ব্রহ্মপুরের পাট্টা (ফোড়া কুম্ভ) শাড়ি ও জোড়া | |
---|---|
ভৌগোলিক নির্দেশক | |
ধরন | হস্তশিল্প |
অঞ্চল | ব্রহ্মপুর, ওড়িশা |
দেশ | ভারত |
উপাদান | কাপড় |
ব্রহ্মপুরের পাট্টা শাড়িটি ভারত সরকারের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য (নিবন্ধকরণ এবং সুরক্ষা) আইন অনুসারে নিবন্ধিত (আবেদন নং ২২০) হয়েছে।[১] "শাড়ি" ব্যবহার করেন মহিলারা এবং "জোড়া" ব্যবহার করেন পুরুষেরা। এই বিখ্যাত রেশমের কাজের জন্য ব্রহ্মপুরকে ভারতের রেশম শহর নামেও ডাকা হয়।
ব্রহ্মপুরী রেশম শাড়িটি সাধারণ ওড়িশী শৈলীর বুনন ও কুম্ভ (মন্দির) নকশার কারণে অনন্য, বিশেষত ফোড়া মন্দিরের ধরনের নকশা। পাড়ের জরি কাজের নকশা অন্যান্য ধরনের শাড়ির থেকে পৃথক। বুনন কৌশলটি প্রায় ২০০ বছর আগে উদ্ভূত হয়েছিল বলে জানা যায়। বহুকাল পূর্বে এই সূক্ষ্ম বোনা শাড়িগুলি গোপালপুর বন্দরের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি হত বলে জানা যায়। শাড়িগুলিতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার মূর্তির নকশা শোভিত থাকে।[২]
অধিকাংশ ব্রহ্মপুরী বস্ত্র সমবায় সমিতি এবং বয়নিকার মাধ্যমে বিক্রি হয়। ব্রহ্মপুর শহরে তিনটি তাঁত সমবায় সমিতি রয়েছে। তারা বার্ষিক ১.৫০ কোটি থেকে ২ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে। বিপণনের জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে এবং কিছু শীর্ষস্থানীয় অনলাইন কেনাকাটা সাইটগুলি থেকে এই বস্ত্রের জন্য অনলাইন কেনাকাটা করা যাচ্ছে।[৩][৪]