কোড নাম | |
---|---|
উন্নয়নকারী | গুগল |
প্রস্তুতকারক |
|
স্লোগান | Ask more of your phone. |
সিরিজ | পিক্সেল |
সর্বপ্রথম মুক্তি | ১৯ অক্টোবর ২০১৭ |
পূর্বসূরী | গুগল পিক্সেল এবং পিক্সেল XL |
ধরন | পিক্সেল ২: স্মার্টফোন পিক্সেল ২ XL: ফ্যাবলেট |
ফর্ম বিষয়াদি | স্লেট |
মাত্রা | পিক্সেল ২: উচ্চতা: ১৪৫.৭ মিমি (৫.৭৪ ইঞ্চি) প্রস্থ: ৬৯.৭ মিমি (২.৭৪ ইঞ্চি) বেধ: ৭.৮ মিমি (০.৩১ ইঞ্চি) পিক্সেল ২ XL: উচ্চতা: ১৫৭.৯ মিমি (৬.২২ ইঞ্চি) প্রস্থ: ৭৬.৭ মিমি (৩.০২ ইঞ্চি) বেধ: ৭.৯ মিমি (০.৩১ ইঞ্চি) |
ওজন | পিক্সেল ২: ১৪৩ গ্রাম (৫.০৪ আউন্স) পিক্সেল ২ XL: টেমপ্লেট:অ্যান্ড্রয়েড |
অপারেটিং সিস্টেম | অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ "ওরিও", অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ "ওরিও"তে আপগ্রেড করা যাবে |
চিপে সিস্টেম | Qualcomm Snapdragon 835 |
সিপিইউ | অষ্ট-কোর (৪ × ২.৩৫ গিগাহার্টজ, ৪ × ১.৯ গিগাহার্টজ) Kryo |
জিপিইউ | অ্যাড্রেনো ৫৪০ |
মডেম | কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এক্স১৬ এলটিই (অন্তুর্ভুক্ত) |
মেমোরি | ৪ জিবি LPDDR4X র্যাম |
সংরক্ষণাগার | 64 or 128 GB |
ব্যাটারি |
|
প্রদর্শন | পিক্সেল ২: ৫ ইঞ্চি (১৩০ মিমি) ফুল এইচডি অ্যামোএলইডি, ১৯২০ × ১০৮০ (৪৪১ পিপিআই) পিক্সেল ২ XL: ৬ ইঞ্চি (১৫০ মিমি) কিউ এইচডি পি-ওএলইডি, ১৮৮০ × ১৪৪০ (৫৩৮ পিপিআই) All: গরিলা গ্লাস ৫ |
পিছন ক্যামেরা | |
সম্মুখ ক্যামেরা | ৮ মেগাপিক্সেল সোনি Exmor IMX179 ১.৪ মাইক্রোমিটার পিক্সেল f/২.৪ অ্যাপারচার |
ওয়েবসাইট | store |
পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL (এক্সট্রা লার্জ) হল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন, যেটির নকশা, প্রস্তুত এবং বাজারকরণ করেছে গুগল। ৪ঠা অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে এই ফোন দুটি পিক্সেল এবং পিক্সেল XL এর উত্তরসূরি হিসাবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। ১৯শে অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে তারা গুগল পিক্সেল হার্ডওয়্যার সারির দ্বিতীয় যুগল হিসাবে মুক্তিলাভ করে।
২০১৭ মার্চের শুরুতে গুগলের রিক ওস্টেরলো নিশ্চিন্ত করেন যে এই বছরের শেষে তারা "পরবর্তী প্রজন্মের" পিক্সেল ফোন সকলের সামনে আনতে চলেছেন। তিনি আরো বলেন আগত ফোনটি মূল্যবান হবে এবং কোনোরকম সস্তার পিক্সেল হবে না।[২]
গুগলের ইচ্ছা ছিল ২০১৭ সালের তাদের প্রধান মোবাইল দুটি এইচটিসি প্রস্তুত করবে। কিন্তু পরবর্তীকালে তারা তাদের বড় মোবাইলটি প্রস্তুত করার জন্য এলজির দ্বারস্থ হয়। "Muskie" সাংকেতিক নামের যে অপ্রকাশিত ফোনটিকে সবাই পিক্সেল ২ XL হিসাবে ভেবেছিলো সেটি পরএইচটিTইউ১১11+ হিসাবআত্মপ্রকাশ করে।[৩]
ভারতে পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL প্রধানত ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে বিক্রি হয়।[৪]
পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL এর পিছনদিক একটি "মূল্যবান" প্লাস্টিকের প্রলেপযুক্ত অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরী এবং উপরের দিকটি বেতার সংযোগের জন্য কাঁচ দিয়ে ঢাকা।[৫] পিক্সেল ২ XL আগের বছরের পিক্সেল XL এর মতো নয়, যেটি শুধুমাত্র পিক্সেল মোবাইলটির একটি বিবর্ধিত সংস্করণ ছিল। কিন্তু নতুন পিক্সেল ২ XL এর নকশা তার কনিষ্ঠ পিক্সেল ২ এর থেকে আলাদা। পিক্সেল ২ XL এর স্ক্রিন লম্বা ১৮ঃ৯ অনুপাতের পি-ওএলইডি ডিসপ্লে দিয়ে তৈরী যেখানে পিক্সেল ২ এর স্ক্রিন ১৬ঃ৯ অনুপাতের অ্যামোএলইডি দিয়ে তৈরী।
পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL উভয় মোবাইলই কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর এবং ৪ জিবি LPDDR4X র্যাম দ্বারা চালিত। উভয়েরই ৬৪ জিবি এবং ১২৮ জিবি সংগ্রহস্থলের বিকল্প রয়েছে।
পিক্সেল ২ একটি ৫-ইঞ্চি (১৩০ মিমি) অ্যামোএলইডি ডিসপ্লের সঙ্গে উপলব্ধ যেটির রিসোলিউশন হলো ১৯২০×১০৮০ ঘনত্ব হলো ৪৪১ পিপিআই। সেখানে পিক্সেল ২ XL একটি ৬-ইঞ্চি (১৫০ মিমি) পি-ওএলইডি ডিসপ্লের সঙ্গে উপলব্ধ যেটির রিসোলিউশন হলো ২৮৮০×১৪৪০ ঘনত্ব হলো ৫৩৮ পিপিআই।
দুটি ফোনেরই পিছনের ক্যামেরা ১২.২ মেগাপিক্সেলের যেটি 4K ভিডিও ৩০ এফপিএস, ১০৮০পি ভিডিও ১২০ এফপিএস এবং ৭২০পি ভিডিও ২৪০ এফপিএসে তুলতে সক্ষম। এছাড়া ক্যামেরায় লেসার স্বয়ংক্রিয় ফোকাস এবং এইচডিআর+ উপলব্ধ। পিক্সেল ২ অথবা পিক্সেল ২ XL ফোনের মালিক ২০২০ সাল পর্যন্ত এই ফোনে তোলা যেকোনো ছবি বা ভিডিও প্রকৃত অবস্থাতেই গুগল ফটোসে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে।[৬] পিক্সেল ২ এর ক্যামেরা ডিএক্সোমার্কে এ ৯৮ নম্বর পেয়েছে যেটি সেসময় পর্যন্ত মোবাইল ক্যামেরার সর্বোচ্চ মান ছিল।[৭] ফোনদুটিতে ইন্টেলের বানানো পিক্সেল ভিজ্যুয়াল কোর নামক একটি ছবি প্রসেসর আছে, কম শক্তি খরচ করে দ্রুত ছবি প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে।[৮] যদিও বা ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ মাধ্যমে এই বিশেষ প্রসেসরটিকে চালু করা হয়।[৯][১০] যদিও বা অন্যান্য দামি মোবাইলের মতো এই ক্যামেরাটিতে অরূপান্তরিত ছবি তোলা যায় না এবং ব্যবহারকারী নিজের মনমতো ক্যামেরাটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।[১১] এছাড়া ফোনটির সম্মুখে স্থির ফোকাস দূরত্ব সম্পন্ন ৮ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা আছে।
এই ফোনদুটিতে "অ্যাকটিভ এজ" নামক একটি নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে। যেটি আসলে ফোনটির দুই পাশে বসানো একরকমের চাপ পরিমাপক সেন্সর। যার ফলে কেউ ফোনটিকে ধরে চাপ দিলে এটি একটি নির্দেশ প্রেরণ করবে। প্রধানত এটিকে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট খোলার জন্য ব্যবহৃত হয়।[১২]
পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL দ্রুত চার্জিং সহন করতে পারে এবং এটির পিছনে একটি আঙুলের ছাপ পরীক্ষক সেন্সর আছে। এটি আইপি৬৭ মানদণ্ড অনুসারে জল এবং ধুলো নিরোধী।
পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL গুগল নির্মিত আসল অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ "ওরিও" এর সাথে বাজারে এসেছে। গুগল প্রতিশ্রুতি তারা পরবর্তী তিন বছর ফোনদুটির সফটওয়্যার এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত হালনাগাদ দেবে।[১৩]
এই ফোনদুটিতে "অ্যাকটিভ এজ" নামক একটি নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে। এটি এটি নতুন ইনপুট ডিভাইস, যার সাহায্যে ব্যবহারকারী ফোনটির দুইপাশে চাপ দিয়ে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট খুলতে পারবে।
এছাড়া ফোনদুটিতে "গুগল লেন্স" নামক একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন স্থাপন করা আছে যেটি কোনো ছবির পর্যালোচনা করে সেই ছবি থেকে তথ্য বের করতে পারে। পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL স্বয়ংক্রিয় ভাবেই পরিপার্শ্বে বাজানো কোনো গান শুনে সেটিকে পর্যালোচনা করে গানটির তথ্য উপস্থাপন করতে সক্ষম।
এই ফোনদুটি তাদের পূর্বসূরির ন্যায় কোনোরকম দ্বৈত ক্যামেরা ব্যবহার না করেই পুরোপুরি সফটওয়্যারের এবং কৃত্রিম বুদ্ধির সাহায্যে কোনো ছবির বিষয় এবং তার পটভূমি আলাদা করতে সক্ষম।
ফোন দুটির জন্য ডিসেম্বর ৫, ২০১৭ তারিখে অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ "ওরিও" হালনাগাদ প্রকাশ করা হয়.[১৪]
পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL মোবাইলদুটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করেছে। ক্যামেরার গুণমান এবং জল নিরোধীর জন্য ফোনদুটির প্রশংসা করা হয়েছে,[১৫] কিন্তু হেডফোন জ্যাক না দেওয়ার জন্য অনেকে এর সমালোচনা করেছে।[১৬] কারণ গত বছর ঠিক একই কারণে গুগল অ্যাপেলের আইফোন ৭ কে উপহাস করেছিল।[১৭] ইউএসবি-সি থেকে ৩.৫ মিমি হেডফোন এডাপ্টারের দামের জন্য অনেকে এর নিন্দা করেছে। কারণ এই এডাপ্টারটির দাম আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ২০ ডলার ছিল[১৮] যেখানে অ্যাপেলের লাইটনিং থেকে ৩.৫ মিমি হেডফোন এডাপ্টারের দাম মাত্র ৯ ডলার। এছাড়া তারা ফোনের সঙ্গে বিনামূল্যে কোনো হেডফোনও দিচ্ছে না। যদিও বা অন্যান্য প্রস্তুতকারকের থেকে বাজারে অনেক কমদামে এই ইউএসবি-সি থেকে ৩.৫ মিমি হেডফোন এডাপ্টারটি অনেক কমদামে কিনতে পাওয়া যায়।[১৯] পরে অবশ্য গুগল এটির দাম কমিয়ে ৯ ডলারই রেখেছে।[২০][২১][২২]
এছাড়া ছোট স্ক্রিন এবং চওড়া ধারযুক্ত পিক্সেল ২ ফোনটির নকশাকেও অনেকে নিন্দা করেছে। যেখানে ২০১৭ সালের প্রথমদিকের মোবাইল স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৮ বা এলজি জি৬ প্রায় ধার ছিলই না।
ভার্জ এর ভ্লাদ সাভব অভিযোগ করেন যে পিক্সেল ২ XL এর ওএলইডি ডিসপ্লের রঙ অসম্পৃক্ত এবং স্ক্রিন বন্ধ হওয়ায় পরের কিছুক্ষণ পূর্বের প্রদর্শিত দৃশ্যের ছাপ থেকে যাচ্ছে।[২৩] পরবর্তী কালে অনেক বিশেষজ্ঞের কাছ থেকেও এই অভিযোগ পাওয়া যায়।
পরবর্তীকালে পিক্সেল ২ XL ফোনের ডিসপ্লেতে পিক্সেলের কালো রঙ নিয়েও কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়। কিছু পিক্সেল কালো রঙের থেকে অন্য রঙে পরিবর্তিত হতে একটু বেশি সময় ব্যয় করে ফেলছিলো। ফলে কোনো চলমান দৃশ্যে কিছু বিকৃতি ধরা পড়ছিলো।
যদিও বা সেসময় গুগল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পরবর্তীকালে সফটওয়্যার হালনাগাদের মাধ্যমে এই স্ক্রিনের সমস্যাগুলি নিবারণ করার চেষ্টা করা হবে। নভেম্বর মাসে প্রকাশিত নিরাপত্তামূলক হালনাগাদের মাধ্যমে ডিসপ্লের রঙের সম্পৃক্ততা সমস্যা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। গুগল বলেছে যে পরবর্তীকালে হালনাগাদের মাধ্যমে ডিসপ্লেটিকে আরও উন্নত করা হবে। গুগল সারা পৃথিবী জুড়ে ফোনদুটির জন্য ওয়ারেন্টি বর্ধিত করে দুই বছরের করেছে।
কিছু পিক্সেল ২ XL ডিভাইস স্ক্রিনের ধারে স্পর্শ গ্রহণ করতে অক্ষম হচ্ছিল। অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ হালনাগাদে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়।
প্রায় শ খানেক পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL ফোনের মালিক অভিযোগ করেছে যে ফোন থেকে মাঝেমধ্যে উচ্চ-স্বরের এবং টকটক শব্দ আসছে।[২৪] গুগল ব্যাপারটি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে এবং সুপারিশ করেছে যে যতদিন না পর্যন্ত কোনো হালনাগাদের মাধ্যমে সমস্যাটি স্থায়ী সমাধান করা হচ্ছে ততদিন আপাততঃ এনএফসি বন্ধ করে রাখতে।[২৫][২৬] নভেম্বরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত হালনাগাদে এই সমস্যাটি এবং ডব্লিউপিএ-২ ওয়াই-ফাইয়ের KRACK নিরাপত্তামূলক সমস্যার সমাধান করা হয়। যদিও বা এই হালনাগাদে কল করার সময় মাঝেমধ্যে যে গুঞ্জন হয় সেটির কোনো সমাধান হয় না। গুগল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা পরবর্তীকালে এই সমস্যাটির সমাধান করবে।[২৭]
কিছু পিক্সেল ২ XL-এ নিন্মমানের শব্দ বেকর্ড করারও অভিযোগ আছে। রেকর্ড করা উচ্চ স্বরের শব্দে কিছু বিকৃতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।[২৮] অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ হালনাগাদে এই সমস্যাটিরও সমাধান করা হয়।[২৯]
পিক্সেল ২ XL-এ শব্দের আওয়াজেও কিছু সমস্যা আছে। গুগল আলো, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রামের মতো বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে পাঠানো শব্দের আওয়াজ কিছুটা কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। গুগল এই সমস্যাটি নিয়েও সতর্ক। [৩০]
কিছু পিক্সেল ২ XL কোনোরকম অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া ক্রেতাকে পাঠানো হয়েছে। ফলে সেইগুলো একদমই অব্যবহারযোগ্য।[৩১][৩২][৩৩][৩৪]
পিক্সেল ২ XL যতটা দ্রুত চার্জ হওয়ার কথা ছিল, তত দ্রুত চার্জিং হয় না বলেও অভিযোগ আছে। ফোনটির চার্জার সর্বোচ্চ ১৮ ওয়াট ক্ষমতা সরবরাহ করতে পারলেও ফোনটি কখনোই সেই ক্ষমতা গ্রহণ করে না। ৬৫% চার্জ হওয়া পর্যন্ত মোবাইলটি মূলত ১০.৫ ওয়াট ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং তার পরে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। [৩৫]
এই মোবাইলের স্ক্রিন লক বা আনলক করার সময় কয়েকবার দপদপ করে বলেও প্রচার আছে।[৩৬]
আরেকটি ত্রুটি হল, কিছু ব্লুটুথ হেডফোনের সাথে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করে না।[৩৭]
অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন যে তারা তাদের পিক্সেল ২ মোবাইলের বুটলোডার আনলক করতে অসমর্থ।[৩৮][৩৯] গুগল এই সমস্যাটির সমাধান করলেও, এই সমাধানটি প্রয়োগ করতে ব্যবহারকারীকে তার মোবাইলের সমস্ত তথ্য মুছে একদম নতুন অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।[৪০]
কিছু ব্যবহারকারী জানিয়েছেন তাদের ফোনের মাইক্রোফোন মাঝেমধ্যে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। পরে মাইক্রোফোনে ফুঃ দিয়ে এটিকে ঠিক করতে হয়।[৪১]
কিছু মোবাইলে ব্লুটুথ সংযোগ নিয়েও অভিযোগ আছে।[৪২]
কিছু ফোন নিজে থেকেই মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে আবার চালু হওয়ার সমস্যা আছে। গুগল বলেছিল পরবর্তী সপ্তাহেই এটির সমাধান আসতে চলেছে।[৪৩] মনে করা হয় এলটিই মোডেমের জন্য এই সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ হালনাগাদেও এই সমস্যাটির কোনো সমাধান হয় না।[৪৪]
অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ হালনাগাদে আরও একটি নতুন সমস্যা দেখা যায়, যার ফলে আঙুলের ছাপ নির্ণায়ক সেন্সরটি ধীরে কাজ করে। গুগল এই ব্যপারটি নিয়ে তদন্ত করছে।[৪৫][৪৬]
কিছু ইউএসবি-সি এর থেকে ৩.৫ মিমি হেডফোন এডাপ্টার কাজ করছে না বলেও অভিযোগ আছে। কিছু ক্ষেত্রে ফোনটিকে বন্ধ করে আবার খুললে সমস্যাটির একটি সাময়িক নিরাময় হচ্ছে। গুগল বিনামূল্যে ত্রুটিপূর্ণ এডাপ্টারগুলো পাল্টানোর ব্যবস্থা করেছে।[৪৭][৪৮]
ওয়াই-ফাই জাল নেটওয়ার্কে সংযোগের ব্যপারেও কিছু সমস্যা আছে। ফলে সেসব ক্ষেত্রে বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। গুগল এটি নিয়েও তদন্ত করছে।[৪৯]
প্রথমদিকে ভারতে প্রধানত পিক্সেল ২ এবং পিক্সেল ২ XL অনলাইনে ফ্লিপকার্টের বিক্রি হয়। যদিও বা পরবর্তীকালে অন্যান্য অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্রগুলিতেও এই ফোনদুটি বিক্রি শুরু হয়। এছাড়া ভারতজুড়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স এবং মোবাইলের দোকানেও এই ফোনদুটি পাওয়া যায়।[৪][৫০]