সংস্থা | ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা |
---|---|
অভিযানের ধরন | অরবিটার |
স্যাটেলাইট | চাঁদ |
কক্ষপথে প্রবেশের তারিখ | ১২ নভেম্বর, ২০০৮ |
উৎক্ষেপণের তারিখ | ২২ অক্টোবর, ২০০৮ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটা থেকে |
উৎক্ষেপণ যান | পিএসএলভি –সি১১[১] |
অভিযানের ব্যাপ্তিকাল | ২ বছর |
COSPAR ID | ২০০৮-০৫২এ |
হোমপেজ | Chandrayaan-1 |
ভর | ৫২৩ কেজি (১,১৫৩ পা) |
Orbital elements | |
Eccentricity | প্রায় বৃত্তাকার |
Inclination | মেরুসম্বন্ধীয় |
Apoapsis | প্রথমে ৭,৫০০ কিমি (৪,৬৬০ মা), শেষে ১০০ কিমি (৬২ মা), শেষে (wef 19 May 2009) ২০০ কিমি (১২৪ মা) |
Periapsis | প্রথমে ৫০০ কিমি (৩১১ মা), শেষে১০০ কিমি (৬২ মা), শেষে (wef 19 May 2009) ২০০ কিমি (১২৪ মা) |
চন্দ্রযান-১ (সংস্কৃত: चंद्रयान-१[২][৩] ) ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান। এই অভিযানের উদ্যোক্তা দেশের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। এই চন্দ্র অভিযান মিশনটি কোনো মনুষ্য দ্বারা চালিত নয়। এটিতে একটি অরবিটর ও একটি ইমপ্যাক্টর রয়েছে। পিএসএলভি –সি১১ নামক পিএসএলভি-র একটি উন্নত সংস্করণ দ্বারা এক মহাকাশযানের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।[১][৪] ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ০৬:২২ মিনিটে চেন্নাইয়ের ৮০ কিলোমিটার উত্তরে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের নেলোর জেলার শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-১ উৎক্ষিপ্ত হয়।[৫] ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিতে এই মিশনটি একটি বড়ো পদক্ষেপ। এর ফলে চন্দ্রাভিযানে ভারত বর্তমানে এশিয়ায় চিন ও জাপানের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র।[৬] ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সফলভাবে এই মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে।[৭]
২০০৮ সালের ১৪ নভেম্বর ২০:০৬ মিনিটে মুন ইমপ্যাক্ট প্রোবটি চাঁদের কক্ষপথে ভ্রাম্যমাণ চন্দ্রযান থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ও সুনিয়ন্ত্রিত পন্থায় অবতরণ করে। চাঁদের মাটিতে বিশ্বের চতুর্থ কোনো রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা ওড়ে।[৮] ওই দিন ২০:৩১ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুস্থ জ্বালামুখ শ্যাকলটনে অবতরণ করে মুন ইমপ্যাক্ট প্রোবটি। উপ-উপরিস্থলস্থ ডেবরিশটি মুক্ত করে দেওয়া হয় চাঁদের মাটিতে জলের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখার জন্য।[৯]
প্রকল্পটির জন্য মোট ৩৮৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়।[১০]
এই রিমোট সেন্সিং চান্দ্র উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ মুহুর্তের ওজন ছিল ১৩৮০ কিলোগ্রাম এবং চান্দ্র কক্ষপথে প্রবেশকালে এর ওজন হয় ৬৭৫ কিলোগ্রাম।[১১] এই যানে দৃশ্য, প্রায় ইনফ্রারেড, সফট ও হার্ড এক্স-রশ্মি স্পন্দনের জন্য ব্যবহৃত উচ্চ রেজোলিউশনের রিমোট সেন্সিং যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া হয়। দু-বছরের কার্যকালের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে এই যানটির জন্য। এই সময়ের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠের রাসায়নিক চরিত্র সংবলিত একটি সম্পূর্ণ মানচিত্র একটি একটি তৃতীয়মাত্রিক টোপোগ্রাফি অঙ্কণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। মেরু অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, কারণ এখানে বরফ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।.[১২] এই মিশনে পাঁচটি ইসরো পেলোড ও নাসা, ইএসএ, বুলগেরিয়ান স্পেস এজেন্সি প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার ছয়টি পেলোড বিনামূল্যে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।[১৩]
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)