নিনজা হাতোরি-কুন | |
忍者ハットリくん | |
---|---|
ধরন | দুঃসাহসিক, কমেডি, মার্শাল আর্ট |
মাঙ্গা | |
লেখক | মোতো আবিকো |
প্রকাশক | শোগাকুকান |
সাময়িকী | কোরোকোরো কমিক |
জনতাত্ত্বিক | শিশুতোষ |
মূল প্রকাশ | ১৯৬৪ – ১৯৭১ |
খণ্ড | ১৬ |
টেলিভিশন নাটক | |
নিনজা হাতোরি-কুন নিনজা হাতোরি-কুন + Ninja Monster Jippou | |
পরিচালক | শোইচ শিমাজু |
লেখক | হিসাশি ইনোই |
স্টুডিও | হিরোকি ওগাওয়া (১ম মৌসুম) আকিরা ইয়ুইয়ামা (২য় মৌসুম) |
মূল নেটওয়ার্ক | টিভি আসাহি |
মূল প্রকাশ | ১৯৬৬ – ১৯৬৮ |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
পরিচালক | ফুমিও ইকেনো, হিরোশি সাসাগাওয়া |
স্টুডিও | শিন-এই আনিমেশন |
মূল নেটওয়ার্ক | টিভি আসাহি |
মূল প্রকাশ | সেপ্টেম্বর ২৮, ১৯৮১ – ডিসেম্বর ২৫, ১৯৮৭ |
পর্ব | ৬৯৪ |
অ্যানিমে চলচ্চিত্র | |
নিনজা হাতোরি-কুন নিনxনিন ফুরুসাতো ডাইসাকুসেন নো মাকি | |
মুক্তি | মার্চ ১২, ১৯৮৩ |
ব্যাপ্তিকাল | ৫৩ মিনিট |
লাইভ-অ্যাকশন চলচ্চিত্র | |
NIN×NIN 忍者ハットリくん THE MOVIE | |
পরিচালক | মামাইয়ুকি সুজুকি |
প্রয়োজক | কাজুতোশি ওয়াদাকুরা কো ওয়াদা মোদাকা তাকিয়ামা রোয়াোইচি ফুকুয়ামমা তোরু মিয়াজাওয়া |
লেখক | মোতো আবিকো ম্যগ্গি |
সুরকার | তাকাইউকি হাতোরি |
স্টুডিও | ফুজি টিভি |
মুক্তি | আগস্ট ২৮, ২০০৪ |
ব্যাপ্তিকাল | ১০০ মিনিট |
গেম | |
নিনজা হাতোরি-কুন | |
নির্মাতা | হাডসন সফ্ট |
ভিত্তিমঞ্চ | এনইএস |
মুক্তি | মার্চ ৫, ১৯৮৬[১] |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
পরিচালক | শিন-এই আনিমেশন |
প্রয়োজক | রিলায়েন্স মিডিয়াওয়ার্কস |
লেখক | শিন-এই আনিমেশন |
সুরকার | রাহুল ভাট [২] |
স্টুডিও | রিলায়েন্স মিডিয়াওয়ার্কস |
মূল নেটওয়ার্ক | টিভি আসাহি, নিকেলোডিয়ন ভারত, কার্টুন নেটওয়ার্ক কোরিয়া |
মূল প্রকাশ | মে ১৩, ২০১৩ (জাপান) – বর্তমান |
পর্ব | ৫২ |
নিনজা হাতোরি-কুন (忍者ハットリくん) হল জাপানের জনপ্রিয় মাঙ্গা সিরিজ। যেটি লিখেছেন মোতো আবিকো। এরপরে এটিকে টেলিভিশন ধারাবাহিক,আনিমে সিরিজ,ভিডিও গেমে অভিজোজন করা হয়।
দশ বছর বয়সের কেনেচি মিতসুবা স্বাভাবিক ছেলে। কেনেচি মিতসুবা প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াশোনা করে। এবং সে তার পড়ালেখায় সংগ্রাম করে। সে জন্মের পর থেকে অলস প্রকৃতির ছেলে। তাই পড়ালেখায় তেমন ভালো না। তাই তার পিতা-মাতা, শিক্ষক তার উপর বিরক্ত থাকে। এই কমিক্সে ডোরেমন কমিক্সের নবিতার মিল পাওয়া যায়। গল্পে বালক হাতোরি কান্জো কেনেচির বন্ধু। হাতুরি এখন মিতসুবা পরিবারের অংশ। সে ছাড়াও তার ছোট ভাই সিনজো এবং তার ] কুকুর সিসি মারু মিতসুবা পরিবারের অংশ। হাতোরি সবসময় কেনেচি কে বিপদ থেকে উদ্ধার করে। হাতোরি সবসময় কেনেচির উপর নজর রাখে। ইয়ুমিকো হচ্ছে কেনেচির বান্ধবী। কেনেচির ভালোবাসা ইয়ুমিকো। কেমুমাকি হচ্ছে কোগা। কেমুমাকি এবং তার নিনজা বিড়াল কিওকি কেনেচির বিরুদ্ধে বিপদ সৃষ্টি করে। আর হাতুরি কেনেচি কে তাদের চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করে। মাঝে মধ্যে তাদের বন্ধু জিপ্পো আর সোনাম কেনেচি কে রক্ষা করে।তাদের গল্পে ইসাইওহি নামের এক মেয়ে নিনজা অাছে।সে সবসময় হাতোরিকে হারাতে চায়।সে প্রায়ই নতুন নতুন নিনজা টেকনিক ব্যবহার করে।।কিন্তু রাস্তায় চলার সময় সে দিকভ্রান্ত হয়প যায়।সে কোগা দলের নিনজা।মাঝে মাঝে সে হাতোরির প্রেমে পড়ে যায়।
ওরফে হাতোরি কুন এই সিরিজের মূল চরিত্র। সে একজন ১১ বছরের বালক। যার উচ্চতা ১৪০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৪০ কেজি। হাতোরি'র মূল দুর্বলতা হলো ব্যাঙ এবং টিকটিকি। যখন তার আশেপাশে ব্যাঙ থাকে তখন সে অসহায় হয়ে পড়ে এবং তার কিছু করার থাকে না। সে নীল রংয়ের নিনজা কাপড় পড়ে এবং লাল বেল্ট পড়ে। সে সবসময় ঐসব কাজ করে যেটি সাধারণত একটি ভালো নিনজা করে থাকে। তার শক্তিকে নিনজা মাস্টারের সাথে তুলনা করা যায়। তার একটি অদ্ভুত অভ্যাস আছে যেটি হলো প্রত্যেক বাক্যের শেষে "ডেগোজারো বা নিন নিন" (ডিং ডিং) বলে। তার বান্ধবীর নাম "সুবামি"।
ওরফে শিন-চেন। ক্যানজো'র ছোট ভাই। সে কাঠের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার করে থাকে। সে একজন প্রশিক্ষণরত নিনজা যে তার বড় ভাই ক্যানজো'র মতো হতে চায়। সে লাল রংয়ের নিনজা কাপড় পড়ে থাকে। সে একজন ভালো মনের মানুষ এবং যদি কেউ উত্তেজিত হয় তাহলে সেও উত্তেজিত হয়ে যায়। সে অনেক জোরে কান্না করে যার ফলে মানুষ বিরক্ত হয় এবং তা সবার জন্য অসহনীয় অবস্থা তৈরি করে। তার বয়স ৭ বছর। সে তার বয়সের তুলনায় অন্য বাচ্চাদের থেকে অনেক শক্তিশালী। সে ক্যানজো কে কেমুমাকি'র সাথে মারামারি করার সময় সাহায্য করে থাকে। হিন্দি সংস্করণে তিনি একজন তোতলা।
একজন নিনজা কুকুর যে কেনিচি'র সাথে থাকে। সে ক্যানজো এবং শিনজো'র সাথে এখানে এসেছিল। সে একটি অলস কুকুর যে সবসময় ঘরে থাকতে পছন্দ করে। সে এবং শিনজো সবমসময় সমস্যা তৈরি করে। সে যখন অতিরিক্ত রেগে যায় তখন আগুনের গোলায় পরিণত হয়। সে এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। তার শরীরের পশমের রং হলুদ। তার কপালে একটি দাগ আছে যেটি তার নিনজা হওয়ার পরিচয় বহন করে। সে সকল ধরনের মজাদার খাবার খেতে পছন্দ করে, বিশেষ করে ফিশ সসেজ এবং চকলেট রোল। হিন্দি সংস্করণে তিনি শিশুমানু নামে পরিচিত এবং "কাবাডি-কাবাডি" ডার সংলাপ।
একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র যার বয়স ১০ বছর। সে পড়ালেখায় অনেক দুর্বল। সে ইয়ুমিকো কে পছন্দ করে। কেমুমাকিও ইয়ুমিকো কে পছন্দ করে। হাতোরি তাকে সব ধরনের পরিস্থিতিতে সাহায্য করে। (একটি পর্বে দেখা যায় কেনেচি পুর্ণ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নিনজা হতে চায়) সে তার মায়ের কথাবার্তা শোনে না যার ফলে তার মা তাকে প্রায় সময় বকা দেয়। সে ভালোভাবে পড়াশুনা না করলেও আরেকজনকে সাহায্য করার একটি ভালো অভ্যাস রয়েছে তার মধ্যে। সে সবমসময় কেমুমাকি'র কুটবুদ্ধিতে আটকে যায়।সে একটুতেই ভেঙে পড়ে এবং কেঁদে ফেলে।
ওরফে সুবামি-কো একজন কুনোইচি যে হাতোরি-কুন এর সহপাঠী। সে হাতোরি কে পছন্দ করে এবং সবমসময় তাকে বিয়ে করতে চায়। সে কেমুমাকি এবং কাগেচিয়ো কে অপছন্দ করে। সে গোলাপি রংয়ের নিনজা কাপড় পড়ে থাকে। তার কাছে বাশিঁ সহ পাচঁ ধরনের কাঠের হাতিয়ার রয়েছে।
সে নিনজা হাতোরি'র একজন প্রতিপক্ষ। তার একটি বিড়াল রয়েছে যার নাম কাগেচিয়ো (কেমুজো) যে সবমসময় সমস্যার সৃষ্টি করে। সে সবমসময় শিনজো-হাতোরি'র সাথে প্রতিযোগিতা করে। তার বয়স ১১ বছর। সে কেনেচি থেকে উচ্চতায় ছোট কিন্তু তার থেকে বেশি শক্তিশালী এবং সামর্থ্যবান। সে ইয়ুমিকো-চেন এর জন্য কেনেচি'র সাথেও প্রতিযোগিতা করে। শুধুমাত্র কোগাইচি, কেনেচি এবং ক্যানজো'র পরিবার জানে তার দুই ধরনের জীবন সম্পর্কে। সে একজন সাধারণত বালক হয়ে কেনেচি'র বিদ্যালয়ে কেনেচি'র সাথে একই শ্রেণীতে পড়ে। তার পিতামাতা কে তা এখনো অজানা। তবে কিছু কিছু পর্বে তার মা কে দেখা যায়।
এটি একটি বিড়াল যেটি কেমোমাকি'র পোষা। এই সিরিজে বিড়ালটি কেমোমাকি'র পরিকল্পনায় একটি বড় দায়িত্ব পালন করে, এবং কেমোমাকি কে সাহায্য করে। কেমোমাকি'র বেশিরভাগ পরিকল্পনা সার্থক হয় না এই বিড়ালটির জন্য। কারণ সে কেমোমাকি থেকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পায়নি ফলে সে বেশিরভাগ সময়ই রাস্তায় শুয়ে থাকে। কয়েকটি এপিসোডে দেখা যায় হাতোরি তাকে বাঁচায়। বেশিরভাগ সময় শিশিমারু'র সাথে তার দ্বন্দ্ব লেগে থাকে। তার পুরো শরীর সাদা কালো রংয়ের। সে কেনেচি মিতসুবা'র ঘরে লুকিয়ে থাকে এবং সে ও তার বন্ধুদের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা কেমোমাকি কে জানায়। বিভিন্ন পর্বে দেখা যায় সে কেমোমাকি'র কড়াকড়ি আচরণের কারণে তাকে ঘৃণা করে এবং একটি সাধারণ বিড়াল হিসেবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে। সে একটি লোহার থালা তার পিঠে ঘষলে তার শরীরে তড়িৎ শক্তি উৎপন্ন হয়। যদি সে ওই শক্তি বেশি ব্যবহার করে তাহলে সে অনেক দুর্বল অনুভব করে।তিনি বিভিন্ন পর্বে বেসবল খেলায় কিপার হোন।
ওরফে ইয়ুমিকো-চ্যান একজন মেয়ে যে সবমসময় কেনেচি এবং কেমোমাকি'র ঝগড়ার কারণ হয়ে দাড়ায়। সে এই দুজনের সাথে একই স্কুলে এবং একই ক্লাসে পড়ে। কেমোমাকি এবং কেনেচি দুজনই ইয়ুমিকো কে পছন্দ করে এবং তাকে সবমসময় আকর্ষিত করার চেষ্টায় থাকে যার ফলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ সময়ই তাকে বিভ্রান্ত দেখা যায়। অনেক সময় সে হাতোরি'র কাছে যায়। ইয়ুমিকো হাতোরি কে তার বড় ভাই এবং শিনজো কে তার ছোট ভাইয়ের নজরে দেখে। সে কেনেচি কে পছন্দ করে। অনেক সময় মানুষজন হাতোরি এবং ইয়ুমিকো'র সম্পর্ক কে রোমান্টিক হিসেবে ধরে নেয়। কিছু কিছু এপিসোডে তাদের কে রোমান্স করতে দেখা যায়। সে পিয়ানো বাজাতে পছন্দ করে এবং মিষ্টি আলু অপছন্দ করে।সে হলুদ রঙয়ের একটি পাখি পোষে।
জিপ্পো একটি দৈত্যকৃতির নিনজা কচ্ছপ। সে নিনজা হাতোরির ইগা গ্রামের অংশীদারদ। তিনি ১৯৮১-এর নিনজা হাতোরি-কুন এনিমে পরবর্তী অংশে উপস্থিত হন। জিপ্পো হলো এক বিশালাকার কচ্ছপ। যার ক্রিম শেল এবং সবুজ ত্বক রয়েছে, কপালে এবং বড় চোখগুলিতে একটি ইগা নিনজা চিহ্ন। তিনি গর্জন সহকারে কথা বলেন, তবুও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন না।তার বৃহদাকৃতির শরীর থাকূ সত্ত্বেও সে খুব শান্ত, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক। তিনি মাঝেমধ্যে হাতোরি এবং এই গ্যাংয়ের সাথে তাদের দুঃসাহসিক কাজে যোগ দেন। দ্বন্দ্বের সাথে জড়িত থাকার সময়, যদিও তিনি তার প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার সময় আলোকিত করতে পারেন।[৩]
তিনি কেনিচির স্কুলের একজন যুক্তিবাদী, শ্রদ্ধাশীল ও ন্যায়পরায়ন শিক্ষক।তিনি মাঝে মাঝে খিটখিটে মেজাজি হয়ে যান।তিনি একটি কালো ফ্রেমযুক্ত চশমা পড়েন এবং তিনি খুব কমই ব্রিফকেস ছাড়া অবস্থায় থাকেন।তিনি প্রায়ই হাতোরির কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে থাকেন।তিনি তার সহকর্মী অাইকো ম্যাডামকে ভালোবাসেন।তিনি তার শিক্ষার্থীদের উপর প্রায়ই হোমওয়ার্কের বোঝা চাপিয়ে দেন।তার একটি পুত্র রয়েছে এবং তার সাথে সম্পর্ক বেশ ভালো। তার মাকে বেশ কয়েকটি পর্বে দেখা যায়।তার মা মি.কোইকে-কে কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন।[৪]
তিনি হলেন কেনিচির স্কুলের একজন বিষয় শিক্ষক।তিনি তার,শিক্ষার্থীদেরজে পিয়ানো বাজানো, রান্না করা ইত্যাদি শেখাব।তার ক্লাসের ইয়ুমিকো ভালো ছাত্রী হিসেবে খ্যাত।তিনি কমলা রঙের জামা পড়েন এবং মাথায় একটি হলুদ হেডব্যান্ড।মি.কোইকে তার উপর অাকর্ষিত হোন।[৫]