ইসলাম |
---|
বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
নকশবন্দি (আরবি: نقشبندية naqshbandī; also written an-Naqshbandiyyah, Nakşibendi, Naksibendi, Naksbandi) হল সুন্নি ইসলামের অন্তর্গত একটি সুফি তরিকা। সুফি তরিকাগুলোর মধ্যে শুধু এটিই নিজেদের ধারা পেছনের দিকে হযরত আবু বকরের মাধ্যমে মুহাম্মদের সাথে সম্পর্কিত করে।[১][২][৩][৪][৫] কিছু নকশবন্দি ধারা অবশ্য নিজেদেরকে চতুর্থ খলিফা আলির মাধ্যমে মুহাম্মদের সাথে সম্পর্কিত করে।[৩][৪][৫]
ইসলামি আকীদার যেমনিভাবে স্বীকৃত তিনটি ধারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মাঝে আছে, তেমনিভাবে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা ও সুবিন্যস্তকরণের ক্ষেত্রে ফিকহ ও মাযহাবের ক্ষেত্রেও ৪টি স্বীকৃত ধারা রয়েছে। যদিও একাধিক স্বীকৃত মাযহাব এক সময়ে ছিল, কিন্তু উক্ত ধারা গুলো যুগ পরম্পরায় যথাযথভাবে সংরক্ষিত ও সংকলিত না হওয়ায় তা টিকে থাকেনি।
অনুরূপভাবে তাযকিয়াতুন নফস, ইহসান ও আত্মশুদ্ধির কাজে নিয়োজিত বহু নেককার সালেহীন অনেক অবদান রেখেছেন। তাদের মাঝে পরবর্তীতে সংরক্ষিত ও ব্যাপক প্রচলিত ৪ ধারা প্রসিদ্ধ হয়েছে। তাদের মাঝেই অন্যতম একটি ধারা হচ্ছে ‘নকশবন্দিয়া তরীকা’।
আত্মশুদ্ধির এই তরিকাগুলো অনেকটুকুই সুন্নাহ সম্মত। তাদের সূচনা হয়েছে সুন্নাহর অনুসরণ করে শিরক-বিদাত নাকোচ করে আত্মশুদ্ধি হাসিল করার প্রচেষ্টার মাধ্যমে। তবে একদল অসাধু, স্বার্থবাদী ও দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ লোক এই ধারাগুলোতে অনেক ধরনের কুসংস্কার ও বিদাতের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। তাই বলে সকলেই নয়।
এই তরিকাটির সূচনা মূলত হয়েছে শায়খ বাহাউদ্দীন নকশবন্দীর মাধ্যমে।
উপমহাদেশের নকশবন্দিয়া তরীকাহর অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন ‘শাইখ আহমাদ সারহিন্দ যাকে দ্বীনের মাঝে নানাবিধ বিদাতের নির্মুল ও দ্বীন সংস্কারের কারণে মুজাদ্দিদে আলফে সানীও বলা হয়ে থাকে। মুজাদ্দিদে আলফে সানী নকশবন্দিয়া তরিকাকে সংস্কার করেন। একে নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া তরিকা বলা হয়।
ওপরে উল্লেখিত ‘শাইখ মাহমুদ আফেন্দী রহ.’ তুরুস্কে দ্বীন সংস্কার করেছেন। তাই সকলেই তাঁকে ‘হাজরাত’ উপাধি দিয়েছেন। ‘শাইখ যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দি হাফি.’-ও সুন্নাহ ও দ্বীনের জন্য সারা বিশ্বেই অনেক অবদান রেখে যাচ্ছেন।
নকশবন্দিয়া তরিকার প্রচলনের আগে নফস থেকে ইলমে তাসাউফ চর্চা করা শুরু করা হতো। অর্থাৎ একজন সালিক প্রথমে নফস দমন করে কলবি জিকির করে তাকমিল হাসিল করতো। কিন্তু নফস দমন করা অনেক কঠিন বিষয়। এই কারনে একজন সালিককে তাকমিল হাসিল করতে অনেক সময় প্রয়োজন হতো।
হযরত শায়খ বাহাউদ্দিন নকশবন্দি রহ এই বিষয়কে সহজ করার জন্য তাসাউফ চর্চা কলব থেকে শুরু করেন। এই তরিকায় একজন সালিক প্রথমে কলবি যিকির দিয়ে তাসাউফ চর্চা শুরু করে।
সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
প্রবেশদ্বার |