![]() | এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়া হতে অনুবাদের মাধ্যমে অমর একুশে নিবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০২৫ উপলক্ষ্যে মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। নিবন্ধটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিবন্ধকার কর্তৃক সম্প্রসারণ করে অনুবাদ শেষ করা হবে; আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন।
আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। |
রেবেল উইদাউট আ কজ হল ১৯৫৫ সালের একটি আমেরিকান আসন্ন যুগের মেলোড্রামা চলচ্চিত্র, [১] [২] [৩] যার পরিচালনা করেছেন নিকোলাস রে । ছবিটিতে অভিনয় করেছেন জেমস ডিন, ন্যাটালি উড, সাল মিনিও, জিম ব্যাকাস, অ্যান ডোরান, কোরি অ্যালেন এবং উইলিয়াম হপার । এটি অভিনেতা ডেনিস হপারেরও প্রথম চলচ্চিত্র, যদিও এখানে তিনি একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এটি ততকালীন সাম্প্রতিক চালু হওয়া সিনেমাস্কোপ ফর্ম্যাটে চিত্রায়িত হয়েছিল। আবেগগতভাবে বিভ্রান্ত শহরতলির, মধ্যবিত্ত কিশোর-কিশোরীদের জীবনের উপর আলোকপাত করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি শহুরে বস্তি পরিবেশের অপরাধীদের চিত্রিত করে। [৪][৫]
এই চলচ্চিত্রটি আমেরিকান যুবকদের নৈতিক অবক্ষয় চিত্রিত করার সাথে সাথে তাদের পিতামাতার অভিভাবকত্ব শৈলীর সমালোচনা করে এবং দুই প্রজন্মের মধ্যে পার্থক্য এবং দ্বন্দ্বগুলি অন্বেষণ করার প্রচেষ্টা করে। চলচ্চিত্রের শিরোনামটি মনোবিজ্ঞানী রবার্ট এম. লিন্ডনারের ১৯৪৪ সালের বই, "রেবেল উইদাউট আ কজ: দ্য হিপনোঅ্যানালাইসিস অফ আ ক্রিমিনাল সাইকোপ্যাথ" থেকে নেওয়া হয়েছে, যদিও ছবিটিতে লিন্ডনারের বইয়ের অন্য কোনও উল্লেখ নেই। ৩০শে সেপ্টেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে গাড়ি দুর্ঘটনায় ডিনের মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ১৯৫৫ সালের ২৭শে অক্টোবর তারিখে ছবিটি মুক্তি দেয়।
বছরের পর বছর ধরে, ছবিটি ডিনের অভিনয়ের জন্য যুগান্তকারী মর্যাদা ও প্রসংশা অর্জন করেছে। ডিন ইস্ট অফ ইডেন -এ তার কাজের জন্যঅস্কার-মনোনয়ন পেয়েছিল। ১৯৯০ সালে, সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং নান্দনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে রেবেল উইদাউট আ কজ চলচ্চিত্রটিকে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসের জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে যুক্ত করা হয়েছিল। [৬] [৭]
১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে, কিশোর জিম স্টার্ককে জনসমক্ষে নেশার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় এবং একটি পুলিশ স্টেশনের কিশোর বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। স্টেশনে তার দেখা হয় জন "প্লেটো" ক্রফোর্ডের সাথে, যাকে এক বাচ্চা কুকুরছানাকে মারার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার সাথে জুডি নামক আরো একজনের দেখা হয় যাকে কারফিউ লঙ্ঘনের জন্য আনা হয়েছিল। তিনজনই আলাদাভাবে অফিসারদের কাছে তাদের অন্তরের হতাশা প্রকাশ করে; তারা তিনজনই পারিবারিক সমস্যায় ভুগছে। জিম তার বাবা-মা, ফ্র্যাঙ্ক এবং ক্যারলের নিয়মিত ঝামেলা ও ঝগরার জন্য ব্যথিত। তার নীরিহ বাবা ক্যারলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ব্যর্থতার কারণে সে আরো ব্যাথিত। জনৈক ফ্র্যাঙ্কের মা তাদের মধ্যে হস্তক্ষেপ করে সমস্যাগুলিকে আরও জটিল করে তোলে। জিমকে যখন তাদের হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন অফিসার রে ফ্রেমিকের কাছে তার হতাশা প্রকাশ পায়।
জুডি নিশ্চিত যে তার বাবা তাকে উপেক্ষা করেন কারণ সে আর ছোট মেয়ে নয়। তাই সে মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য নোংরা পোশাক পরে, যার ফলে তার বাবা তাকে নোংরা, পদদলিত ইত্যাদি বলে ডাকে। অন্যদিকে প্লেটো যখন ছোট ছিল তখন তার বাবা পরিবার ত্যাগ করেছিলেন এবং তার মা প্রায়শই বাড়ির বাইরে থাকেন আর প্লেটোকে তার গৃহকর্মীর তত্ত্বাবধানে রেখে যান।
প্রথম দিন ডসন হাইস্কুলে যাওয়ার পথে, জিমের সাথে আবার জুডির দেখা হয় এবং তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। জিমের প্রতি আপাতদৃষ্টিতে অসন্তুষ্ট হয়ে, সে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং পরিবর্তে জুডির বন্ধুরা তাকে তুলে নেয়। জুডির বন্ধুরা আসলে অপরাধীদের একটি দল যার নেতা বাজ গুন্ডারসন। বাজের সাথে জুডির সম্পর্ক ছিল। জিমকে বাকি ছাত্র সংগঠন এড়িয়ে চলে কিন্তু প্লেটো তার সাথে বন্ধুত্ব করে। সে জিমকে আদর্শ মনে করে। পোমেরেন্স এবং ক্রাউসের মতে, "জিম প্লেটোর কাছে একজন আদর্শ"। [৮] [৯]
গ্রিফিথ অবজারভেটরিতে একটি শিক্ষামূলক ভ্রমনের পর, বাজ জিমকে ছুরি মারার জন্য উস্কে দেয় এবং চ্যালেঞ্জ করে। জিম বাজের হাত থেকে তার সুইচব্লেড ছিটকে দিয়ে তাকে পরাজিত করে, তারপর নিজের ব্লেডটি ছুঁড়ে ফেলে। গ্যাং লিডার হিসেবে তার মর্যাদা ধরে রাখার জন্য, বাজ সমুদ্রতীরবর্তী পাহাড়ে প্রতিযোগিতা করার জন্য কিছু গাড়ি চুরি করার পরামর্শ দেয়। [১০] বাড়িতে, জিম তার বাবাকে দ্বিধাগ্রস্তভাবে জিজ্ঞাসা করে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নিজের সম্মান রক্ষা করা উচিত কিনা। কিন্তু ফ্রাঙ্ক তাকে যেকোনো ধরণের সংঘাত এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দেয়। সেই রাতে গাড়ী প্রতিযোগীতা চলাকালীন, বাজের জ্যাকেটের হাতার স্ট্র্যাপটি তার দরজার ল্যাচ লিভারের সাথে আটকে যায় এবং সে গাড়ি থেকে বের হতে না পেরে মারা যান। পুলিশ আসার সাথে সাথে বাজের দল জুডিকে রেখে পালিয়ে যায়, কিন্তু জিম তাকে তার এবং প্লেটোর সাথে যেতে রাজি করায়।
জিম পরে তার বাবা-মাকে দুর্ঘটনায় তার জড়িত থাকার কথা জানায় এবং নিজেকে আত্মসমর্পণ করার কথা বিবেচনা করে। যখন ক্যারল ঘোষণা করে যে তারা সেখান থেকে চলে যাবে তখন জিম তার বাবা ফ্রাঙ্ককে তার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করে। যখন ফ্র্যাঙ্ক অস্বীকৃতি জানায়, তখন জিম হতাশায় তাকে আক্রমণ করে, তারপর স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য পুলিশ স্টেশনে ছুটে যায়। কিন্তু ডেস্ক সার্জেন্ট তাকে ফিরিয়ে দেয়। জিম গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে এবং জুডিকে তার জন্য অপেক্ষা করতে দেখে। তার সাথে তার পূর্বের আচরণের জন্য সে ক্ষমা চায় এবং দুজনেই প্রেমে পড়তে শুরু করে। তারা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে আর কখনও ফিরে না যাওয়ার জন্য সম্মত হয় এবং প্লেটো তাকে যে পুরনো পরিত্যক্ত প্রাসাদের কথা বলেছিল, সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
ইতিমধ্যে, বাজের গ্যাংয়ের তিন সদস্য প্লেটোকে আটক করে, যারা নিশ্চিত যে জিম তাদের সাথে পুলিশের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা প্লেটোর ঠিকানা সংগ্রহের বই চুরি করে এবং জিমের পিছনে ধাওয়া করে। প্লেটো তার মায়ের বন্দুকটি নিয়ে জিম এবং জুডিকে সতর্ক করার জন্য চলে যায়। প্লেটো তাদের প্রাসাদে খুজে পায়। এরপর প্লেটো ঘুমিয়ে পড়ে এবং জিম আর জুডি প্রাসাদটি ঘুরে দেখার জন্য চলে যায়, যেখানে তারা একে অপরকে প্রথম চুম্বন করে। বাজের দল প্লেটোকে খুঁজে বের করে জাগিয়ে তোলে, যে ভীত ও বিচলিত হয়ে দলের একজনকে গুলি করে আহত করেন। জিম ফিরে আসার পর, প্লেটোকে পালিয়ে যাওয়ার থেকে আটকানোর চেষ্টা করে এবং প্লেটো জিমের উপর তাকে পরিত্যাগ করার অভিযোগে আনে।
প্লেটো দৌড়ে মানমন্দিরের দিকে যায় এবং ভেতরে নিজেকে আটকে রাখেন, কারণ তখন সেখানে আরও পুলিশ জড়ো হয়এছে, যারা ফ্রেমিক, ফ্রাঙ্ক এবং ক্যারলের সাথে, জিমকে খুঁজছিল। জিম এবং জুডি প্লেটোকে অনুসরণ করে মানমন্দিরে প্রবেশ করে, যেখানে জিম প্লেটোকে তার অস্ত্র ত্যাগ করাতে রাজি করায়। জিম চুপিসারে বন্দুকের গুলি সরিয়ে প্লেটোকে বাইরে আসতে রাজি করায়। যখন পুলিশ লক্ষ্য করে যে প্লেটোর কাছে এখনও বন্দুক আছে, তখন তারা প্লেটোকে গুলি করে হত্যা করে। তারা তখনও জানতোনা যে জিম গুলি সরিয়ে ফেলেছে। ফ্র্যাঙ্ক তার শোকাহত ছেলেকে সান্ত্বনা দেয়, আরও ভালো বাবা হওয়ার শপথ নেয়। জিম তাদের বাবা-মায়ের সাথে মিলিত হয় এবং জুডির সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স লিন্ডনারের বইয়ের স্বত্ব কিনেছিল তাদের চলচ্চিত্রের জন্য শিরোনামটি ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে। ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে বইয়ের একটি চলচ্চিত্র সংস্করণ তৈরির প্রচেষ্টা হয় কিন্তু কোনও পূর্ণাঙ্গ চিত্রনাট্য তৈরি না করেই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালে মারলন ব্র্যান্ডো যখন স্টুডিওর জন্য পাঁচ মিনিটের একটি স্ক্রিন পরীক্ষা দেন, তখন তাকে আংশিক চিত্রনাট্যের কিছু অংশ দেওয়া হয়। তবে ব্র্যান্ডো রেবেল উইদাউট এ কজ ছবির জন্য অডিশন দিচ্ছিলেন না, এবং স্টুডিওর পক্ষ থেকে কোনও চরিত্রের প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে যে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়, তা ছিল ১৯৫০-এর দশকে লেখা সম্পূর্ণ নতুন একটি চিত্রনাট্যের ফল, যার সঙ্গে ব্র্যান্ডোর সেই স্ক্রিন পরীক্ষার কোনও সম্পর্ক ছিল না। ১৯৫১ সালের চলচ্চিত্র "আ স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার" -এর ২০০৬ সালের বিশেষ সংস্করণ ডিভিডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নাটালি উডের একটি জীবনী অনুযায়ী, জুডি চরিত্রটি তার হাত ফস্কে প্রায় বেরিয়ে যাচ্ছিল, কারণ নিকোলাস রে মনে করেছিলেন যে তিনি উচ্ছৃঙ্খল কিশোরীর চরিত্রের জন্য উপযুক্ত নন। এক রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে তিনি একটি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন। এই খবর শুনে রে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান। অস্পষ্ট চেতনায় থাকা অবস্থায় উড শুনতে পান, একজন ডাক্তার ফিসফিস করে তাকে "অসভ্য বেয়াদব কিশোরী" বলে অভিহিত করছেন। তখনই উড চিৎকার করে রেকে বলেন, "নিক, তুমি শুনলে সে আমাকে কী বলল?! সে আমাকে একটা অসভ্য বেয়াদব কিশোরী বলল! এখন কি আমি চরিত্রটা পাব?!"[১১] [১২]
চলচ্চিত্রে দেখানো ডসন হাই স্কুল আসলে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকাতে অবস্থিত সান্তা মনিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছিল।
চলচ্চিত্রের চরিত্ররা যে পরিত্যক্ত প্রাসাদে আশ্রয় নেয়, তার বাইরের দৃশ্যগুলোর চিত্রগ্রহন করা হয়েছিল উইলিয়াম ও. জেনকিন্স হাউজ-এ। এই হাউজ আগে ১৯৫০ সালের চলচ্চিত্র সানসেট বুলেভার্ড-এর চলচ্চিত্রায়নে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহনের মাত্র দুই বছর পর প্রাসাদটি ভেঙে ফেলা হয়। [১৩]
ইরভিং শুলম্যান, যিনি নিকোলাস রে-এর প্রাথমিক চলচ্চিত্র কাহিনিকে চিত্রনাট্যে রূপান্তর করেছিলেন, তিনি জেমস ডিনের চরিত্রের নাম পরিবর্তন করে হারম্যান ডেভিল রাখার কথা ভেবেছিলেন। জুর্গেন মুলারের মুভিজ অব দ্য '৫০স-এ এই কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে। শুরুতে তিনি বেশ কয়েকটি দৃশ্য লিখেছিলেন, যার চিত্রগ্রহন করা হলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সংস্করণে রাখা হয়নি। এএফআই-এর এক সাক্ষাৎকারে, শুলম্যানের সহকর্মী স্টুয়ার্ট স্টার্ন উল্লেখ করেন যে একটি দৃশ্য অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে চূড়ান্ত কপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেই দৃশ্যে দেখা যেত, জিম স্টার্ক এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে যে সে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে একটি গাড়ির দিকে চিৎকার করে বলছে, "এটা একটা ছোট্ট জিপ, জিপ! ছোট্ট জিপ, জিপ!" প্রধান সম্পাদক উইলিয়াম এইচ. জিগলার মনে করেন, এই দৃশ্য কাহিনির অগ্রগতিতে কোনো অবদান রাখছে না, তাই এটি কেটে ফেলা হয়। ২০০৬ সালে লিংকন সেন্টারের ফিল্ম সোসাইটির সদস্যরা দৃশ্যটি সংরক্ষণের জন্য আর্কাইভে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন।
সাল মিনিও ১৯৭২ সালের এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে প্লেটো ক্রফোর্ড চরিত্রটি আদতে সমকামী হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তিনি বোজ হ্যাডলেইকে বলেন, "যুক্তিপূর্নভাবে প্লেটোকে মেরে ফেলা হয়েছিল: সে এক অর্থে চলচ্চিত্রের প্রথম সমকামী কিশোর চরিত্র ছিল। এখন যখন দেখবেন তখন বুঝতে পারবেন সে জেমস ডিনের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। এখন সবাই জানে জিমির [উভকামীতা] সম্পর্কে, তাই মনে হবে যে সে নাটালি [উড] এবং আমার প্রতি আকৃষ্ট ছিল। ফলে, আমাকে সরিয়ে ফেলতেই হতো।"[১৪]
চলচ্চিত্রটির শুটিং ১৯৫৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত চলে। যখন প্রযোজনা শুরু হয়, তখন ওয়ার্নার ব্রাদার্স এটিকে একটি বি-মুভি প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করেছিল, এবং নিকোলাস রে সাদা-কালো ফিল্ম ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু যখন জ্যাক এল. ওয়ার্নার বুঝতে পারেন যে জেমস ডিন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন এবং চলচ্চিত্র জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠেছেন, তখন শুটিং রঙিন ফিল্মে পরিবর্তন করা হয় এবং অনেক দৃশ্য নতুন করে রঙিন ফিল্মে ধারণ করতে হয়। চলচ্চিত্রটি ওয়াইডস্ক্রিন সিনেমাস্কোপ ফর্ম্যাটে চিত্রায়িত হয়েছিল, যা দুই বছর আগে চালু হয়েছিল। এর ঘন ভাবপূর্ণ চিত্রগ্রহনের জন্য, ছবিটিকে "একটি মাইলফলক ... একটি কোয়ান্টাম লিপ, যা এই ফরম্যাটের শৈল্পিক ও প্রযুক্তিগত বিকাশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে" বলে বর্ণনা করা হয়েছে। [১৫]
১৯৪৯ সালের মার্সেডিজ টু-ডোর সেডান গাড়িটি, যা জেমস ডিন সিনেমায় চালিয়েছিলেন, এখন রেনো, নেভাদার ন্যাশনাল অটোমোবাইল মিউজিয়ামের স্থায়ী সংগ্রহের অংশ।
রেবেল উইদাউট আ কজ চলচ্চিত্রটি রটেন টমেটোসে ৬১টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৯৩% নাম্বার পেয়েছে এবং এর গড় নাম্বার ৮.৩০/১০। সমালোচকদের সম্মিলিত মতামত অনুসারে, "রেবেল উইদাউট আ কজ একটি তীব্র মেলোড্রামা, যা ৫০-এর দশকের কিশোরদের মানসিকতার অন্তর্দৃষ্টি তুলে ধরে এবং জেমস ডিনের দুর্দান্ত, কালজয়ী অভিনয় প্রদর্শন করে।" [১৬] মেটাক্রিটিক -এ ১৯ জন সমালোচকের পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে ছবিটিকে ১০০-এর মধ্যে ৮৯ নাম্বার পেয়েছে। [১৭]
নাটালি উড, স্যাল মিনিও এবং নিকোলাস রে তাঁদের অভিনয়ের জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন পান। সিনেমাটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে ৭,১৯৭,০০০ ডলার আয় করে, যা ২০২৪ সালের মুদ্রামানে প্রায় ৮৪.৫ মিলিয়ন ডলার সমতুল্য। এটি সেই বছরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের দ্বিতীয় সর্বাধিক আয় করা চলচ্চিত্র ছিল। [১৮] ১৯৫৫ সালের ২৭ অক্টোবর, জেমস ডিনের মৃত্যুর (৩০ সেপ্টেম্বর) মাত্র এক মাসেরও কম সময় পর সিনেমাটি মুক্তি পায়। মুক্তির সময় চলচ্চিত্র সমালোচকরা ডিনের অভিনয়ের প্রশংসা করলেও চলচ্চিত্রটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। নিউ ইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন-এর কলামে উইলিয়াম জিনসার সিনেমাটির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সিনেমার কাহিনির সারসংক্ষেপ শেষ করে লেখেন, যে, "চলচ্চিত্রটি সম্পূর্ণ হুতে দুই ঘণ্টা লাগে, কিন্তু মনে হয় যেন এর মধ্যে প্রায় দুই দিন চলে গেছে! সিনেমাটি দুর্বলভাবে লেখা ও খুবই মন্থর গতিতে পরিচালিত হয়েছে। আমি এখানে একমাত্র নাম উল্লেখ করব—ডিন। গত মাসে নিহত এই প্রতিভাবান তরুণ অভিনেতার দুর্লভ প্রতিভা ও মনকাড়া ব্যক্তিত্ব এমনকি এই অতিরিক্ত নাটকীয় গল্পের মাঝেও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।" [১৮]
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস- এ লেখার সময় বসলি ক্রোথার রেবেল উইদাউট আ কজকে "হিংসাত্মক, নৃশংস এবং বিরক্তিকর" এবং কিশোর-কিশোরীদের এবং তাদের "অদ্ভুত উপায়"-এর অত্যধিক গ্রাফিক চিত্রায়ন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি "সুইচব্লেডের সাথে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব", "নৃশংস দৃশ্য" এবং চুরি যাওয়া গাড়ির প্রতিযোগিতার "মর্মান্তিক উপস্থাপনা" উল্লেখ করেছিলেন। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে ছবিতে নির্ভুলতা এবং সত্যের কিছু মুহূর্ত রয়েছে, তিনি এই মুহূর্তগুলিকে "উত্তেজনাপূর্ণ" বলে মনে করেন এবং সিনেমাস্কোপ প্রক্রিয়ার ব্যবহার এবং ওয়াইডস্ক্রিন ফর্ম্যাটে চিত্রগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি "চিত্রের মসৃণতা" উপলব্ধি করেন, যে মসৃণতা তিনি রায়ের পরিচালনার বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা করেন। ক্রাউথার জেমস ডিনের অভিনয়ে মুগ্ধ হননি, এবং তিনি বিভিন্ন ধরণের আচরণের কথা উল্লেখ করেন যা তিনি মনে করেন ডিন মারলন ব্র্যান্ডোর কাছ থেকে অনুকরণ করেছেন, তিনি জোর দিয়ে বলেন যে "আমরা কখনও একজন অভিনয়শিল্পীকে এত স্পষ্টভাবে অন্যের স্টাইল অনুসরণ করতে দেখিনি" এবং জিম স্টার্কের ভূমিকার ডিনের ব্যাখ্যাকে "অনাড়ম্বরপূর্ণ প্রদর্শন" বলে অভিহিত করেন। [১৯]
দ্য হলিউড রিপোর্টার-এর পর্যালোচক জ্যাক মফিট, যিনি সঠিকভাবেই ভেবেছিলেন যে এই চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে, তিনি অপেক্ষাকৃত কম সমালোচনামূলক এবং বেশি প্রশংসাসূচক একটি পর্যালোচনা লিখেছিলেন। তিনি জেমস ডিন, নাটালি উড এবং স্যাল মিনিওর অভিনয়কে "অসাধারণভাবে ভালো" বলে বর্ণনা করেন এবং নিকোলাস রে-এর পরিচালনাকে "চমৎকার" বলে প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষভাবে পুলিশ স্টেশনের দৃশ্যগুলোর বাস্তবসম্মত উপস্থাপনাকে এবং কৈশোর উপসংস্কৃতির নৈরাজ্যবাদী চিত্রায়নের আকর্ষণীয় উপায়কে সাধুবাদ জানান। তবে, মফিট চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত ছিলেন না। তিনি মনে করেন, এটি এমন এক ধারণা প্রদান করে যেন পেশাদার আমলারা আমেরিকান পরিবার কাঠামোর চেয়ে তরুণদের ভালোভাবে দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম। তিনি চলচ্চিত্রটিকে অতিরিক্ত সাধারণীকরণের জন্য সমালোচনা করেন এবং এটিকে "একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উপর একটি লঘু ও চিত্তাকর্ষক উপস্থাপনা, যা চমৎকারভাবে মঞ্চস্থ হয়েছে" বলে উপসংহার টানেন।[২০]
ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রবার্ট জে. ল্যান্ড্রি ২৬ অক্টোবর চলচ্চিত্রটির একটি পর্যালোচনা প্রকাশ করেন। তিনি রেবেল উইদাউট আ কজকে "মোটামুটি রোমাঞ্চকর, উত্তেজনাপূর্ণ এবং ভাবনাসৃষ্টিকারী, যদিও মাঝে মাঝে অতিরঞ্জিত, এক মেলোড্রামা" বলে অভিহিত করেন, যা "অসুখী কিশোরদের এক বেপরোয়া জীবনযাত্রার" চিত্র তুলে ধরে। অনেক সমালোচকের বিপরীতে, ল্যান্ড্রি মনে করেন নিকোলাস রে-এর পরিচালনার প্রভাবে জেমস ডিনের অভিনয়ের উন্নতি হয় এবং তার কাজ ছিল "অত্যন্ত কার্যকরী"। তিনি একজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিশোর চরিত্রে ডিনের ব্যতিক্রমী অভিনয় দক্ষতার প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে তিনি চরিত্রটির অনুভূতিগুলোর গভীরে প্রবেশ করতে পেরেছেন, যা সচরাচর দেখা যায় না। [২১]
নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ-এর সমালোচক ওয়ান্ডা হেল চলচ্চিত্রটির প্রতি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেন। তার মতে, রেবেল উইদাউট আ কজ চলচ্চিত্রে প্রাপ্তবয়স্ক চরিত্রগুলোকে "নিস্তেজ ও প্রাণহীন" এবং মধ্যবিত্ত কিশোরদের গ্যাংস্টার হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যা বাস্তবসম্মত নয়। তিনি যুক্তি দেন যে চলচ্চিত্রটি "একটি সৎ ও অর্থবহ যুব অপরাধ ও সহিংসতার নাটক হতে ব্যর্থ হয়েছে"। অন্যদিকে, তিনি জেমস ডিনের অভিনয়ের প্রশংসা করেন এবং লেখেন, "চরিত্রটির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে, তিনি এক ব্যতিক্রমী সংবেদনশীল অভিনয় প্রদর্শন করেছেন—একজন অসুখী, একাকী কিশোরের ভূমিকায়, যে নিজের আবেগগত অসংগতির কারণে চরম যন্ত্রণা ভোগ করছে।" [২২]
ব্রিটেনে, ব্রিটিশ বোর্ড অব ফিল্ম সেন্সরস চলচ্চিত্রটির কিছু অংশ কাটছাট করে এক্স-রেটিং দিয়ে ছবিটির মুক্তি দেয়। [২৩] [২৪] ছুরির লড়াইয়ের বেশিরভাগ হিংসাত্মক অংশই বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং ১৯৬৭ সালের আগে ব্রিটিনে ছবিটি দেখানো হয়নি। [২৫] নিউজিল্যান্ডে, প্রধান সেন্সর গর্ডন মিরামস ১৯৫৫ সালে প্রতিবন্ধী কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কায় রেবেল উইদাউট আ কজ চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তবে, পরবর্তী বছর আপিলের পর কিছু দৃশ্য কাটছাট করে আর-১৬ রেটিং দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়। [২৬] [২৭] চলচ্চিত্রটি স্পেনেও নিষিদ্ধ ছিল, যেখানে ব্যক্তিগত প্রদর্শনীর জন্য গুপ্তভাবে দেশে পাচার করা হত এবং ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রটি সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পায়নি। [১৮]
পুরষ্কার | বিভাগ | মনোনীত ব্যক্তি | ফলাফল | রেফ. |
---|---|---|---|---|
একাডেমি পুরষ্কার | সেরা পার্শ্ব অভিনেতা | সাল মিনেও| style="background: #FDD; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="no table-no2"|মনোনীত | [২৮] | |
সেরা সহ-অভিনেত্রী | নাটালি উড | style="background: #FDD; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="no table-no2"|মনোনীত | |||
সেরা মোশন পিকচার স্টোরি | নিকোলাস রে | style="background: #FDD; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="no table-no2"|মনোনীত | |||
ব্রিটিশ একাডেমি চলচ্চিত্র পুরষ্কার | সেরা চলচ্চিত্র| style="background: #FDD; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="no table-no2"|মনোনীত | [২৯] | ||
সেরা বিদেশী অভিনেতা | জেমস ডিন | style="background: #FDD; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="no table-no2"|মনোনীত | |||
কাহিয়ার্স ডু সিনেমা | সেরা চলচ্চিত্র | style="background: #FDD; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="no table-no2"|মনোনীত | ||
গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার | সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল নবাগত - মহিলা | style="background: #99FF99; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="yes table-yes2"|বিজয়ী | [৩০] | |
জাতীয় চলচ্চিত্র সংরক্ষণ বোর্ড | জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রি| style="background: #99FF99; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="yes table-yes2"|Inducted | [৬] | ||
অনলাইন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন অ্যাসোসিয়েশন পুরষ্কার | ফিল্ম হল অফ ফেম: প্রোডাকশনস| style="background: #99FF99; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="yes table-yes2"|বিজয়ী | [৩১] | ||
স্যাটার্ন পুরষ্কার | সেরা ডিভিডি বা ব্লু-রে সংগ্রহ | style="background: #FDD; color: black; vertical-align: middle; text-align: center; " class="no table-no2"|মনোনীত |
আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতি
এম্পায়ার ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি
গ্রিফিথ অবজারভেটরিতে যুদ্ধের দৃশ্যে জেমস ডিনের চরিত্রের ব্যবহৃত সুইচব্লেডটি ২০১৫ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখে প্রোফাইলস ইন হিস্ট্রি -এর তরফ থেকে নিলামে তোলা হয়েছিল যার আনুমানিক মূল্য ছিল ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ মার্কিন ডলার। নিলামের বিজয়ী দর ছিল ১২,০০০ মার্কিন ডলার। [৩৩] একই নিলামে, প্রোডাকশন ফটোগ্রাফ এবং ১৯৫৫ সালের ১৭ আগস্ট তারিখের চূড়ান্ত করা ছবির চিত্রনাট্য বিক্রির জন্য উপস্থাপন করা হয়। এটি ছিলত্র "বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরাস: রেবেল উইদাউট আ কজ"-শিরোনামের একটি টেলিভিশন প্রচারণামূলক চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুতকৃত চিত্রনাট্য, যা গিগ ইয়াং পরিচালিত। এতে কলাকুশলীদের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। উক্ত চিত্রনাট্যেরর জন্য নিলামে বিজয়ী দর ২২৫ মার্কিন ডলার অবধি উঠেছিল। [৩৩]
২০০৫ সালে, নিউ ইয়র্কের আমেরিকান থিয়েটার অফ অ্যাক্টরসে রেবেল উইদাউট আ কজ চলচ্চিত্রের একটি মঞ্চ প্রযোজনা উপস্থাপিত হয়, যেখানে অ্যালি মুলহোল্যান্ড এবং অব্রে প্লাজা প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করে মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন। [৩৮]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "FilmRegistry1990" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Carter2008" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
Since its cult success, Wiseau has tried to pass his film off as a "black comedy" rather than an inept melodrama that's unintentionally funny, but he's not fooling anyone.