পাড়গাঁওকর , ১৯২৯ সালের ১০ই মার্চ, মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার ওয়েনগুরলায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি মারাঠি এবং সংস্কৃতেমুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বেশ কিছু বছর মুম্বইয়ের মাতুশ্রী মিঠিবাঈ কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং তারপর ১৯৭০-১৯৯০ মুম্বইয়েরইউ.এস.ইনফরমেশন সার্ভিসে(ইউ.এস.আই.এস.) সম্পাদক হিসাবে কাজ করেন। তিনি কিছুদিন "সাপ্তাহিক সাধনা"তে সহ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেন। [২]
পাড়গাঁওকর ১৪ বছর বয়স থেকে কবিতা লেখা শুরু করেন।[৩] কল্পনাময় প্রেমকাব্যের সংকলন "সালাম" এর শিরোনামাঙ্কিত কবিতাটিতেই তিনি ছক ভেঙে পারিপার্শ্বিক ভ্রষ্ট সামাজিক ক্ষমতাবিন্যাসকে বিদ্ধ করেছেন। তাঁর লেখা ছোটদের জন্য বই "সুট্টী এক্কে সুট্টী" এবং "নিম্বোনিচ্যা জাদামাগে" একটি প্রবন্ধসংকলন। বিন্দা কারান্ডিকার ও বসন্ত বাপাতের সঙ্গে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ এর দশক তিনি সারা মহারাষ্ট্র ঘুরে কবিতা পাঠ করেছেন। [৪] তিনি "মুরগী ক্লাব" নামে একটি মারাঠী সাহিত্যমন্ডলীরও সদস্য ছিলেন যেটি খানিকটা আলগনকুইন রাউন্ড টেবিল ধাঁচের সাহিত্যসভা ছিল। এই সভাটিতে পাড়্গাঁওকার ছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিন্দা কারান্ডিকার, বসন্ত বাপাত, গঙ্গাধর গ্যাডগিল, সদানন্দ রেগে এবং শ্রী পু ভগত। তাঁরা অনেক বছর ধরে প্রত্যেক মাসেই মিলিত হয়ে শব্দ নিয়ে খেলা,সাহিত্য বিষয়ক রঙ্গ রসিকতা ও একসাথে খাওয়াদাওয়া করতেন [৫]
পাড়্গাঁওকার যখন ইউ.এস.আই.এস এ কর্মরত, তখন তিনি অবসর সময়ে অনুবাদের কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথমদিকে কিছু আমেরিকান উপন্যাস, যেমন জেমস ফেনিমোর কুপারের "পাথফাইন্ডার" অনুবাদ করেন ("ওয়াতাদ্যা")। পরবর্তী সময়ে কাকাসাহেব কালেলকারের পরামর্শে মীরাবাঈয়ের লেখা অনুবাদ করেন এবং ১৯৬৫ সালে তাঁর "মীরা" গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি সন্ত কবীর, সুরদাস এর লেখা ও শেকসপিয়রের বিভিন্ন নাটক যেমন দ্য টেমপেস্ট, জুলিয়াস সীজার এবং রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট মারাঠীতে অনুবাদ করেন। এই অনুবাদগুলি ইংল্যান্ডের স্ট্র্যাটফোর্ড অন অ্যাভনের শেকসপিয়র স্মৃতিমন্দিরে সংগৃহিত হয়েছে। তাঁর বাইবেল:দ্য নিউ টেস্টামেন্টের অনুবাদ ২০০৮সালে প্রকাশিত হয়। পাড়্গাঁওকারের প্রায় ২০টি ছোটদের জন্য কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয়েছে।
বিভিন্ন লেখকের বিখ্যাত রচনাগুলি যেমন তিনি অনুবাদ করেছেন, তেমন একই সাথে বইগুলির ভূমিকাও লিখেছেন। সেখানে তিনি মূল কাহিনীকারের সম্বন্ধে, তাঁদের রচনাশৈলী ও সমসাময়িক সাহিত্য সম্বন্ধেও আলোচনা করেছেন। এইসব ভূমিকাগুলি একত্রে "চিন্তন" নামে একটি বই আকারে এক প্রখ্যাত প্রকাশনী সংস্থা প্রকাশ করে। [৬] তাঁর বেশিরভাগ পূর্বপ্রকাশিত প্রবন্ধসমূহ, স্বরচিত রচনাগুলির আলোচনা ও সমালোচনা ইত্যাদি নিয়ে রচনাসমগ্রের নাম "শোধ কাভিতেচা"। এখানে তিনি তাঁর কবিতাগুলি সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন; কীভাবে তারা উৎসারিত হল, তাদের অতিক্রমণ, সেগুলি সম্বন্ধে অন্যান্য লেখকদের মূল্যায়ন ইত্যাদি। এই বইটির বেশিরভাগ প্রবন্ধই আগেই আলাদাভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। আরেকটি বই "স্নেহগাথা"তে তিনি অন্যান্য সহ লেখক ও সাহিত্যিকদের সঙ্গে কেমন সময় কাটিয়েছেন তার স্মৃতিচারনা লিপিবদ্ধ করেছেন। [৭]
তিনি অনেক মারাঠি গানের গীতিকারও। অরুণ দাতের গাওয়া তাঁর লেখা গান "ইয়া জনমাবার, ইয়া জগন্যাওয়ার শাতাদা প্রেম কারায়ে", "ভাটুকালিচ্যা খেলামাধালি" ও "শুক্রতারা মান্ড ওয়ারা" খুবই পরিচিত। [৪] ১৯৮৩-১৯৮৪ সালে তিনি পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সঙ্গীত "পূন্যময়ী দে আমহা অক্ষর বরদান" রচনা করেন। পুলা দেশপান্ডের অনুরোধে তিনি একদিনেই গানটি রচনা করেন। এরপর গানটিতে সুরারোপ করেন সুরকার ভাস্কর চন্দভারকার.[৮]
তিনি ২০১০ সালে দুবাইয়ে "অখিল ভারাতীয় মারাঠি সাহিত্য মহামন্ডল" আয়োজিত "২য় মারাঠি সাহিত্য সম্মেলন"র সভাপতি নির্বাচিত হন।.[৯][১০]
↑पाडगावकरांनी केला रसिकांना 'सलाम' এবং তাঁর ৪০টি পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে যার বেশিরভাগই "মৌজ প্রকাশন" থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রথম দিকের কিছু বই প্রধানত কল্পনাময় কাব্যের সংকলন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি অন্যান্য বিষয়ের উপর লিখেছেন, যেমন ছোটদের জন্য কবিতা, সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়কে প্রতিফলন করেছে এমন কিছু কবিতা, প্রবন্ধসংকলন, ইংরাজী তথা অন্যান্য ভাষা থেকে অনুবাদ ইত্যাদি।ইউ.এস.কংগ্রেস গ্রন্থাগার তাঁর ৩১ টি প্রকাশনা সংগ্রহ করে। <ref>"The South Asian Literary Recording Project"। Library of Congress, New Delhi। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১০।