মসুলিপত্তনম মসুলিপত্তনম, মাসুলা, বন্দর | |
---|---|
শহর | |
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৬°১০′ উত্তর ৮১°০৮′ পূর্ব / ১৬.১৭° উত্তর ৮১.১৩° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জেলা | কৃষ্ণা জেলা |
মণ্ডল | মসুলিপত্তনম |
স্থাপিত | ১৪শ শতক |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | মসুলিপত্তনম পৌরসভা, মুদা |
• বিধায়ক | পের্নি ভেঙ্কটরামিয়া (ননি)) (যুবজন শ্রমিক রাইথু কংগ্রেস পার্টি) |
• পৌর কমিশনার | পি জে সম্পথ কুমার |
আয়তন[১] | |
• মোট | ২৬.৬৭ বর্গকিমি (১০.৩০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ১,৬৯,৮৯২ |
• জনঘনত্ব | ৬,৮৭৫/বর্গকিমি (১৭,৮১০/বর্গমাইল) |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারি | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৫২১০০১ |
টেলিফোন কোড | ৯১-০৮৬৭২ |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি-১৬ |
ওয়েবসাইট | machilipatnam |
মসুলিপত্তনম (ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কৃষ্ণা জেলার একটি শহর। এটি একটি পৌর কর্পোরেশন এবং কৃষ্ণা জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর।[৩] এটি জেলার মসুলিপত্তনম রাজস্ব বিভাগের মসুলিপত্তনম মণ্ডলের মণ্ডল সদর দপ্তর।[৪][৫] প্রাচীন বন্দর শহরটি ১৬শ শতাব্দী থেকে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের বসতি হয়ে উঠেছিল, এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে এটি ব্রিটিশ, ওলন্দাজ এবং ফরাসিদের জন্য একটি প্রধান বাণিজ্য বন্দর ছিল।[৬]
), মছিলিপট্টনম এবং বন্দর নামেও পরিচিত,১৭শ শতকে, এটি মসুলিপট্টনম, মসুলা এবং 'বন্দর' (তুর্কি, আরবি এবং ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে) নামে পরিচিত ছিল।[৭][৮][৯] প্রাচীনকালে বন্দর শহরটিকে মেসোলিয়া নামেও উল্লেখ করা হত।[১০]
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৮৭১ | ৩৬,১৮৮ | — |
১৮৮১ | ৩৫,০৫৬ | −৩.১% |
১৮৯১ | ৩৮,৮০৯ | +১০.৭% |
১৯০১ | ৩৯,৫০৭ | +১.৮% |
১৯১১ | ৪২,১২৩ | +৬.৬% |
১৯২১ | ৪৩,৯৪০ | +৪.৩% |
১৯৩১ | ৫৬,৯২৮ | +২৯.৬% |
১৯৪১ | ৫৯,১৪৬ | +৩.৯% |
১৯৫১ | ৭৭,৯৫৩ | +৩১.৮% |
১৯৬১ | ১,০১,৪১৭ | +৩০.১% |
১৯৭১ | ১,১২,৬১২ | +১১% |
১৯৮১ | ১,৩৮,৫২৫ | +২৩% |
১৯৯১ | ১,৫৯,১১০ | +১৪.৯% |
২০০১ | ১,৭৯,৩৫৩ | +১২.৭% |
২০১১ | ১,৬৯,৮৯২ | −৫.৩% |
ভারতের জনপরিসংখ্যান ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], মসুলিপত্তনমের জনসংখ্যা ছিল ১,৭০,০০৮। মোট জনসংখ্যা ৮৩,৫৬১ জন পুরুষ এবং ৮৬,৪৪৭ জন মহিলা — অর্থাৎ যৌন অনুপাত অনুসারে প্রতি ১০০০ পুরুষের জন্য ১০৩৫ জন মহিলা। ১৩,৭৭৮ জন শিশু ০-৬ বছর বয়সীদের মধ্যে পড়েছে, এদের মধ্যে ৭,০৭৬ জন বালক এবং ৬,৭০২ জন বালিকা। গড় সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৮৩.৩২%, অর্থাৎ সাক্ষরের সংখ্যা ১৩০,১৭৩ জন, রাজ্যের গড় ৬৭.৪১% এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।[২][১১]
মসুলিপত্তনম শহরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয়। এর জলবায়ু হল ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু (কোপ্পেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস আও), অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে অসহ্য গরম এবং শীতকালে মাঝারি শীত পড়ে। উষ্ণতম মাসগুলি হল এপ্রিল থেকে জুন। জেলার গড় বৃষ্টিপাত ৯৫৯ মিলিমিটার (৩৭.৮ ইঞ্চি) এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মসুলিপত্তনম শহরের সমুদ্রে বড় বড় ঢেউয়ের ঝুঁকি রয়েছে। ১৯৭৭ অন্ধ্রপ্রদেশ ঘূর্ণিঝড় নিজামপত্তনমের কাছে উপকূল পেরিয়েছিল এবং প্রায় ১০,০০০ মানুষের জীবন গিয়েছিল। ঝড় উপকূলের কাছাকাছি আসতেই, প্রবল বাতাস ২০০ কিমি/ঘণ্টা প্রবাহিত হয়ে প্রকাশম, গুন্টুর, কৃষ্ণা, পূর্ব গোদাবরী এবং পশ্চিম গোদাবরী জেলায় আছড়ে পরে। ৫০০ মিটার উঁচু তীব্র ঢেউ, কৃষ্ণা মোহনা এবং মসুলিপত্তনম শহরের (বন্দর) দক্ষিণ উপকূল ডুবিয়ে দেয়।
৮ই ডিসেম্বর ২০০৪ সালে, একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এস-ব্যান্ড ডপলার সাইক্লোন সতর্কতা রাডার এই শহরে বসিয়ে চালু করা হয়েছিল।[১২] এটি তৈরি করেছিল একটি জার্মান সংস্থা, জেম্যাট্রোনিক। রাডার স্থাপনের সাথে, বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাজ্যটি ঘূর্ণিঝড়গুলিকে অনুসরণ করতে আরও সক্ষম হবে, দ্য হিন্দু সংবাদপত্রের সাথে কথা বলে রাজ্য আবহাওয়া অফিস এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছিলেন। এর ফলে রাজ্যের ৯৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখা জুড়ে পর্যবেক্ষণের সুবিধা থাকবে।[১৩]
মসুলিপত্তনম-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩২.৪ (৯০.৩) |
৩৪.৬ (৯৪.৩) |
৩৮.১ (১০০.৬) |
৪১.৮ (১০৭.২) |
৪৬.৫ (১১৫.৭) |
৪৫.৪ (১১৩.৭) |
৪০.৮ (১০৫.৪) |
৩৮.৬ (১০১.৫) |
৩৬.৮ (৯৮.২) |
৩৭.২ (৯৯.০) |
৩৩.৩ (৯১.৯) |
৩৩.০ (৯১.৪) |
৪৬.৫ (১১৫.৭) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৮.৫ (৮৩.৩) |
৩০.২ (৮৬.৪) |
৩২.৫ (৯০.৫) |
৩৪.৬ (৯৪.৩) |
৩৭.৩ (৯৯.১) |
৩৬.৭ (৯৮.১) |
৩৩.৭ (৯২.৭) |
৩২.৬ (৯০.৭) |
৩২.৫ (৯০.৫) |
৩১.৬ (৮৮.৯) |
৩০.১ (৮৬.২) |
২৮.৮ (৮৩.৮) |
৩২.৪ (৯০.৪) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ২৩.৮ (৭৪.৮) |
২৫.৫ (৭৭.৯) |
২৭.৫ (৮১.৫) |
৩০.২ (৮৬.৪) |
৩২.৪ (৯০.৩) |
৩২.৪ (৯০.৩) |
২৯.৭ (৮৫.৫) |
২৯.০ (৮৪.২) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
২৭.৮ (৮২.০) |
২৫.৮ (৭৮.৪) |
২৪.৩ (৭৫.৭) |
২৮.১ (৮২.৬) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১৯.০ (৬৬.২) |
২০.৮ (৬৯.৪) |
২২.৬ (৭২.৭) |
২৫.৭ (৭৮.৩) |
২৭.৫ (৮১.৫) |
২৭.০ (৮০.৬) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৫.৩ (৭৭.৫) |
২৪.০ (৭৫.২) |
২১.৬ (৭০.৯) |
১৯.৯ (৬৭.৮) |
২৩.৭ (৭৪.৭) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ১৪.০ (৫৭.২) |
১৫.৬ (৬০.১) |
১৭.৩ (৬৩.১) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
১৭.৬ (৬৩.৭) |
২১.০ (৬৯.৮) |
১৮.৮ (৬৫.৮) |
১৮.৮ (৬৫.৮) |
১৮.১ (৬৪.৬) |
১৭.৮ (৬৪.০) |
১৫.৩ (৫৯.৫) |
১৪.৬ (৫৮.৩) |
১৪.০ (৫৭.২) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ২ (০.১) |
৭ (০.৩) |
৬ (০.২) |
১০ (০.৪) |
৩৫ (১.৪) |
১১৭ (৪.৬) |
১৯৫ (৭.৭) |
১৮৪ (৭.২) |
১৬৭ (৬.৬) |
২৪২ (৯.৫) |
৮৬ (৩.৪) |
১৯ (০.৭) |
১,০৭০ (৪২.১) |
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় | ০.৫ | ০.৬ | ০.৫ | ০.৮ | ২.২ | ৭.৭ | ১৩.৮ | ১২.৬ | ১০.৪ | ৯.২ | ৫.৬ | ১.২ | ৬৫.১ |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৭৬ | ৭৫ | ৭৩ | ৭৩ | ৬৬ | ৬২ | ৭২ | ৭৪ | ৭৮ | ৭৯ | ৭৫ | ৭৫ | ৭৩ |
উৎস ১: NOAA (1971–1990)[১৪] | |||||||||||||
উৎস ২: Climate-Data.org[১৫] |
টেমপ্লেট:Krishna district টেমপ্লেট:Mandal headquarters in Krishna district