পৈতৃক বন্ধন হচ্ছে পিতা এবং তার শিশুর মধ্যে এক প্রকার মানবিক বন্ধন। [১]
একটি শিশুর পিতার মধ্যে তার সঙ্গীর গর্ভাধানের সময় এই বন্ধন গড়ে উঠতে পারে। মার্তৃগর্ভে বিকশিত শিশুর প্রতি জন্মাতে পারে অনুরাগ। গবেষকরা বলছেন, এটার জৈবিক ভিত্তি থাকতে আছে।[২] পরিসংখ্যান বলছে যে; পিতার টেস্টেস্টোরন হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা শিশুর জন্মের কিছু মাস আগে থেকে হ্রাস পায়। উচ্চ মাত্রার টেস্টেস্টোরন আক্রমনাত্মক (কলহপ্রবণ) স্বভাবকে উসকে দেয়; পক্ষান্তরে কম মাত্রার টেস্টেস্টোরন নতুন সম্পর্কের বাধন তৈরীতে অনুপ্রাণিত করতে পারে। যা নবজাতক শিশুর জন্য জরুরী।[৩]
পিতা তার সন্তানের সাথে বন্ধন দৃঢ় করতে নানা পন্থা অবলম্বন করতে পারেন, যেমন ধীর লয়ে কথা বলে, তাকে নানা প্রবোধন দিয়ে, খাবার খাইয়ে (বুঝানো হয়েছে নবজাতককে খাওয়ানোর পদ্ধতি, বা বেবিফুড খাওয়ানো), ডায়াপার পরিবর্তন করে, গোসল করিয়ে, পোশাক পরিয়ে, শিশুর সাথে খেলা করে এবং কোলে নিয়ে। শিশুকে কোলে নিয়ে কিছুটা শুন্যে তুলে দিয়ে, অথবা তাকে পিছন থেকে হালকা করে ধাক্কা দিয়ে শিশু স্থানান্তর করে; এই পৈত্রিক-বাধঁনকে; পিতা দৃঢ় করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে একজন নারীর স্বামীকে বৈধ পিতা বলে ধরা হয়, যদি না তারা বিচ্ছিন্ন হন। একজন অবিবাহিত ব্যক্তিও পিতার অধিকার হাইকোর্টের দ্বারা পেতে পারেন।[৪] দত্তক নেওয়ার মাধ্যমেও একজন পুরুষ পিতার অধিকার পেতে পারেন।