মানিবল | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | বেনেট মিলার |
প্রযোজক | |
চিত্রনাট্যকার | |
কাহিনিকার | স্ট্যান চেরভিন |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | মাইচেল ডানা |
চিত্রগ্রাহক | ওয়ালি ফিস্টার |
সম্পাদক | ক্রিস্টোফার টেলেফ্সেন |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | সনি পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৩ মিনিট[১] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৫০ মিলিয়ন[২] |
আয় | $১১০.২ মিলিয়ন[৩] |
মানিবল (ইংরেজি শিরোনাম: Moneyball) একটি আমেরিকান জীবনীভিত্তিক ক্রীড়া-বিষয়ক চলচ্চিত্র, যা স্টিভেন যেইলিয়েন ও আরন সর্কিন কর্তৃক রচিত এবং বেনেট মিলার কর্তৃক পরিচালিত। আমেরিকার বেসবল দল ওকল্যান্ড অ্যাথলেটিক্স এর ২০০২ মৌসুম এবং তাদের মহাব্যবস্থাপক বিলি বিন কর্তৃক একটি শিরোপা-প্রত্যাশী দল গঠনের প্রয়াস নিয়ে, ২০০৩ সালে মাইকেল লুইস কর্তৃক একই শিরোনামে রচিত তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ অবলম্বনে এই ছায়াছবিটি নির্মিত হয়েছে।
এই চলচ্চিত্রে, বিন (ব্র্যাড পিট) এবং তার সহকারী ব্যবস্থাপক পিটার ব্র্যান্ড (জোনাহ হিল), মালিকপক্ষের দেওয়া সীমিত আর্থিক বরাদ্দ দিয়ে, সেবারমেট্রিক (sabermetric) পন্থা অবলম্বনে পরিসংখ্যানগত উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে খেলোয়াড় বাছাই করে, অবমূল্যায়িত মেধাবী খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি দল গঠন করেন।
২০০৪ সালে কলাম্বিয়া পিকচার্স লুইস এর রচিত বইটির সত্ব কিনে নেয় এবং স্ট্যান চেরভিনকে এর চিত্রনাট্য রচনার জন্য নিযুক্ত করে। শুরুতে ছবিটি পরিচালনা করার কথা ছিল ডেভিড ফ্রাঙ্কেল এর, আর চিত্রনাট্যের দায়িত্ব পান স্টিভেন যেইলিয়ান; কিন্তু অতি সত্বর ফ্রাঙ্কেলের স্থলাভিষিক্ত হন স্টিভেন সোডারবার্গ। তিনি অর্ধ-তথ্যচিত্র ঘরানার একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন, যেখানে আসল ক্রীড়াবিদদের সাক্ষাৎকার থাকবে, আর বাস্তব খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকগণই ছবিতে নিজেদের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। তবে ২০০৯ এর জুলাইয়ে চলচ্চিত্রায়ণের কাজ শুরুর আগে, শেষ মূহুর্তে চিত্রনাট্যের পুনর্লিখন নিয়ে সোডারবার্গ এবং সনি পিকচার্স এর মধ্যে মতানৈক্যের প্রেক্ষিতে, সাময়িক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। সোডারবার্গ বিদায় নেন এবং তার জায়গায় বেনেট মিলার পরিচালনার দায়িত্ব পান। ব্র্যাড পিট ছবিটির প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হন এবং চিত্রনাট্য পুনর্লিখনের জন্য সরকিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। জুলাই ২০১০ এ চলচ্চিত্রায়ণ শুরু হয়, ডজার স্টেডিয়াম ও ওকল্যান্ড কলিসিয়াম-সহ বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে চলচ্চিত্র ধারণের কাজ সম্পন্ন হয়।
২০১১ সালের টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মানিবল চলচ্চিত্রটি প্রথম প্রদর্শিত হয় এবং ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে, সফলভাবে বক্স অফিসে মুক্তি লাভ করে। ছায়াছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়, বিশেষ করে অভিনয় এবং চিত্রনাট্যের জন্য। চলচ্চিত্রটি ছয়টি বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কার এর জন্য মনোনীত হয়, যার মধ্যে ছিল শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত চিত্রনাট্য, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ব্র্যাড পিট, এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জোনাহ হিল।
বেসবল দল ওকল্যান্ড অ্যাথলেটিক্স এর মহাব্যবস্থাপক বিলি বিন, ২০০১ সালের আমেরিকান লীগ বিভাগীয় সিরিজ এর ফাইনালে নিউ ইয়র্ক ইয়্যাংকিজ এর কাছে পরাজিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হন। উন্মুক্ত খেলোয়াড় (free agent) হিসেবে জনি ডেমন, জেসন জিয়াম্বি, জেসন ইজরিংহাউজিন এর মত তারকা খেলোয়াড়দের বিনামূল্যে প্রস্থান অনিবার্য হওয়ায়, বিন-কে ২০০২ মৌসুমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত একটা দল গঠন করতে হবে, সেটাও ওকল্যাণ্ডের সীমিত আর্থিক বরাদ্দ দিয়ে।
স্কাউট হিসেবে ক্লিভল্যান্ড ইন্ডিয়ান্স দলের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎকালে, বিনের সাথে দেখা হয় পিটার ব্র্যান্ডের। ব্র্যান্ড ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক একজন তরুণ, খেলোয়াড়দের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে কিছু বৈপ্লবিক চিন্তা-চেতনা পোষণ করে। ব্র্যান্ডের তত্ত্ব যাচাই করার জন্য বিন তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সে (ব্র্যান্ড) কি বিন-কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সরাসরি দলে টানত কি-না। স্কাউটরা বিনকে সম্ভাবনাময় বলে মনে করলেও, মেজর লীগ বেসবল-এ তার পেশাদার জীবন ছিল বেশ হতাশাজনক। ব্র্যান্ড স্বীকার করে যে, তার নিজস্ব মান যাচাই পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করলে, সে বিনকে নবম দফা বাছাইয়ের আগে দলে ভেড়াত না। তার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়ে বিন তাকে নিজের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে নিযুক্ত করেন।
ওকল্যান্ড এর স্কাউটদের অভিজ্ঞতা ও সজ্ঞা'র ওপর নির্ভর না করে, ব্র্যান্ড সেবারমেট্রিক বিশ্লেষণ ব্যবহার করে, খেলোয়াড়দের বেইজ এ পৌঁছানোর হার (On-base percentage, OBP) এর ভিত্তিতে খেলোয়াড় নির্বাচন করে। ব্র্যান্ড আর বিন মিলে এই পন্থা অনুসরণ করে, অবমূল্যায়িত খেলোয়াড়দের, যেমন- অপ্রচলিত সাবমেরিন নিক্ষেপক (submarine pitcher) চ্যাড ব্র্যাডফোর্ড, বয়স্ক আউটফিল্ডার ডেভিড জাস্টিস, এবং আহত ক্যাচার (catcher) স্কট হ্যাটারবার্গকে দলে ভেড়ায়।
স্কাউটরা বিনের এই কৌশলের তুমুল বিরোধিতা করে। বিনের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে দলকে ধ্বংস করার অভিযোগ করায়, প্রধান স্কাউট গ্রেডি ফিউসন-কে বরখাস্ত করেন বিন। অ্যাথলেটিক্স কোচ আর্ট হাওয়ের কাছ থেকেও বিন বিরোধিতার স্বীকার হন। এমনিতেই নতুন চুক্তিজনিত বিবাদ নিয়ে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন তুঙ্গে ছিল, তার ওপর বিন ও ব্র্যান্ডের এসব কৌশলকে পাত্তা না দিয়ে, হাও নিজের পছন্দসই প্রথাগত দল মাঠে নামান।
মৌসুমের শুরুতেই, শীর্ষ দলের থেকে দশ ম্যাচের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে অ্যাথলেটিক্স, যার প্রতিক্রিয়ায় সমালোচকগণ বিনের পদ্ধতিকে 'ব্যর্থ' বলে অভিহিত করে। কিন্তু ব্র্যান্ড যুক্তি দেখায় যে, তাদের পদ্ধতি ব্যর্থ বলে উপসংহার টানা যায় না, কেননা তখন পর্যন্ত নমুনা আকার খুবই ক্ষুদ্র। তাদের কৌশলের ওপর ভরসা রাখার জন্য দলের মালিক স্টিফেন শট (Stephen Schott)-কে বোঝান বিন। দলের একমাত্র প্রথাগত প্রথম বেইজম্যান (first baseman) কার্লোস পেনিয়া-কে বিক্রি করে দেন বিন, যেন হ্যাটারবার্গকে খেলাতে বাধ্য হন কোচ হাও। একই রকমের আরও কিছু লেনদেন করেন তিনি, যেন বিন ও ব্র্যান্ডের পরিকল্পিত দল খেলানো ছাড়া হাওয়ের আর কোন উপায় না থাকে। তিন সপ্তাহ পর, অ্যাথলেটিক্স শীর্ষ দল থেকে মাত্র চার ম্যাচ দূরত্বে চলে আসে।
দুই মাস পর, দলটি একটি অটুট জয়ের ধারা শুরু করে। বিন, কুসংস্কারবশত, দলের কোন খেলা দেখতেন না, কিন্তু তার দল যখন আমেরিকান লীগে টানা ১৯ জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করে, কানসাস সিটি রয়্যাল্স এর সাথে পরের খেলাটি দেখার জন্য তার মেয়ে তাকে রাজি করায়। খেলার চতুর্থ ইনিংসের সময় যখন বিন মাঠে পৌঁছান, তখন ওকল্যাণ্ড ১১-০ তে এগিয়ে; কিন্তু বিন যাবার পর রয়্যাল্স দল সমতায় ফেরে। শেষ পর্যন্ত স্কট হ্যাটারবার্গের ওয়াক-অফ হোম রান এর বদৌলতে ম্যাচটি জিতে নেয় অ্যাথলেটিক্স এবং লীগে টানা ২০ জয়ের নতুন রেকর্ড গড়ে। ব্র্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে বিন বলেন যে, তাদের পদ্ধতি ব্যবহার করে ওয়ার্ল্ড সিরিজ জিতে বেসবলকে বদলে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি সন্তুষ্ট হবেন না।
২০০২ সালের আমেরিকান লীগ ওয়েস্ট এর শিরোপা জিতলেও, মিনেসোটা টুইন্স এর কাছে ২০০২ আমেরিকান লীগ বিভাগীয় সিরিজ এর ফাইনালে পরাজিত হয় তারা। বোস্টন রেড সক্স এর মালিক জন উইলিয়াম হেনরি, বিনের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, সেবারমেট্রিক্স -ই বেসবলের ভবিষ্যত। রেড সক্স এর মহাব্যবস্থাপক হওয়ার জন্য ১২.৫ মিলিয়ন ডলার বেতনের প্রস্তাব, যেটা গ্রহণ করলে তিনি হতেন পেশাদার ক্রীড়া ইতিহাসের সর্বোচ্চ-বেতনধারী মহাব্যবস্থাপক, তা বিন ফিরিয়ে দেন, এবং ওকল্যান্ডে ফিরে যান। দুই বছর পর, অ্যাথলেটিক্স এর প্রবর্তিত পথ অনুসরণ করে রেড সক্স ২০০৪ সালের ওয়ার্ল্ড সিরিজ এর শিরোপা জিতে নেয়।
চিত্র পরিচালক স্পাইক জোন্সকে এই ছবিতে শ্যারন এর স্বামী অ্যালান এর ভূমিকায় (অনুল্লিখিত) দেখা গেছে।[৪] অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ড এর প্রধান নির্বাহী ববি কোটিক এই চলচ্চিত্রে অ্যাথলেটিক্স এর সহ-সত্বাধিকারী স্টিফেন শট এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
মে ২০০৪ এ, সনি পিকচার্স মাইকেল লুইস এর বইটির সত্ব কিনে নেয়, এবং এর চিত্রনাট্য লেখার জন্য স্ট্যান চেরভিনকে নিযুক্ত করে।[৫] ২০০৮ এর অক্টোবরের দিকে, ছবির মূল চরিত্রের জন্য ব্র্যাড পিট এর কথা ভাবা হচ্ছিল; সে সময় চিত্রনাট্যের দায়িত্বে ছিলেন স্টিভেন যেইলিয়েন, আর পরিচালনা করার কথা ছিল ডেভিড ফ্রাঙ্কেল এর।[৬] ৬৬তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অনুষ্ঠানের সপ্তাহেই ফ্রাঙ্কেল ও পিট পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ করেন; কিন্তু কালক্রমে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ এর মধ্যেই ফ্রাঙ্কেল এই প্রকল্প ছেড়ে বিদায় নেন, আর তার জায়গায় স্টিভেন সোডারবার্গ-কে দিয়ে পরিচালনা করানোর কথাবার্তা শুরু হয়।[৭] সে বছরের মে মাসে সোডারবার্গ এই ছবির সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা নিশ্চিত করেন, এবং এই চলচ্চিত্র সম্পর্কে বলেন:[৮]
“আমার মনে হয় আমরা একটা পথ পেয়ে গেছি, এটাকে দৃষ্টিলব্ধ ও হাস্যরসাত্মক করার জন্য। আমি চাই এটা খুবই মজাদার ও বিনোদনমূলক হোক, আর আমি চাই না আপনি এটা উপলব্ধি করুন যে, কী পরিমাণ তথ্য আপনার উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে, কারণ আপনি (ছবি দেখে) মজা পাচ্ছেন। আমাদের দু’একটা ধারণা আছে, কীভাবে একে ছক থেকে একটু ভেঙে বের করে আনা যায়, যাতে করে আপনার কাছে সব তথ্য পৌঁছে, কিন্তু একদম প্রত্যক্ষ ভাবে না।”
— স্টিভেন সোডারবার্গ, সুইসাইড গার্লসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (১৯ মে, ২০০৯)
ছবিতে পল ডেপোডেস্টা'র চরিত্রে অভিনয়ের জন্য দিমিত্রি মার্টিনকে নির্বাচন করা হয়েছিল, আর প্রাক্তন অ্যাথলেটিক্স খেলোয়াড় স্কট হ্যাটারবার্গ এবং ডেভিড জাস্টিস নিজেদের চরিত্রেই অভিনয় করবেন বলে কথা ছিল; সেই সাথে ড্যারিল স্ট্রবেরী এবং লেনি ডিক্সস্ট্রা’র মত খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথাও হয়েছিল।[৯]
সোডারবার্গের অধীনে ২০০৯ এর জুলাইয়ে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, ওকল্যান্ড কলিসিয়ামেই হওয়ার কথা চলচ্চিত্রায়ণ। ওকল্যান্ড দলের পূর্বতন ব্যবস্থাপক, আর্ট হাও, নিজের ভূমিকাতেই অভিনয় করবেন বলে ঠিক হয়েছিল।[১০] ৮ জুলাই কাজ শুরুর কথা থাকলেও, মাত্র পাঁচ দিন আগে, সনি ছবিটি বাতিল করে দেয় এবং “সাময়িক লোকসান” অবস্থার সৃষ্টি হয়। বাতিলের কারণ হিসেবে বলা হয় যে, সোডারবার্গ কর্তৃক শেষ মূহুর্তে চিত্রনাট্যে পরিবর্তন করে কাহিনীতে “প্রচুর পরিমাণে বেসবল বিষয়ক বিবরণ” যুক্ত করা হয়; যার কারণে স্টুডিও কর্মকর্তাদের মনে হয়েছিল যে, এতে করে দর্শক ছবির কাহিনী থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন অনুভব করবে। এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, স্টুডিও কর্তৃপক্ষের কাছে চলচ্চিত্রের ৫.৮ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেটের তুলনায় তা অতিরিক্ত “শৈল্পিক” ঘরানার ছবিতে পরিণত হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, সোডারবার্গ সমঝোতার ব্যাপারে অনাগ্রহী ছিলেন, যা সনির চেয়ারপার্সন এমি প্যাসকেল-কে “রুষ্ট” করে। প্যারামাউন্ট পিকচার্স এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স– উভয়ই এই প্রকল্প গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়।[১১] ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে, সোডারবার্গ এই প্রকল্প থেকে বিদায় নেওয়ার ব্যাপারটি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন:[১২]
“আমার পেশাদার জীবনে বার দুয়েক আমাকে কোন প্রকল্প থেকে অনাড়ম্বরভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। আমি এগুলো নিয়ে খুব একটা শক্তি খরচ করি না। যখনই এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, আমি ছবিটা যেভাবে পরিচালনা করতে চেয়েছিলাম, সেটা হবার নয়, আমি সাথে সাথেই অন্য কিছু করার জন্য খুঁজতে শুরু করেছিলাম।”
— স্টিভেন সোডারবার্গ, দ্য ওরলান্ডো সেন্টিনেল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯)
দিমিত্রি মার্টিনকে সরিয়ে জোনাহ হিল-কে নেওয়া হয়, পল ডেপোডেস্টার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য।[১৩] মার্চ ২০১০ এর আগ পর্যন্ত আর কোন অগ্রগতি হয়নি। ডেপোডেস্টা’র অনুরোধের কারণেই তার চরিত্রটি তার দৈহিক আদলে রাখা হয়নি, আর ডেপোডেস্টা নাম বদলে জোনাহ হিলের চরিত্রের নাম দেওয়া হয় “পিটার ব্র্যান্ড”।[১৪] এপ্রিল মাসে বেনেট মিলারকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। চিত্রনাট্য পুনর্লিখনের কাজে আরন সরকিনকে নিযুক্ত করা হয়। প্যাসকেল বিশেষভাবে সরকিনের অন্তর্ভুক্তি চেয়েছিলেন। এছাড়াও ব্র্যাড পিট ছবিটির প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হন, আরা তার সাথে প্রযোজক স্কট রুডিনকে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে নিয়ে আসেন। সরকিন শর্ত দেন যে, যদি যেইলিয়েন তাকে সানন্দে আশির্বাদ করেন, তাহলেই কেবল তিনি কাজটা হাতে নেবেন। পরবর্তীকালে, সরকিন আর যেইলিয়েন অবশ্য পরস্পর থেকে স্বাধীনভাবে ভিন্ন ভিন্ন খসড়া নিয়ে কাজ করেছেন।[১৫][১৬] চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করতে রাজি হওয়ার আগে মিলার সপ্তাহ তিনেক সময় নেন, এবং বলেন যে তিনি প্রথাগত ক্রীড়া বিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী নন, বরং এটাকে "এমন ঘরানার ছবির জন্য ধ্বংসাত্মক শৈলীতে বানাতে চাই। এটা প্রচলিত কোন ক্রীড়া বিষয়ক চলচ্চিত্র নয়। এটা ওসব বিষয়াদি এর মাথায় তুলে রাখবে।"[১৭] চিত্রগ্রাহক অ্যাডাম কিমেল এর ছবিতে কাজ করার কথা থাকলেও, ২০১০ এর এপ্রিলে যৌন নিপীড়নের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ায় তার জায়গায় আসেন ওয়ালি ফিস্টার।[১৮][১৯] মে মাসে, আর্ট হাও চরিত্রে ফিলিপ সিমোর হফম্যান এবং বিনের প্রাক্তন স্ত্রীর চরিত্রে রবিন রাইটকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলাপ-আলোচনা শুরু হয়।[২০] জুলাই মাসে, ক্রিস প্রাট, স্টিফেন বিশপ এবং ক্যাথরিন মরিসকে কুশীলব তালিকায় নেওয়া হয় (যদিও শেষ পর্যন্ত মরিসের দৃশ্যগুলো ছবি থেকে বাদ পড়ে যায়)।[২১][২২] প্রাট উল্লেখ করেন যে, প্রথম বাছাইয়ের সময় হ্যাটারবার্গের ভূমিকার জন্য সে "অতিরিক্ত মোটা" বলে জানানো হয়। প্রাট তিন মাস সময় নিয়ে শরীরচর্চার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১৩ কেজি (৩০ পাউন্ড) ওজন কমান, যার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনিই চরিত্রটির জন্য নির্বাচিত হন।[২৩] বিশপ, যিনি ছবিতে ডেভিড জাস্টিস এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, তিনি শৈশব থেকেই তার ভীষণ ভক্ত ছিলেন, এবনহ জাস্টিস যখন আটলান্টা বিভার্স এর খেলোয়াড় ছিলেন, তখন তাদেরই একটি সংযুক্ত দলের হয়ে খেলতেন বিশপ।[২৪]
ব্র্যাড পিট কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে রাজি হওয়ায়, $৪৭ মিলিয়ন এর খর্বিত বাজেট নিয়ে জুলাই ২০১০ থেকে চলচ্চিত্রায়ণ শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়।[২৫] ব্লেয়ার ফিল্ড স্টেডিয়ামে আট দিন ধরে চলচ্চিত্রায়ণের কাজ চলে।[২৬] সীমিত বাজেটের কারণে, ছবিতে দেখানো বিভিন্ন স্টেডিয়াম হিসেবে ডজার স্টেডিয়াম-কেই ব্যবহার করা হয়।[২৭] বেসবল খেলার বিভিন্ন দৃশ্যে সমর্থক হিসেবে মোটামুটি ৭০০ জন অতিরিক্ত শিল্পী ব্যবহার করা হয়।[২৮] ওকল্যান্ড কলিসিয়াম এর দৃশ্যগুলো ২৬ জুলাই থেকে ধারণ করা শুরু হয়।[২৯]
এই ছায়াছবির সঙ্গীতায়োজন করেছেন মাইচেল ডানা; ইতোপূর্বে মিলার তার সাথে ক্যাপোটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন। পুরো ছবি জুড়েই ডানা আমেরিকান ব্যান্ড দিস উইল ডেসট্রয় এর গান "দ্য মাইটি রিও গ্রান্ডে" ব্যবহার করেছেন।[৩০]
মানিবল চলচ্চিত্রটি ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে প্রথম প্রদর্শিত হয়, টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।[৩১] ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে কলাম্বিয়া পিকচার্স কর্তৃক এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৩২] পরে সনি পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্ট কর্তৃক ছবিটির ডিভিডি এবং ব্লু-রে সংস্করণ-ও বের হয়, ১০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে।[৩৩]
মানিবল ছায়াছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে মোট $৭৫.৬ মিলিয়ন (৭ কোটি ৫৬ লক্ষ মার্কিন ডলার) এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল থেকে $৩৪.৬ মিলিয়ন (৩ কোটি ৪৬ লক্ষ ডলার) আয় করে; যার ফলে $৫০ মিলিয়নের (৫ কোটি ডলার) নির্মাণ ব্যয়ের বিপরীতে বিশ্বব্যাপী এর মোট আয় গিয়ে দাঁড়ায় $১১০.২ মিলিয়নে (১১ কোটি ২ লক্ষ মার্কিন ডলার)।[৩]
উদ্বোধনী সপ্তাহান্তেই, মুক্তিপ্রাপ্ত ২,৯৯৩টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে এটি $১৯.৫ মিলিয়ন (১ কোটি ৯৫ লক্ষ ডলার) তুলে নেয়, যার বদৌলতে তা বক্স অফিসে পুনর্মুক্তি প্রাপ্ত ছবি দ্য লায়ন কিং (থ্রি-ডি) এর ঠিক পেছনেই জায়গা করে নেয়।[৩৪] দ্বিতীয় সপ্তাহান্ত শেষে এর আয় ছিল $১২ মিলিয়ন (১ কোটি ২০ লক্ষ ডলার; আগের সপ্তাহান্তের তুলনায় পতন ছিল মাত্র ৩৮.৩%), এবং এবারও তা দ্বিতীয় স্থানেই ছিল।[৩৫]
রটেন টমাটোজ ওয়েবসাইটে, ২৬৫টি পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এর অনুমোদনের হার ৯৪%, এবং গড় রেটিং ১০ এ ৭.৯৭। ওয়েবসাইটটির সমালোচকদের মন্তব্য হচ্ছে: "পরিচালক বেনেট মিলার, তার সাথে ব্র্যাড পিট ও জোনাহ হিল মিলে, সীমাবদ্ধ আবেদনমূলক একটা বিষয়বস্তুকে নিয়ে, তীক্ষ্ম, মজাদার এবং মর্মস্পর্শী একটা উপাখ্যানে পরিণত করেছেন, যেটা বেসবল লোকগাথায় ঠাঁই পাবার যোগ্য।"[৩৬] মেটাক্রিটিক ওয়েবসাইটে, ৮২ জন সমালোচকের রায়ের ভিত্তিতে ছবিটির ভারযুক্ত গড় (weighted average) স্কোর হচ্ছে ১০০ তে ৮৭; যা "সর্বজনীন প্রশংসা" নির্দেশ করে।[৩৭] সিনেমাস্কোর কর্তৃক পরিচালিত দর্শক জরিপ থেকে, এ+ থেকে এফ গ্রেড মাপকাঠিতে, চলচ্চিত্রটিকে গড় গ্রেড "এ" প্রদান করা হয়েছে।[৩৮] ৩৫ জন সমালোচকের ২০১১ সালের শীর্ষ দশ চলচ্চিত্রের তালিকা-তে ঠাঁই পেয়েছিল এই ছবিটি, যাদের মধ্যে দু'জন সমালোচক একে প্রথম স্থানে এবং আরেক জন দ্বিতীয় স্থানে রেখেছিলেন।[৩৯]
চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট তার চার-তারকা পর্যালোচনায়, ছবিটিকে তার "বুদ্ধিমত্তা এবং গভীরতা"-র জন্য, বিশেষ করে এর চিত্রনাট্য ও "বাহুল্যবিবর্জিত, বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ" এর প্রশংসা করেছেন।[৪০] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এর সমালোচক মানোলা ডার্গিস, পিট এর অভিনয়কে "নিরুদ্বেগ কিন্তু তীক্ষ্ম, এবং ক্ষেত্রবিশেষে উদ্বেগ-উদ্রেককারী" বলে উল্লেখ করেন, এবং আরও বলেন যে, পিট ছাড়া আর কাউকেই ঐ চরিত্রের জন্য তিনি ভাবতে পারেননি।[৪১]
রোলিং স্টোন সাময়িকীতে সমালোচক পিটার ট্র্যাভার্স, মিলারের পরিচালনা এবং চিত্রনাট্যের (যা তিনি "ডায়নামাইট" বলে অভিহিত করেছেন) পাশাপাশি, পিট এর অভিনয়েরও প্রশংসা করেছেন।[৪২] এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি'র ওয়েন গ্লিবারম্যান, পিট এবং হিল ছাড়াও, হফম্যানের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, "(হফম্যান) এমন একটি চরিত্র করেছেন যেটা তার জন্য একদম নতুন, কদমছাঁট চুলে তাকে পাংশুটে-চুলো পুরনো আমলের লোক-ই মনে হয়েছে।"[৪৩]
পিট ও হিলের কৌতুক রসায়নের প্রশংসা করেছেন কার্ক হানিকাট, যার কারণে দ্য ব্যাড নিউজ বেয়ার্স এবং মেজর লীগ এর মত চলচ্চিত্রের সাথে তিনি এই ছবির তুলনা করেছেন।[৪৪] নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন এর জন্য লেখা নিবন্ধে, ডেভিড এডেলস্টাইন এই চলচ্চিত্র ও পিটের অভিনয়ের পর্যালোচনা করতে গিয়ে উপলব্ধি করেছেন যে, পিটের অভিনয়ের কারণে ছবির কাহিনী (অ্যাথলেটিক্স) দলের দিকে নিবদ্ধ না হয়ে বিনের দিকেই নিবদ্ধ ছিল।[৪৫] স্লেট সাময়িকী'র ডানা স্টিভেন্স উল্লেখ করেন যে, যারা সচরাচর ক্রীড়া বিষয়ক চলচ্চিত্র পছন্দ করেন না, তারাও এই ছবিটি উপভোগ করতে পারবেন। স্টিভেন্স-ও হিলের ভূমিকা কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, এই চরিত্রটি "তাকে হাস্যকর হওয়ার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু সেটা ঢালাওভাবে রসিকতার মাধ্যমে নয়, বরং পরিমিত প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে।"[৪৬]
স্ল্যান্ট ম্যাগাজিন এ লেখা সমালোচনায় বিল ওয়েবার অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি পিটের ভূমিকার প্রশংসা করলেও চলচ্চিত্রটিকে গৎবাঁধা ছকের বলেই উল্লেখ করে বলেন, "তবে বর্গাকার কোন বিষয়বস্তুকে প্রচলিত গোলাকার ছাঁচে ফেলার জন্য হলিউড এর অক্লান্ত প্রচেষ্টার প্রতি এটি বিশ্বস্ত; ভিন্ন ধারায় চিন্তা করার স্পর্ধা দেখানোর এই দোদুল্যমান, কখনো কখনো বুদ্ধিদীপ্ত একটা কাহিনীকে বাঁধা ছকে ফেলে একেবারে সমতল করে ফেলা হয়েছে।" ওয়েবার আরও ধারণা করেন যে, দর্শককে এই ছবি দেখতে গিয়ে "স্বরগত কশাঘাত" সহ্য করতে হবে; বিন ও ব্র্যান্ড কর্তৃক খেলোয়াড় বেচাকেনার দৃশ্যের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন যে, ঐ দৃশ্যটি শুধুমাত্র "হাসির খোরাকের জন্য রাখা", কিন্তু তার কাছে এর "ছন্দ হাসি উদ্রেক করার মতন তীক্ষ্ম নয়"।[৪৭] স্যান ফ্রান্সিস্কো ক্রনিকল এর পিটার হার্টলাওব ছবিটি আপোষে পরিপূর্ণ বলে অভিহিত করে বলেন, "বেসবল ও এর অগ্রগতি বিষয়ক একটা সূক্ষ্ম গল্পের মধ্যে কেউ একজন মেজর লীগ ঘরানার কিছু গৎবাঁধা ক্রীড়া-বিষয়ক ক্লিশে ঠেসে ঢুকিয়েছে - এবং তারপর এর ভিতরে ব্র্যাড পিটের মত একজন তারকা-বাহন আঁটানোর চেষ্টা করেছে। এর ফলাফল হচ্ছে একটা আগ্রহব্যঞ্জক কিন্তু হতাশাজনক লক্ষ্যভেদে প্রায়-ব্যর্থ ছবি।" হার্টলাওব চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্যেরও সমালোচনা করেছেন।[৪৮]
চলচ্চিত্রের নির্ভুলতা প্রসঙ্গে স্লেট সাময়িকী'র ডেভিড হাগলুন্ড এবং গ্র্যান্টল্যান্ড এর জোনাহ কেরি উভয়ই মানিবল চলচ্চিত্র ও বই - দুয়েরই সমালোচনা করেছেন, নিক্ষেপক টিম হাডসন, মার্ক মাল্ডার, ও ব্যারী যিটো, এবং অন্যান্য অবস্থানের খেলোয়াড় যেমন- এরিক চাভেজ এবং মিগেল তেহাদা'র কথা বাদ দেওয়ার কারণে। প্রচলিত স্কাউটিং পদ্ধতিতেই এই খেলোয়াড়দের আবিষ্কার করা হয়েছিল, এবং ২০০২ অ্যাথলেটিক্স এর সাফল্যের নেপথ্যে তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকাও ছিল।[৪৯] চলচ্চিত্রে তার চরিত্রের রূপায়ন নিয়ে, বেতার স্টেশন সিরিয়াস এক্সএম কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওকল্যান্ড এ'র প্রাক্তন কোচ আর্ট হাও, প্রকাশ্যেই তার অমতের কথা জানান। তিনি বলেন: "এটা খুবই হতাশাজনক যে, একটা প্রতিষ্ঠান যেখানে আপনি সাত বছর সময় কাটিয়েছেন, নিজের মন-প্রাণ সব ঢেলে দিয়েছেন, সেখানে শেষ তিন বছরে মৌসুমোত্তর প্লে-অফ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন ও শেষের দুই মৌসুমে একশ'র বেশি খেলা জিতেছেন - এবং এত সব কিছুর পরও আপনার বস (বিন) আপনার সম্পর্কে এমন একটা ধারণা পোষণ করেন।" হাও আরও উল্লেখ করেন যে, মিলার সংস্করণ নির্মাণের আগে তাদের কেউই হাওয়ের চরিত্রের রূপায়নের ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করেননি।[৫০] দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় স্কট হ্যাটারবার্গ-ও, পর্দায় হাওয়ের চরিত্রের সাথে বাস্তবের মিল নেই বলে জানিয়েছেন: "আর্ট হাও আমার একজন বিরাট সমর্থক ছিলেন। আমি তার কাছ থেকে কখনোই এমন অভিব্যক্তি পাইনি যে আমি তার প্রথম পছন্দ ছিলাম না।" হাও ও বিনের মধ্যে "ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সম্পর্ক" ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।[৫১] স্যান ফ্রান্সিস্কো ক্রনিকল এ ছবিটির বেশ কতগুলো ত্রুটির কথা বলা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে: ছবিতে যে সময়কালের বর্ণনা রয়েছে, জেরেমি জিয়াম্বি এবং চ্যাড ব্র্যাডফোর্ড এর মত খেলোয়াড়েরা তার আগেই দলে যোগ দিয়েছিলেন, আর জিয়াম্বি ও পেনিয়া'র দলবদল একই সময়ে ঘটেনি।[৫২]
মানিবল ছয়টি বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (ব্র্যাড পিট), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা (জোনাহ হিল), শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত চিত্রনাট্য, শ্রেষ্ঠ শব্দ মিশ্রণ এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সম্পাদনা।[৫৩] এছাড়াও, ৬৯তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এর জন্য চারটি বিভাগে[৫৪], বাফটা পুরস্কার এর জন্য তিনটি বিভাগে, এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এর জন্য দুটি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে।