এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (ফেব্রুয়ারি ২০১৯) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
গে পানশালা হচ্ছে পান করার এমন একটি জায়গা যেখানে খাদ্যাদি সরবরাহকারীরা লেসবিয়ান, গে, উভকামী এবং রূপান্তরকামীদের প্রধানত ও একচেটিয়াভাবে খাদ্য, পানীয় সরবরাহ করে। গে পদবাচ্যটি এলজিবিটি এবং ক্যুয়ের সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ভাবে ব্যবহৃত হয়। গে সংস্কৃতির একসময় অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল গে পানশালা যা ইন্টারনেটের এর আবির্ভাব এবং পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এলজিবিটি মানুষদের পুনঃপুনঃ স্বীকৃতির কারণে এলজিবিটি কমিউনিটির মানুষরা এখানে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন এবং এই জাতীয় পানশালা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।[১]
প্রাচীন কে পান শহরে অবস্থিত নিউ জার্সিতে যা টোকিওতে প্রথম চালু হয় ১৯৬৬ সালে।[২] টোকিওর বেশি ভাগ পানশালা সিংজুকু জেলায় অবস্থিত যা প্রায় ৩০০ টির মত পানশালার মিলিত স্থল।[৩] প্রত্যেক পানশালা ক্রেতার আগ্রহভেদে বিশেষভাবে সাজানো হয়।[৪]
জর্ডানের সবচেয়ে প্রাচীন গে সংস্থা আম্মানে অবস্থিত। যা একইসাথে পানশালা, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট ও পাঠাগার। এর নাম হলো বুকস@ক্যাফে। ১৯৯৭ সালে প্রথম চালু হয়। খোলার পর জর্ডান সরকার থেকে গোপনীয়তার সাথে এখানে প্রবেশ করত এবং তদন্ত করত। সরকারের দাবী এ ধরনের পানশালা সাধারণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে বিধায় তাদের এধরনের তদন্ত চলত। অবশ্য বর্তমানে এর মালিক দাবি করেছেন তার সাথে সরকারের কোন বিরোধ নেই এবং দ্বিতীয় বার সাধারণের জন্য চালু হয়েছে[৫]
সিওলের বেশিরভাগ গে পানশালাসিওলের ইটাউন এলাকায় অবস্থিত যা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প এর নিকটস্থ। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ ক্লাবগুলো সিঞ্চন এলাকায় স্থাপিত হচ্ছে। তাদের মতে এলাকাটি অনেক বেশি সহনশীল। একটি পুরুষ পানশালা বলেছে কোরীয় পানশালার সংস্কৃতি যুক্তরাষ্ট্রের পানশালা সংস্কৃতির মত সরাসরি নয়। এখানে একজন পুরুষ অপর পুরুষের প্রতি আগ্রহ দেখাতে চাইলে ওয়েটার এর মাধ্যমে কোন পানীয় তাকে অফার করে। সবচেয়ে প্রাচীন লেসবিয়ান পানশালাটি সিওলে সালে অবস্থিত যা ১৯৯৬ সালে প্রথম চালু হয়।[৬]
বিভিন্ন মানুষ জানিয়েছে তারা মনে করেন গে পানশালা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এন্দ্রু সুলিভিয়ান তার প্রবন্ধ "দ্য এন্ড অব গে কালচারে" গে পানশালা বন্ধের জন্য ইন্টারনেটকে মুখ্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করেছে। তার মতে কেও যৌনক্রিয়া বা ডেট করতে চাইলে ইন্টারনেটেই সে প্রথম অন্বেষণ করে। ফলে গে পানশালার প্রয়োজনীয়তা তার কাছে খুব একটা না।[৭]
জুন থমাস গে পানশালাকে মানুষের প্রত্যাখানের কারণ হিসেবে ব্যাখা করেছেন সমকামী ব্যক্তিরা বর্তমানে কম বৈষম্যের শিকার হয়, ফলে তাদের জন্য পানশালার মত আলাদা কিছুর প্রয়োজন হয় না।[৮] এন্টারপ্রিনার সাময়িকী ২০১৭ সালে যে ১০টি ব্যবসা বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে তালিকা করেছে তারমধ্যে গে পানশালাকে রাখে।[৯]
সংগীত যার সাথে ডিজে গানগুলো মিশে গেছে এবং গে পানশালায় তা অহরহ বাজানো হয়। সাধারণত গে পানশালায় পপ, নৃত্য, কনটেম্পোরারী আরএন্ডবি, হাউস, ট্রান্স, এবং টেকনো বিষয়গুলোই সংগীতের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তর উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলীয়ার শহরে এক বা একাধিক গে পানশালায় দেশীয় সংগীত বাজাতে দেখা যায়।