ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সাদিও মানে[১] | ||
জন্ম | [২] | ১০ এপ্রিল ১৯৯২||
জন্ম স্থান | সেদিউ, সেনেগাল | ||
উচ্চতা | ১.৭৪ মিটার (৫ ফুট ৮+১⁄২ ইঞ্চি)[৩] | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | বায়ার্ন মিউনিখ | ||
জার্সি নম্বর | ১৭ | ||
যুব পর্যায় | |||
জেনারেশন ফুট | |||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১১–২০১২ | মেস | ২২ | (২) |
২০১২–২০১৪ | রেড বুল জালৎসবুর্গ | ৬৩ | (৩১) |
২০১৪–২০১৬ | সাউদাম্পটন | ৬৭ | (২১) |
২০১৬–২০২২ | লিভারপুল | ১৯৬ | (৯০) |
২০২২– | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৪ | (৬) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১২ | সেনেগাল অনূর্ধ্ব-২৩ | ৪ | (০) |
২০১২– | সেনেগাল | ৯১ | (৩৩) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ০৬:৩৭, ১৪ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ০৬:৩৭, ১৪ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
সাদিও মানে (ইংরেজি: Sadio Mané; জন্ম: ১০ এপ্রিল ১৯৯২) হলেন একজন সেনেগালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবের পেশাদার ফুটবল লিগের ক্লাব আল নাসর এফসি এবং সেনেগাল জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন বাম পার্শ্বীয় খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং ডান পার্শ্বীয় খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
সেনেগালীয় ফুটবল ক্লাব জেনারেশন ফুটের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে মানে ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১১–১২ মৌসুমে, ফরাসি ক্লাব মেসের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; মেসের হয়ে তিনি ২২ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন। অতঃপর ২০১২–১৩ মৌসুমে তিনি অস্ট্রীয় ক্লাব রেড বুল জালৎসবুর্গে যোগদান করেছেন,[৪][৫] রেড বুল জালৎসবুর্গের হয়ে তিনি রজার স্মিটের অধীনে ১টি লিগ শিরোপাসহ ২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন। রেড বুল জালৎসবুর্গে ২ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ইংরেজ ক্লাব সাউদাম্পটনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন,[৬] যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ৭৫ ম্যাচে ২৫টি গোল করেছেন। অতঃপর তিনি ছয় মৌসুম যাবত লিভারপুলের হয়ে খেলেছেন,[৭] যেখানে ১টি লিগ শিরোপাসহ ২০১৮–১৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়লাভ করেছেন।[৮][৯] ২০২২–২৩ মৌসুমে, তিনি ৩২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুল হতে জার্মান বায়ার্ন মিউনিখে যোগদান করেছেন।[১০][১১]
২০১২ সালে, মানে সেনেগাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে সেনেগালের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। একই বছরে তিনি সেনেগালের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; সেনেগালের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৭০-এর অধিক ম্যাচে ২০-এর অধিক গোল করেছেন। তিনি সেনেগালের হয়ে এপর্যন্ত ১টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১৮) এবং ৩টি আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে (২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৯ সালে আলিউ সিসের অধীনে আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে রানার-আপ হয়েছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, মানে বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৮–১৯ প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট এবং ২০১৯ সালে বর্ষসেরা আফ্রিকান ফুটবলারের পুরস্কার জয় অন্যতম।[৮][১২][১৩]
সাদিও মানে ১৯৯২ সালের ১০শে এপ্রিল তারিখে সেনেগালের সেদিউয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
মানে সেনেগাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে সেনেগালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১২ সালের ২৬শে জুলাই তারিখে তিনি ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেনেগাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। সেনেগাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে তিনি শুধুমাত্র এই একটি মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, তার দল উক্ত প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি মোট ৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২০১২ সালের ২৫শে মে তারিখে, মাত্র ২০ বছর ১ মাস ১৫ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী মানে মরক্কোর বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সেনেগালের হয়ে অভিষেক করেছেন। উক্ত ম্যাচের মুল একাদশে তিনি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন; ম্যাচে তিনি ১৭ নম্বর জার্সি পরিধান করে একজন বাম পার্শ্বীয় খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। ম্যাচটি সেনেগাল ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। উক্ত ম্যাচে মুসা কোনাতের করা জয়সূচক গোলে অ্যাসিস্ট করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম অ্যাসিস্টটি করেন। সেনেগালের হয়ে অভিষেকের বছরে মানে সর্বমোট ৬ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের মাত্র ৯ দিন পর, সেনেগালের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২রা জুন তারিখে, লাইবেরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন। এছাড়াও, ২০১৮ সালের ৮ই জুন তারিখে, তিনি ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে সেনেগালের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, ম্যাচটি সেনেগাল ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
মানে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য আলিউ সিসের অধীনে ঘোষিত সেনেগাল দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[১৪][১৫][১৬] ২০১৮ সালের ১৯শে জুন তারিখে, তিনি পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন।[১৭] উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ৩ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন।[১৮] ২৪শে জুন তারিখে, জাপানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ফিফা বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলটি করেছেন।[১৯]
মানের বাবা তাকে ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি ফুটবলকে পেশা হিসেবে অনুসরণ করেন।[২০] তিনি একজন অনুশীলনকারী মুসলমান এবং প্রতিটি ম্যাচ শুরুর পূর্বে তাকে দুয়া করতে দেখা যায়।[২১]
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
সেনেগাল | ২০১২ | ৬ | ২ |
২০১৩ | ৮ | ১ | |
২০১৪ | ৯ | ৩ | |
২০১৫ | ৯ | ৩ | |
২০১৬ | ৭ | ১ | |
২০১৭ | ১০ | ৪ | |
২০১৮ | ৯ | ১ | |
২০১৯ | ১১ | ৪ | |
২০২০ | ২ | ২ | |
২০২১ | ৯ | ৫ | |
২০২২ | ১১ | ৭ | |
সর্বমোট | ৯১ | ৩৩ |