ছাং-ও ৭

ছাং-ও ৭
অভিযানের ধরনআবর্তক যান, চন্দ্র অবতরণ যান, চন্দ্র বিচরণ যান, অনুপ্রচারক কৃত্রিম উপগ্রহ, ক্ষুদ্র লম্ফমান সন্ধানী[]
পরিচালকচীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন
মহাকাশযানের বৈশিষ্ট্য
প্রস্তুতকারকচীনা মহাকাশ প্রযুক্তি অ্যাকাডেমি
অভিযানের শুরু
উৎক্ষেপণ তারিখ২০২৪ (পরিকল্পিত)
উৎক্ষেপণ রকেটছাং চেং ৫ (দীর্ঘ অভিযাত্রা ৫)
উৎক্ষেপণ স্থানওয়েনছাং
চাঁদ চন্দ্র অবতরণ যান
----
চীনা চন্দ্র অভিযান কর্মসূচি
← ছাং-ও ৬ ছাং-ও ৮

ছাং-ও ৭ (চীনা: 嫦娥七号; ফিনিন: Cháng'é qīhào) একটি পূর্ব-পরিকল্পিত স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রচালিত (রোবটচালিত) চীনা চন্দ্রানুসন্ধান অভিযান (মহাকাশযান), যেটিকে ২০২৪ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পূর্বসূরীগুলির মতো ছাং-ও ৭ মহাকাশযানটিকেও চীনের চন্দ্রদেবী ছাং-ও-র নামে নামকরণ করা হয়েছে। অভিযানটিতে একটি আবর্তক যান, একটি অনুপ্রচার কৃত্রিম উপগ্রহ, একটি চন্দ্র অবতরণ যান, একটি চন্দ্র বিচরণ যান ও একটি ক্ষুদ্র লম্ফমান সন্ধানী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[]


সামগ্রিক দৃশ্য

[সম্পাদনা]

চীনা চন্দ্র অভিযান কর্মসূচিটিকে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত উন্নতির চারটি দশায় ভাগ করে নকশা করা হয়েছে।[] প্রথম দশাটির উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র চান্দ্র কক্ষপথে পৌঁছানো, যে কাজটি ২০০৭ সালে ছাং-ও ১ ও ২০১০ সালে ছাং-ও ২ অভিযান দুইটি সমাপ্ত করে। দ্বিতীয় দশার উদ্দেশ্য ছিল চাঁদে অবতরণ করা ও চন্দ্রপৃষ্ঠে পরিভ্রমণ করা, যে কাজটি ২০১৩ সালে ছাং-ও ৩ ও ২০১৯ সালে ছাং-ও ৪ অভিযান দুইটি সম্পন্ন করে (ছাং-ও ৪-এর চন্দ্র বিচরণ যানটি ২০২২ সালের শুরু পর্যন্ত সক্রিয় আছে)। তৃতীয় দশাটির উদ্দেশ্য চাঁদের ভূ-নিকটস্থ পার্শ্ব থেকে চান্দ্র নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে প্রত্যানয়ন করা, যেটি ২০২০/২০২১ সালে ছাং-ও ৫ অভিযানটি সম্পন্ন করেছে এবং ভবিষ্যতে ছাং-ও ৬ অভিযানটিও একই কাজে নিয়োজিত হবে। চতুর্থ দশার উদ্দেশ্য হল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রচালিত গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।[][][] ছাং-ও কর্মসূচিটির সামগ্রিক উদ্দেশ্য হল ২০৩০-এর দশকে একটি মানব চালকবাহী মহাকাশযানের অবতরণ সহজ করা এবং সম্ভব হলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি ঘাঁটি স্থাপন করা।[]

উৎক্ষেপণ

[সম্পাদনা]

ছাং-ও ৭ মহাকাশযানটিকে ২০২৪ সালে একটি দীর্ঘ অভিযাত্রা ৫ ধরনের রকেটের দ্বারা হাইনান দ্বীপের ওয়েনছাং কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা আছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "The Space Review: What is China doing at the lunar distant retrograde orbit?"www.thespacereview.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১২ 
  2. Jones, Andrew (২৯ মার্চ ২০২২)। "Next China moon mission will need precision landing to target ice at south pole"Space.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২২ 
  3. Chang'e 4 press conference. CNSA, broadcast on 14 January 2019.
  4. China's Planning for Deep Space Exploration and Lunar Exploration before 2030. (PDF) XU Lin, ZOU Yongliao, JIA Yingzhuo. Space Sci., 2018, 38(5): 591-592. ডিওআই:10.11728/cjss2018.05.591
  5. A Tentative Plan of China to Establish a Lunar Research Station in the Next Ten Years. Zou, Yongliao; Xu, Lin; Jia, Yingzhuo. 42nd COSPAR Scientific Assembly. Held 14–22 July 2018, in Pasadena, California, USA, Abstract id. B3.1-34-18.
  6. Huang, Echo (২৬ এপ্রিল ২০১৮)। "China lays out its ambitions to colonize the moon and build a "lunar palace""Quartz 
  7. Jones, Andrew (৫ আগস্ট ২০২০)। "China is moving ahead with lunar south pole and near-Earth asteroid missions"SpaceNews। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]