ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | থিয়াগো এমিলিয়ানো দা সিলভা[১] | ||
জন্ম | [২] | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪||
জন্ম স্থান | রিউ দি জানেইরু, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৮১ মিটার (৫ ফুট ১১+১⁄২ ইঞ্চি)[৩] | ||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | চেলসি | ||
জার্সি নম্বর | ৬ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৮–২০০০ | ফ্লুমিনেন্সে | ||
২০০০–২০০১ | বার্সেলোনা | ||
২০০১–২০০২ | ফ্লুমিনেন্সে | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০২–২০০৩ | পেদ্রাব্রাঙ্কা | ২৫ | (২) |
২০০৩–২০০৪ | জুভেন্তুদে | ৩৫ | (৩) |
২০০৪–২০০৬ | পোর্তু বি | ১৪ | (০) |
২০০৫–২০০৬ | → দিনামো মস্কো (ধার) | ০ | (০) |
২০০৬–২০০৯ | ফ্লুমিনেন্সে | ১০৮ | (৯) |
২০০৯–২০১২ | এসি মিলান | ৯৩ | (৫) |
২০১২–২০২০ | পারি সাঁ-জেরমাঁ | ২০৪ | (৯) |
২০২০– | চেলসি | ৫৫ | (৫) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৮–২০১২ | ব্রাজিল অলিম্পিক | ৮ | (০) |
২০০৮– | ব্রাজিল | ১০৭ | (৭) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৩:৩৭, ১৪ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৩:৩৭, ১৪ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
থিয়াগো এমিলিয়ানো দা সিলভা (পর্তুগিজ: Thiago Silva; জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪; থিয়াগো সিলভা নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।[৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০] তিনি বর্তমানে ইংরেজ ক্লাব চেলসি এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
১৯৯৮–৯৯ মৌসুমে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে, ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে সিলভা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে বার্সেলোনার যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন।[১১] ২০০২–০৩ মৌসুমে, ব্রাজিলীয় ক্লাব পেদ্রাব্রাঙ্কার হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন; পেদ্রাব্রাঙ্কার হয়ে দুই মৌসুম অতিবাহিত করার পর ২০০৪ সালে তিনি জুভেন্তুদেতে যোগদান করেছেন। অতঃপর পোর্তু বি এবং ফ্লুমিনেন্সের যথাক্রমে এক এবং তিন মৌসুম অতিবাহিত করার পর তিনি প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব এসি মিলানে যোগদান করেছেন[১২]। এসি মিলানের হয়ে তার দ্বিতীয় মৌসুমে তিনি মাসসিমিলিয়ানো আলেগ্রির অধীনে ২০১০–১১ সেরিয়ে আ-এর শিরোপা জয়লাভ করেছেন।[১৩] এসি মিলানে তিন মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ৪২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফরাসি ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন,[১৪] যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৩১৫ ম্যাচে ১৭টি গোল করার পাশাপাশি সাতটি লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছেন।[১৫] ২০২০–২১ মৌসুমে, তিনি ইংরেজ ক্লাব চেলসিতে যোগদান করেছেন।[১৬]
২০০৮ সালে, সিলভা ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি একই বছরে ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ১০৭ ম্যাচে ৭টি গোল করেছেন। তিনি ব্রাজিলের হয়ে এপর্যন্ত ৩টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮) এবং ৪টি কোপা আমেরিকায় (২০১১, ২০১৫, ২০১৯ এবং ২০২১) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৯ সালে তিতের অধীনে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
থিয়াগো এমিলিয়ানো দা সিলভা ১৯৮৪ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর তারিখে ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
সিলভা ব্রাজিল অলিম্পিক দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৮ সালের ১৩ই আগস্ট তারিখে তিনি ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে চীন অলিম্পিক দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্রাজিল অলিম্পিক দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন।[১৭][১৮][১৯] ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৮ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০০৮ সালের ১২ই অক্টোবর তারিখে, ২৪ বছর ও ২০ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী সিলভা ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক করেছেন।[২০] উক্ত ম্যাচের ৪৬তম মিনিটে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হুয়ান সিলভেইরা দোস সান্তোসের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেছিলেন;[২১] ম্যাচে তিনি ১৪ নম্বর জার্সি পরিধান করে কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন। ম্যাচটি ব্রাজিল ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[২২] ব্রাজিলের হয়ে অভিষেকের বছরে সিলভা সর্বমোট ৩ ম্যাচে ০টি গোল করেছেন। ২০১০ সালের ১১ই অক্টোবর তারিখে, প্রীতি ম্যাচে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তিনি ব্রাজিলের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন,[২৩] ম্যাচটি ব্রাজিল ২–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল,[২৪] যেখানে তিনি ৯০ মিনিট খেলেছেন।[২৫] জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ৩ বছর, ৭ মাস ও ১৮ দিন পর, ব্রাজিলের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছেন;[২৬][২৭] ২০১২ সালের ৩০শে মে তারিখে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচের ২৬তম মিনিটে নেইমারের কর্নার কিক হতে ব্রাজিলের হয়ে গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেছেন।[২৮]
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
ব্রাজিল | ২০০৮ | ৩ | ০ |
২০০৯ | ৩ | ০ | |
২০১০ | ৫ | ০ | |
২০১১ | ১৩ | ০ | |
২০১২ | ৮ | ১ | |
২০১৩ | ১২ | ১ | |
২০১৪ | ৯ | ১ | |
২০১৫ | ৬ | ১ | |
২০১৬ | ১ | ০ | |
২০১৭ | ৭ | ১ | |
২০১৮ | ১০ | ১ | |
২০১৯ | ১২ | ১ | |
২০২০ | ৪ | ০ | |
২০২১ | ৯ | ০ | |
২০২২ | ৫ | ০ | |
সর্বমোট | ১০৭ | ৭ |
গোল | তারিখ | মাঠ | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৩১ মে ২০১২ | ফেডএক্সফিল্ড, ল্যান্ডোভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ২–০ | ৪–১ | প্রীতি ম্যাচ | [২৬][২৮] |
২ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | জিলেট স্টেডিয়াম, ফক্সবরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | পর্তুগাল | ১–১ | ৩–১ | [২৯][৩০] | |
৩ | ৪ জুলাই ২০১৩ | কাস্তেলাউ, ফোর্তালেজা, ব্রাজিল | কলম্বিয়া | ১–০ | ২–১ | ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ | [৩১][৩২] |
৪ | ২১ জুন ২০১৪ | মোনুমেন্তাল দাভিদ আরেয়ানো স্টেডিয়াম, সান্তিয়াগো, চিলি | ভেনেজুয়েলা | ১–০ | ২–১ | ২০১৫ কোপা আমেরিকা | [৩৩][৩৪] |
৫ | ১৩ জুন ২০১৭ | মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া | অস্ট্রেলিয়া | ২–০ | ৪–০ | প্রীতি ম্যাচ | [৩৫][৩৬] |
৬ | ২৭ জুন ২০১৮ | অতক্রিতিয়ে এরিনা, মস্কো, রাশিয়া | সার্বিয়া | ২–০ | ২–০ | ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ | [৩৭][৩৮] |
৭ | ৯ জুন ২০১৯ | বেইরা-রিও স্টেডিয়াম, পোর্তু আলেগ্রে, ব্রাজিল | হন্ডুরাস | ২–০ | ৭–০ | প্রীতি ম্যাচ | [৩৯][৪০] |