সাতকরা

সাতকরা
Citrus macroptera
বাংলাদেশের সিলেটে সাতকরা বিক্রেতাগণ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: সপুষ্পক উদ্ভিদ
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Sapindales
পরিবার: Rutaceae
গণ: Citrus
উপগণ: Papeda
প্রজাতি: C. macroptera
দ্বিপদী নাম
Citrus macroptera
Montrouz.
প্রতিশব্দ[]

সাতকরা বা সাতকড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Citrus macroptera) হল Rutaceae পরিবারের সাইট্রাস গণের অন্তর্ভুক্ত লেবু জাতীয় ফলের গাছ। এটি সিলেট, মালয়েশিয়া এবং মেলানেশিয়ার একটি স্থানীয় ফল।

বর্ণনা

[সম্পাদনা]

সাতকরা বিশেষ ঘ্রাণযুক্ত লেবু জাতীয় এক প্রকার টক ফল[], যা সব্জির আনুষঙ্গিক হিসেবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। সাইট্রাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত লেবুজাতীয় একটি ফল। লেবুগাছের মতো সাতকরার কাঁটাভরা গাছ ২০ থেকে ২৫ ফুট লম্বা হয়। ফাল্গুন মাসে ফুল আসে। জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়ে ফল হয়। কমলা চাষের মতো নিরবচ্ছিন্ন কোনো চাষপদ্ধতি না থাকায় সাতকরার উৎপাদন সংক্রান্ত কোনো পরিসংখ্যান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে নেই। সিলেটে এর প্রচুর চাহিদার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকেও সাতকরা আমদানি হয়।[]

বিস্তৃতি

[সম্পাদনা]

এই ফল ভারতের আসামের পাহাড়ি এলাকার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আদি ফল, যা বাংলাদেশের সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটের জাফলং ছাড়াও এখানকার পাহাড়-টিলায় চাষ হয়।

গুনাগুণ

[সম্পাদনা]

সাতকরা একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল এবং এর পুষ্টিমান অনেক উন্নত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়ামফসফরাস[] এটি ওষধি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ব্যবহার

[সম্পাদনা]

রান্নার কাজে

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে, বিশেষ করে সিলেটে, এটিকে সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। এটির মজ্জাটি টক-মিষ্টি স্বাদের কারণে সাধারণতফেলে দেওয়া হয়। ঘন বাহিরের অংশ ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে কাটা হয় এবং (সবুজ বা পাকা) গরুর মাংস, মাটন এবং মাছের তরকারীতে দিয়ে রান্না করা হয়। রন্ধন এবং গ্রাহনের জন্য বাহিরের অংশটি প্রায়শই রোদে শুকানো হয়। ফলটি আচারেরও প্রাথমিক উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি ব্রিটিশ বাংলাদেশী ফাস্টফুডের রেস্তোঁরাগুলিতে ডোনার কাবাবেও ব্যবহৃত হয়।

সুগন্ধি

[সম্পাদনা]

C. macroptera var. annamensis ফল বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা হয়, এগুলির তেল সুগন্ধি শিল্পে ব্যবহৃত হয়।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "USDA GRIN taxonomy for plants"। ২১ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৪ 
  2. http://www.kalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=15-03-2010&feature=yes&type=gold&data=Car&pub_no=98&cat_id=3&menu_id=48&news_type_id=1&index=11
  3. সাতকরার সাতকাহন, উজ্জ্বল মেহেদী, প্রথম আলো, তারিখঃ ৬ জুলাই ২০১১; সংগ্রহের তারিখ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১২