দেশ | যুগোস্লাভিয়া (১৯৯৮-১৯৯১) যুগোস্লাভিয়া (১৯৯২-১৯৯৪) যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪-২০০৮) | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বাসস্থান | সারাসোতা, ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ||||||||||||||
জন্ম | নভি সাদ, এসআর সার্বিয়া, এসএফআর যুগোস্লাভিয়া | ডিসেম্বর ২, ১৯৭৩||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) | ||||||||||||||
পেশাদারিত্ব অর্জন | ১৯৮৯ | ||||||||||||||
অবসর গ্রহণ | ২০০৮ (সর্বশেষ খেলা: ২০০৩) | ||||||||||||||
খেলার ধরন | বামহাতি (উভয় পার্শ্বেই দুইহাতে) | ||||||||||||||
পুরস্কার | US$ ১৪,৮৯১,৭৬২ | ||||||||||||||
টেনিস এইচওএফ | ২০০৯ (সদস্য পাতা) | ||||||||||||||
একক | |||||||||||||||
পরিসংখ্যান | ৫৯৫-১২২ (৮২.৯৮%) | ||||||||||||||
শিরোপা | ৫৩ | ||||||||||||||
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | ১নং (১১ মার্চ, ১৯৯১) | ||||||||||||||
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল | |||||||||||||||
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | জ (১৯৯১, ১৯৯২, ১৯৯৩, ১৯৯৬) | ||||||||||||||
ফ্রেঞ্চ ওপেন | জ (১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯২) | ||||||||||||||
উইম্বলডন | ফ (১৯৯২) | ||||||||||||||
ইউএস ওপেন | জ (১৯৯১, ১৯৯২) | ||||||||||||||
অন্যান্য প্রতিযোগিতা | |||||||||||||||
ট্যুর ফাইনাল | জ (১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯২) | ||||||||||||||
অলিম্পিক গেমস | ব্রোঞ্জপদক (২০০০) | ||||||||||||||
দ্বৈত | |||||||||||||||
পরিসংখ্যান | ৮৯-৪৫ | ||||||||||||||
শিরোপা | ৬ | ||||||||||||||
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | ১৬ (২২ এপ্রিল, ১৯৯১) | ||||||||||||||
গ্র্যান্ড স্ল্যাম দ্বৈতের ফলাফল | |||||||||||||||
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | সে.ফা. (১৯৯১, ২০০১) | ||||||||||||||
ফ্রেঞ্চ ওপেন | ৩রা (১৯৯০) | ||||||||||||||
উইম্বলডন | কো.ফা. (১৯৯৯) | ||||||||||||||
ইউএস ওপেন | কো.ফা. (১৯৯৯) | ||||||||||||||
দলগত প্রতিযোগিতা | |||||||||||||||
ফেড কাপ | যুক্তরাষ্ট্র জ (১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০০) | ||||||||||||||
হপম্যান কাপ | যুগোস্লাভিয়া জ (১৯৯১) যুক্তরাষ্ট্র ফ (২০০১, ২০০২) | ||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
মনিকা সেলেস (হাঙ্গেরীয়: Szeles Mónika; সার্বীয়: Моника Селеш, Monika Seleš; উচ্চারণ [sɛlɛʃ]; (জন্ম: ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৩)[১] যুগোস্লাভিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিশ্বের সাবেক যুগোস্লাভ ১নং পেশাদার প্রমিলা টেনিস খেলোয়াড়। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক টেনিস হল অব ফেমের অন্যতম সদস্য তিনি। হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত সেলেসের জন্ম হয়েছে সাবেক যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে। সেখানেই তিনি তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। ১৯৯৪ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। এছাড়াও, জুন, ২০০৭ সালে হাঙ্গেরীর নাগরিকত্ব অর্জন করেন।[২][৩] তিনি নয়বার গ্র্যান্ড স্লামের এককের শিরোপা পেয়েছেন। তন্মধ্যে একটি বাদে সবগুলোই যুগোস্লাভিয়ায় থাকা অবস্থায় পেয়েছেন।
তার বাবা ইস্টার ও মা কারোল হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত ছিলেন।[৪] তার এক বড় ভাই জোল্তান রয়েছে। পাঁচ বছর বয়স থেকেই টেনিসের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ডেভনিক ও মাগিয়ার জো সংবাদপত্রের পেশাদার কার্টুনিস্ট বাবা তাকে প্রশিক্ষণ দিতেন।[৫] দুইহাতে ফোরহ্যান্ড ও ব্যাকহ্যান্ডে দক্ষতা আনয়ণে তার বাবা সচেষ্ট ছিলেন।[৬] পরবর্তীকালে জেলেনা জেনসিচ তার কোচ হয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে ১১ বছর বয়সে ফ্লোরিডার মায়ামিতে অরেঞ্জ বোল প্রতিযোগিতার শিরোপা লাভের পর বিখ্যাত টেনিস কোচ নিক বোল্লেত্তিয়েরি’র মনোযোগ আকর্ষণ করেন। ১৯৮৬ সালে স্বপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে নিকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত নিক বোল্লেত্তিয়েরি টেনিস একাডেমিতে দুই বছরের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৯০ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়নশীপে সর্বকনিষ্ঠ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা লাভ করেন। নিজের ২০তম জন্মদিনের পূর্বেই আটটি গ্র্যান্ড স্লামের এককে শিরোপা জয় করেন। ৩০ এপ্রিল, ১৯৯৩ তারিখে খেলার মাঠে থাকা অবস্থায় একজন ব্যক্তি তার পিঠে ৯-ইঞ্চির দীর্ঘ ছোড়া দিয়ে আঘাত করে।[৭] ফলশ্রুতিতে পরবর্তী দুই বছর টেনিস মাঠে ফিরে আসতে পারেননি। এরপর ১৯৯৫ সালে পুনরায় টেনিস জগতে ফিরে আসেন ও কিছু সফলতা পান। ১৯৯৪ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভের পর ১৯৯৬, ১৯৯৯ ও ২০০০ সালের ফেড কাপে মার্কিন দলকে শিরোপা বিজয়ে সহায়তা করেন। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চতুর্থ স্থান দখল করেন। কিন্তু তিনি আর কখনও তার সেরা ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে পারেননি। ২০০৩ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন প্রতিযোগিতার সর্বশেষ পেশাদার খেলায় অংশ নেন। অতঃপর ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে টেনিস থেকে তার অবসরের ঘোষণা দেন।[৮]
জুন, ২০১১ সালে সেলেসকে টাইম সাময়িকী কর্তৃক অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত শীর্ষক ৩০জন শীর্ষস্থানীয় মহিলা টেনিস খেলোয়াড়ের একজনরূপে ঘোষণা করা হয়।[৯]
জানুয়ারি, ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক টেনিস হল অব ফেমে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১০]