শাল Shorea robusta | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Malvales |
পরিবার: | Dipterocarpaceae |
গণ: | Shorea |
প্রজাতি: | S. robusta |
দ্বিপদী নাম | |
Shorea robusta রথ |
শাল, (ইংরেজি: śāl, sakhua or shala tree), (দ্বিপদ নাম:Shorea robusta) ডিপ্টেরোকার্পাসিয়া গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ। শাল বহুবর্ষজীবী দ্বিবীজপত্রী বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ।
শালের আদি নিবাস দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল থেকে শুরু করে মায়ানমারেও শাল গাছ জন্মায়। শালের বৃদ্ধি স্বল্প থেকে মাঝারি হারের হয়ে থাকে। এটি ৩০-৩৫ মিটার উচুঁ হতে পারে এবং এর কাণ্ডের ব্যাস ২-২.৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। ফাল্গুন মাস ছাড়া এই গাছে পাতা সব সময়ই দেখা যায়। মার্চ মাসে এর ফুল ফোটে[১]। হিন্দু ধর্মমতে গাছটি বিষ্ণুর আশীর্বাদপ্রাপ্ত। ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যে শালকে প্রায়ই অশোক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শাল কাঠ শক্ত হওয়ায় এর অনেক ব্যবহার রয়েছে।
শাল কাঠের তক্তা দিয়ে ঘরের কড়ি, বীম, বরগা তৈরি হয়। রেলওয়ে স্লীপার, সেতুনির্মাণ, পাটাতন, টেলিগ্রাফের খুঁটি গাড়ির চাকা, যন্ত্রপাতির হাতল প্রভৃতির জন্যে শালকাঠ উৎকৃষ্ট। বাড়ির আসবাবপত্র তৈরির কাজে শালকাঠ বিশেষ প্রয়োজন। শাল গাছের কাণ্ডের রস থেকে লাল ধুনা পাওয়া যায়। এটি ধূপ হিসাবে এবং নৌকার প্রলেপের কাজে ব্যবহৃত হয়। শাল গাছের গুঁড়ি কাটার সময় রজন জাতীয় এক পদার্থ বেরয় ওটি বার্নিস, স্পিরিট প্রভৃতি প্রস্তুতের কাজে লাগে। শাল পাতায় খাবার পরিবেশন করা হয়। শাল গাছের ছাল চামড়া-ট্যানের কাজে ব্যবহৃত হয়। শালবীজ থেকে "শাল মাখন” পাওয়া যায়। প্রদীপ জ্বালাতে এবং চকোলেট বানাবার সময় এটি ব্যবহার করা হয়।[২]