ٹھٹھہ ننگر ٺٽو | |
---|---|
শহর | |
থাট্টা ٺٽو (সিন্ধি) | |
![]() ১৫৫৯ সালে মাকলি হিলে নির্মিত সমাধিক্ষেত্র | |
ডাকনাম: নীরব শহর | |
সিন্ধু প্রদেশ, পাকিস্তান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৪′৪৬.০২″ উত্তর ৬৭°৫৫′২৭.৬১″ পূর্ব / ২৪.৭৪৬১১৬৭° উত্তর ৬৭.৯২৪৩৩৬১° পূর্ব | |
দেশ | পাকিস্তান |
প্রদেশ | সিন্ধু |
জেলা | থাট্টা জেলা |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২,২০,০০০ |
সময় অঞ্চল | পিএসটি (ইউটিসি+৫) |
থাট্টা (সিন্ধি: ٺٽو; উর্দু: ٹھٹھہ) পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের থাট্টা জেলার একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি বানভোর বিভাগের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পাবে।[১] এ শহরটিতে প্রায় ২২০,০০০ লোক বসবাস করে। দেশের সর্ববৃহৎ স্বাদুপানির হ্রদ কিঞ্জরের কাছে এ শহরের অবস্থান। সিন্ধু নদের পশ্চিমাংশে ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকা এটি। থাট্টার প্রধান স্থাপনা হিসেবে রয়েছে মাকলিতে অবস্থিত সমাধিক্ষেত্র। ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এলাকা হিসেবে এটি তালিকাভূক্ত।[২] এছাড়াও, উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হচ্ছে শাহজাহান মসজিদ যা ১৯৯৩ সাল থেকে এ তালিকায় পরীক্ষামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৩] সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচীর ১০০ কিলোমিটার পূর্বে পার্শ্বে প্রাচীন এ শহরটি ছবিসদৃশ্য। ১৮৫৪ সালে এটিকে পৌরসভায় রূপান্তরিত হয়। তুলা ও সিল্কের লুঙ্গি বা সারঙ্গ এ অঞ্চলের প্রধান উৎপাদিত পণ্য। ইক্ষু প্রধান অর্থকরী ফসল। এছাড়াও, উটেরও প্রধান উৎপাদনক্ষেত্র এটি।
মহামতি আলেকজান্ডারের শাসনামলে সিন্ধু নদের প্রধান বন্দর পাতালার দর্শনীয় স্থান হিসেবে থাট্টাকে বিবেচনা করা হয়।[৪] তবে, পাতালার অবস্থান নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে।
সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে গড়ে উঠা এ শহরটি চতুর্দশ শতক থেকে ক্ষুদ্রতর সিন্ধু এলাকার রাজধানী ছিল ও বিরাট প্রভাবে বিস্তার করেছিল। ষোড়শ শতকে মির্জা জনি বেগ কর্তৃক শহরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।[৫] সম্মা রাজত্বকালে থাট্টা ৯৫ বছর সিন্ধুর রাজধানী ছিল। ১৫৯২ থেকে ১৭৩৯ পর্যন্ত দিল্লির মুঘল সম্রাটগণ এর শাসনভার নিয়ন্ত্রণ করতেন।
১৬৫২ থেকে ১৬৬০ সালের মধ্যে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এখানে ছোটখাটো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।[৬] কালহোরা আমলে ১৭৫৮ সালে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা এখানে দ্বিতীয় কারখানা স্থাপন করে যা ১৭৭৫ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল।[৭] ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধ্বে থাট্টার জনসংখ্যা প্রায় ১৮০০০-এ দাঁড়ায়। আরবদের কাছে এটি দিবাল নামে পরিচিত। ঐ সময়ে মির্জা ইসা তারখানের আমলে নির্মিত ইটের দেয়ালের ধ্বংসাবশেষ দৃশ্যমান ছিল।[৫]
২৩ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির সরকার সিন্ধু প্রদেশের ছয়টি বিভাগের একটি হিসেবে বানভোরের রাজধানী হিসেবে থাট্টাকে ঘোষণা করে।[৮][৯] এরফলে থাট্টায় প্রশাসন ব্যবস্থায় আরও উন্নতি সাধিত হবে।[১০]
থাট্টার স্থাপনার মধ্যে অন্যতম রয়েছে শাহজাহান মসজিদ বা জামা মসজিদ রয়েছে। ১৬৪৭ থেকে ১৬৪৯ সালের মধ্যে সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক এটি নির্মিত হয়। ১০১টি গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটিতে ইমামের কণ্ঠস্বর লাউডস্পিকার ছাড়াই প্রত্যেক প্রান্তে ছড়িয়ে যায়।
এছাড়াও, মাকলি পাহাড়ের সমাধিক্ষেত্রে হাজার হাজার কবর রয়েছে।
![]() |
পাকিস্তান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |