে উদ্ধার করে তাকে ফেরত পাঠানোর মহৎকর্মকে সে রাজ়িয়াবাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচার হিসেবে ব্যবহার করে। নির্বাচনের জন্য টাকা জোগাড় ও তার অধীন পতিতাদের জীবযাপনের মানের উন্নতি করতে গঙ্গুবাই রহিম লালার সাহায্যে নিজের পতিতালয় থেকে অবৈধভাবে মদ বিক্রির ব্যবস্থা করে। রাজ়িয়াবাই একথা জানতে পেরে গঙ্গুবাইকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার করানোর চেষ্টা করে, কিন্তু গঙ্গুবাই স্থানীয় ইন্সপেক্টরকে ঘুষ খাইয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গঙ্গুবাই তার এক খদ্দেরের সাহায্যে কামাঠিপুরাতে বিনামূল্যে সিনেমা সম্প্রচার করে রাজ়িয়াবাইয়ের সমর্থকদের আকৃষ্ট করে। গঙ্গুবাইয়ের প্রচেষ্টাসমূহের উদ্দেশ্যে ঠাট্টা করে রাজ়িয়াবাই বলে যে তাকে পরাজিত করা পতিতালয়ে বরযাত্রী আনার মতই অসম্ভব। তখন গঙ্গুবাই মোটা পরিমাণ যৌতুক দিয়ে ধূমধাম করে কুসুম নাম্নী তার অধীন পতিতার কুমারী মেয়ে রোশনির (যাকে আফিং খাইয়ে খাঁচায় আটকে রেখে তার মা তাকে তার খদ্দেরদের কুনজর থেকে দূরে সরিয়ে রেখে তার পতিতাবৃত্তিতে ঢোকা আটকানোর চেষ্টা করছিল) সঙ্গে আফসান রাজ্জাক নামক এক মুসলমান দর্জির সঙ্গে (যার প্রতি গঙ্গুবাই নিজে প্রেমাসক্ত হয়ে পড়েছিল) বিয়ের বন্দোবস্ত করে। এর ফলে গঙ্গুবাই নির্বাচন জিতে যায়। কামাঠিপুরার নতুন সভানেত্রী রূপে গঙ্গুবাই পতিতাদের মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনা গড়ে তুলতে শুরু করে। এইসময় গঙ্গুবাই তার বাড়িতে টেলিফোন করার সুযোগ পেয়ে জানতে পারে যে তার বাবা মারা গেছে ও দীর্ঘ ১২ বছর পরেও তার মা বাড়ি পালিয়ে যাবার জন্য তাকে ক্ষমা করেনি।
আনন্দময় পরিবেশ ও গরবা নৃত্য সহযোগে নবরাত্রি পালন ও মহানবমীর পবিত্র দিনে সমগ্র যৌনপল্লীতে ছুটি পালন করানোর পর গঙ্গুবাই রহিম লালা মারফত জানতে পারে যে রোমান ক্যাথলিক চার্চ কর্তৃক পরিচালিত এক স্থানীয় বালিকা-বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের উপর পতিতাদের কুপ্রভাবের আশঙ্কায় এলাকা থেকে যৌনপল্লী উৎখাত করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে, ও সেই সুযোগে এক স্থানীয় নির্মাণ-ব্যবসায়ী যৌনপল্লীর সব পতিতালয় ভেঙ্গে সেখানে ফ্যাটবাড়ি নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে। গঙ্গুবাই এর প্রতিবাদ করে জানায় যে কামাঠিপুরা থেকে উৎখাত করার হলে সেখানকার ৪০০০ পতিতারা নিরাশ্রয় হয়ে যাবে। সেইমতো রহিম উক্ত নির্মাণ-ব্যবসায়ীর এজেন্টকে ধমকে ভাগিয়ে দেয়। এরপর গঙ্গুবাই তার পতিতালয়ের ৮টি মেয়েকে উক্ত বালিকা-বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যায় ও সেই দিনই ৮জনের ৫ বছরের স্কুলের মাইনে দিতেও তৈরি হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘৃণাভরে ঐসকল মেয়েদের ভর্তি করাতে প্রত্যাখ্যান করলে গঙ্গুবাই জানায় যে যৌনবৃত্তি বিলোপ করার জন্য যৌনপল্লী উৎখাত করার চেয়ে পতিতাদের গর্ভজাত মেয়েদের শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন করা বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ। সাংবাদিক হামিদ ফয়জ়ির সামনে মেয়েদের ভর্তি করা হলেও স্কুলের সন্ন্যাসিনী-শিক্ষিকারা তাদের মারধর করে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন ফয়জ়ি এই আন্দোলন নিয়ে গঙ্গুবাইয়ের প্রতিবেদন সংবাদপত্রে ছাপানোর বন্দোবস্ত করে। সংবাদপত্রের সেই প্রতিবেদন জনপ্রিয় হলে ফয়জ়ি বোম্বাইয়ের আজ়াদ ময়দানে অনুষ্ঠিত এক নারীবাদী সমাবেশে গঙ্গুবাইয়ের ভাষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ভাষণে গঙ্গুবাই সমাজের সেই নারীবিদ্বেষী চিন্তাধারা যা পতিতাদের নিন্দা করে অথচ সেই পতিতাদের পুরুষ খদ্দেরদেরকে কিছু বলে না, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলে যে দেশের রাজনৈতিক নেতারা জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভিত্তিক বৈষম্য বিলোপসাধনের কথা বলে কিন্তু যারা বাস্তব জীবনে এই আদর্শ পালন করে, সেই পতিতাসমাজকেই বৈষম্যের শিকার করে সমাজের প্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সভা থেকে গঙ্গুবাই পতিতাদের মানবাধিকার ও তাদের গর্ভজাত সন্তানদের শিক্ষার অধিকারের দাবি তোলে, যা অবিলম্বে লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফয়জ়ি গঙ্গুবাইয়ের সঙ্গে এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাক্ষাৎকারের আয়োজন করে। আসন্ন নির্বাচনে সমর্থনের বিনিময়ে গঙ্গুবাই উক্ত জনপ্রতিনিধিকে তার ক্ষমতা খাটিয়ে যৌনপল্লী-বিরোধী আন্দোলন দমন করার কথা বললে সে জানাই যে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে, তবে সে নয়াদিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গঙ্গুবাইয়ের সাক্ষাৎকারের আয়োজন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গঙ্গুবাই দেশে যৌনবৃত্তি বৈধকরণ করার আবেদন করে, যা প্রথমতঃ প্রধানমন্ত্রী সরাসরি অস্বীকার করে। তখন গঙ্গুবাই যৌনবৃত্তিতে পাচার করা নারীদের দুর্দশা ও পতিতাসমাজের বিরুদ্ধে বৈষম্যের বিবরণ দিলে, প্রধানমন্ত্রী তাকে কামাঠিপুরার যৌনপল্লী উচ্ছেদ না হওয়ার আশ্বাস ও সরকারিভাবে কমিটি নির্মাণ করে দেশে যৌনবৃত্তির অবস্থান পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন। গঙ্গুবাইয়ের সামাজিক সক্রিয়তার প্রভাবে কামাঠিপুরার যৌনপল্লী উচ্ছেদের হাত থেকে বেঁচে যায় ও ভারতে প্রকাশ্যে যৌনবৃত্তির পরিসেবার কুটনিগিরি ও নারী-পাচারকে অবৈধ করে যৌনবৃত্তিকে সেইবছর বৈধ ঘোষণা করা হয়।
হুসেন জাইদির বই মাফিয়া কুইন্স অফ মুম্বাইয়ের একটি অধ্যায়ের একটি রূপান্তর সম্পর্কে খবর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জুন ২০১৭ সালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে প্রধান চরিত্রে যুক্ত করা হয়েছিল।[১৫] ছবির আগের নাম ছিল হীরা মান্ডি।[১৬] ২০১৯ সালের মার্চ মাসে চোপড়া নিশ্চিত করেছিলেন যে তিনি ভন্সালীর সাথে একটি প্রকল্পে কাজ করছেন, যিনি এটিও নিশ্চিত করেছিলেন যে তিনি চোপড়ার সাথে গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি তৈরি করছেন।[১৭] যাইহোক, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, মিডিয়া রিপোর্ট করেছে যে আলিয়া ভাট, যিনি ইনশাল্লাহ শিরোনামে একটি ভিন্ন চলচ্চিত্র করার কথা ছিল, বনসালির ইনশাল্লাহ স্থগিত হওয়ার পরে চোপড়ার স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন।[১৮] ২০১৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটিতে প্রধান চিত্রগ্রহণের কাজ শুরু হয়।[১৬][১৯][২০]
চলচ্চিত্রটি দিয়ে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব শান্তনু মহেশ্বরীর বলিউডে অভিষেক ঘটে, যিনি গঙ্গুবাইয়ের প্রেমিক আফসানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[১৭] এবং টিভি অভিনেতা বরুণ কাপুরের রমনিক লালার ধূসর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটে।[২১]
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ভারত সরকার কর্তৃক লকডাউনের আদেশের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে নির্মাণ বন্ধ রাখা হয়েছিল, যখন ছবিটি ৭০% সম্পূর্ণ হয়ে ছিল।[১৮] আলিয়া ২০২০ সালের ১৬ই অক্টোবর আবার কাজ শুরু করেন এবং ক্ষ্ণিক চরিত্রে অভিনয় করা অজয় দেবগন ২০২১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সেটে যোগ দেন[২২] ২০২১ সালের ২৬শে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যদারণ সমাপ্ত হয়।[২৩][২৪][২৫]
শিরোনামহীন | |
---|---|
দৈর্ঘ্য | ৪৫:২০ |
চলচ্চিত্রের সঙ্গীতায়োজন করেছেন সঞ্চিত বলহারা ও অঙ্কিত বলহারা ভাতৃদ্বয়, যখন ফিল্মের বৈশিষ্ট্যযুক্ত গানগুলি এএম তুরাজ, কুমার এবং ভোজক অশোক "আনজাম" দ্বারা লেখা গানের সাথে সঞ্জয় লীলা ভন্সালী সুর করেছেন। চৌর্স গায়কের হিন্দি সংস্করণে রয়েছে তারান্নুম জৈন, দীপ্তি রেগে, অদিতি প্রধুদেসাই, অদিতি পল, কল্পনা, রুচনা, প্রগতি।
নং. | শিরোনাম | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|
মোট দৈর্ঘ্য: | ২২:৪০ |
চৌর্স গায়কের তেলুগু সংস্করণে রয়েছে সাহিত্যি কোমান্দুরি, পি. সত্য ইয়ামিনী, হরিণী ইভাতুরি, অশ্বিনী চেপুরি, ভি. পাভানি।
নং. | শিরোনাম | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|
মোট দৈর্ঘ্য: | ২২:৪০ |
গঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াডির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় ২০২২ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ৭২তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে,[২৭][২৮] বার্লিনলে স্পেশালি গালা বিভাগে।[২৯][৩০] ছবিটি ২০২২ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৩১] এর আগে ছবিটি ২০২১ সালের ৩০ জুলাই মুক্তির জন্য নির্ধারিত ছিল কিন্তু ক্রমবর্ধমান কেস এবং কোভিড ১৯ মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল।[৩২] তারপরে এটি ২০২২ সালের ৬ই জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে বিশ্বব্যাপী মুক্তির জন্য নির্ধারিত ছিল কিন্তু এসএস রাজামৌলির আরআরআর-এর সাথে সংঘর্ষ এড়াতে মুক্তির তারিখ পরিবর্তন করে ১৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।[৩৩] পরবর্তীতে, তারিখটি এক সপ্তাহ পিছিয়ে ২০২২ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছিল[৩৪]
তেলুগু-ভাষার ডাব সংস্করণের সাথে ছবিটি হিন্দিতে মুক্তি পায়।[৩৫]
ফিল্মটি এখন ২০২২ সালের ২৬শে এপ্রিল থেকে Netflix এ স্ট্রিমিং হচ্ছে[৩৬] ২০২২ সালের জুনে, ছবিটি Netflix- এ সর্বাধিক দেখা ভারতীয় চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে।[৩৭]
গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি অভিনয়ের (বিশেষ করে ভাট, রাজ, মহেশ্বরী, দেবগন এবং পাহওয়া), সঙ্গীত, প্রযোজনা নকশা, সিনেমাটোগ্রাফি, কাহিনি এবং বানসালির পরিচালনার দিকে প্রধান প্রশংসা সহ ব্যাপক সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে।[৩৮][৩৯][৪০] রিভিউ অ্যাগ্রিগেটর ওয়েবসাইট Rotten Tomatoes- এ, 20টি রিভিউ এবং গড় রেটিং 7/10 এর ভিত্তিতে ফিল্মটির অনুমোদন রেটিং 90% রয়েছে।[৪১]
Mashable- এর সুশ্রী সাহু ছবিটিকে 4.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "সঞ্জয় লীলা বনসালির গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি অভিনীত আলিয়া ভাট, অজয় দেবগন এবং অন্যান্যরা একজন পরম ভিড়-টানার।[৪২] ডিএনএ ইন্ডিয়ার মুগ্ধা কাপুর সাফায়া ছবিটিকে 4/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "চলচ্চিত্রটির বর্ণনাটি এমন যে আপনি গাঙ্গুর প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন, তার জন্য মূল হবেন এবং প্রতিটি ছোট জয়ের সাথে তার জন্য উল্লাস করবেন, কিন্তু তাকে কখনোই করুণা করবেন না।"[৪৩] ডেকান হেরাল্ডের জগদীশ অঙ্গদি ছবিটিকে 4/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "গাঙ্গুবাইয়ের চরিত্রে আলিয়া ভাট অসাধারণভাবে উজ্জ্বল। রৈখিক গল্প বলা কার্যকরভাবে গাঙ্গুবাইয়ের একাধিক দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে।[৪৪] দ্য গার্ডিয়ান -এর ওয়েন্ডি আইড ছবিটিকে 4/5 রেটিং দিয়েছে এবং লিখেছেন "একজন যৌনকর্মীর হার্ড-হিটিং গল্প যিনি 60 এর দশকের গ্যাংল্যান্ড মুম্বাইয়ের র্যাঙ্কের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছেন আলিয়া ভাটের চুম্বকীয় পারফরম্যান্স দ্বারা চালিত"।[৪৫]
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রনক কোটেচা 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "এই নাটকে যা কিছু আছে, সেখানে যথেষ্ট মুহূর্ত রয়েছে যা আপনাকে এই পৃথিবীতে আকৃষ্ট করবে যেখানে রাতগুলি সীমাহীন বলে মনে হয় এবং আলো কখনই ম্লান হয় না।"[৪৬] এনডিটিভি- র সাইবল চ্যাটার্জি ছবিটিকে 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "The visually sumptuous character study, more baroque than 1950s Bombay, is at once sweeping and intimate"।[৪৭] ইন্ডিয়া টুডে -এর তুষার যোশি 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন " গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ির ক্যামেরার কাজ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এবং সংলাপগুলি হল তিনটি স্তম্ভ যা এটিকে অন্য একটি সাহসী বায়োপিক থেকে একটি চলচ্চিত্রে নিয়ে যায় যা একটি বিশাল প্রভাব তৈরি করে৷ গাঙ্গুবাই বনসালি এবং আলিয়া উভয়ের জন্যই একটি কঠিন ঝুঁকি। একটি ঝুঁকি যা পরিচালক এবং তার মিউজিক উভয়ের জন্যই সুন্দরভাবে পরিশোধ করে।"[৪৮] ফার্স্টপোস্টের প্রতাপ নায়ার 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "বানসালি এবং উৎকর্ষিণী বশিষ্ঠ দ্বারা লিখিত, এটি তার হৃদয়ে নারী নেতৃত্বকে অসাধারণ ছাড় প্রদান করে বর্ণনাটিকে উল্টে দেয়, এটি বলিউডে সম্পূর্ণরূপে একটি ঘন ঘন ঘটনা নয়"।[৪৯] বলিউড হাঙ্গামা ছবিটিকে 3.5/5 রেটিং দিয়েছে এবং লিখেছে "আলিয়া ভাট-অভিনীত গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি একটি শক্তিশালী গল্প এবং এটি দুর্দান্ত মুহূর্ত এবং আলিয়া ভাটের ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে সজ্জিত। বক্স অফিসে, এটি মাল্টিপ্লেক্স এবং মহিলা দর্শকদের সাথে স্কোর করার উজ্জ্বল সুযোগ রয়েছে"[৫০] দ্য কুইন্ট- এর স্টুটি ঘোষ ছবিটিকে 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন " গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি একটি সঞ্জয় লীলা বনসালির ক্যানভাস এবং একটি সম্পূর্ণ আলিয়া ভাট শো"।[৫১]
রেডিফ- এর সুকন্যা ভার্মা ছবিটিকে 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন " গাঙ্গুবাইয়ের পরে আলিয়াতে অবশ্যই কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সুকন্যা ভার্মা মনে করেন, তার পুরো পারফরম্যান্সই নিজেকে প্রমাণ করা এবং বিশ্বের কাছে নয়[৫২] সে কী করতে পারে। পিঙ্কভিলার সঞ্জনা যাদব ছবিটিকে 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "আলিয়া ভাট এবং কাস্ট পারফরম্যান্স, বানসালির ভিজ্যুয়াল এবং এই নৃশংস জগতের এক ঝলক এটিকে একটি নির্দিষ্ট ঘড়ি করে তোলে"।[৫৩] ফিল্মফেয়ার দেবেশ শর্মা ছবিটিকে 3.5/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "এসএলবি আবার আমাদের একটি ফিল্ম দিয়েছে যা আমাদের প্রায় তিন ঘন্টার জন্য আমাদের আসনে আটকে রাখে"।[৫৪] দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস- এর শুভ্রা গুপ্তা ছবিটিকে 3/5 রেটিং দিয়েছেন এবং লিখেছেন "সঞ্জয় লীলা বনসালির সাম্প্রতিকতম হল পুরানো দিনের সংলাপ-ভারী, আবেগ-অন-আস্তিকার ফিল্ম যা বলিউড ভুলে যাচ্ছে কীভাবে তৈরি করতে হয়"।[৫৫] হিন্দুস্তান টাইমস- এর মনিকা রাওয়াল কুক্রেজা লিখেছেন "আলিয়া ভাট...গঙ্গুবাই চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় দিয়েছেন"।[৫৬] দ্য হিন্দু- এর অনুজ কুমার লিখেছেন "এটি সহজে ভানসালি তার সেরাটি কারণ তিনি বিষয়বস্তু সহ নৈপুণ্যকে বিয়ে করতে সক্ষম হয়েছেন; এখানে, তিনি সহস্রাব্দের জন্য একটি পাকিজাহ চেষ্টা করেন এবং প্রায় সফল হন"।[৫৭] নিউজ 18- এর সোনিয়া দেধিয়া লিখেছেন "গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি চরিত্রে আলিয়া ভাট কার্যত অদৃশ্য হয়ে গেছে। তার চোখে একটি কঠিন থেকে মিস তীব্রতা, এবং তার কণ্ঠে দৃঢ়তা"[৫৮]
দ্য গার্ডিয়ানের মাইক ম্যাককাহিল গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়িতে ভাটের অভিনয়কে "2022-এর সর্বশ্রেষ্ঠ পারফরম্যান্সের একটি" হিসাবে মুকুট দিয়েছেন।[৫৯] স্ক্রিন ডেইলির ওয়েন্ডি আইড ছবিতে ভাটের অভিনয়কে 2022 সালের সেরা পারফরম্যান্স হিসেবে অভিহিত করেছেন[৬০] দ্য গার্ডিয়ান- এর মার্ক কারমোড ছবিতে ভাটের অভিনয়কে 2022 সালের দশটি সেরা অভিনয়ের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৬১] টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সুভাষ কে. ঝা 2022 সালের সেরা পাঁচটি প্রশংসিত মহিলা অভিনয়ের মধ্যে ভাটের অভিনয়কে তালিকাভুক্ত করেছেন[৬২] রেডিফের সুকন্যা ভার্মা ভাটকে 2022-এর অন্যতম শীর্ষ মহিলা অভিনয়শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৬৩] Mashable- এর যুক্তা ঠাকরে ভাটকে বছরের সেরা মহিলা অভিনয়শিল্পীদের একজন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন।[৬৪] হিন্দুস্তান টাইমস- এর সান্তনু দাস ছবিতে ভাটের অভিনয়কে 2022 সালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৬৫] <i id="mwAVY">নিউজ 24-</i> এর সাক্ষী এই ছবিতে ভাটের অভিনয়কে 2022 সালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৬৬] ইন্ডিয়াটাইমস- এর অনন্যা জৈন ছবিতে ভাটের অভিনয়কে 2022 সালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৬৭] ম্যানস ওয়ার্ল্ড স্টাফরা ছবিতে ভাটের অভিনয়কে 2022 সালের সেরা বলিউড মহিলা পারফরম্যান্সের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে[৬৮] ফার্স্টপোস্টের সুভাষ কে. ঝা গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়িকে 2022 সালের সেরা হিন্দি চলচ্চিত্র হিসেবে মুকুট দিয়েছে[৬৯] ফিল্ম কম্প্যানিয়নের অনুপমা চোপড়া এটিকে 2022 সালের তৃতীয় সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে স্থান দিয়েছেন[৭০] দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের শুভ্রা গুপ্তা এটিকে 2022 সালের সেরা চলচ্চিত্রগুলির একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৭১] রেডিফের দীপা গাহলট এটিকে তার 2022 সালের সেরা চলচ্চিত্রগুলির একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৭২] পেস্টের অপারিতা ভান্ডারি এটিকে 2022 সালের সেরা দশটি বলিউড চলচ্চিত্রের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৭৩] টাইমস অফ ইন্ডিয়া এটিকে 2022 সালের সেরা বলিউড চলচ্চিত্রগুলির একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে[৭৪] দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এটিকে 2022 সালের একটি অত্যন্ত প্রশংসিত বিষয়বস্তু-চালিত চলচ্চিত্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে[৭৫] কসমোপলিটানের কোরিন সুলিভান এবং জেসমিন টিং এটিকে ২০২২ সালের সেরা ২০টি বলিউড মুভি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৭৬] স্ক্রিন ডেইলির অ্যালান হান্টার এটিকে 2022 সালের দশটি সেরা চলচ্চিত্রের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৭৭] শকুনের সিদ্ধান্ত আদলাখা এটিকে 2022 সালের পাঁচটি সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে[৭৮] WION- এর শোমিনী সেন এটিকে 2022 সালের সেরা হিন্দি চলচ্চিত্রগুলির একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৭৯] দ্য হিন্দু- এর অনুজ কুমার এটিকে 2022 সালের সেরা হিন্দি চলচ্চিত্রগুলির একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৮০] ভোগ ইন্ডিয়ার নিধি গুপ্তা এটিকে 2022 সালের সেরা বলিউড মুভিগুলোর একটি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৮১] স্ক্রোল কর্মীরা এটিকে 2022-এর সেরা এবং স্মরণীয় রিলিজগুলির একটি হিসাবে সিনেমা এবং বিভিন্ন ভাষায় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত করেছে।[৮২] মিড-ডে- র মীনাক্ষী শেদ্দে এটিকে ২০২২ সালের সেরা বিশটি সর্বভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন[৮৩]
Gangubai Kathiawadi was created on a huge budget of Rs 100 crore which included the stunning set design and an amazing star cast.
however the delay in release resulted in the budget going up to Rs 160 crore.
The movie garnered critical and commercial acclaim post its release., critics lapped up Bhatt's central and grounding performance in an otherwise loud and dramatic movie.