দোস্ত মুহাম্মদ কান্দারী | |
---|---|
জন্ম | ১২১৬ হিজরী (১৮০১/১৮০২ খ্রিস্টাব্দ) |
মৃত্যু | ২২ শাওয়াল ১২৮৪ হিজরী (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৮) মুসাযাই শরীফ, দেরা ইসমাইল খান, পাকিস্তান |
অঞ্চল | ইসলামিক পন্ডিতসুফি |
ধারা | সুন্নি ইসলাম, হানাফি, সুফি, নকশাবন্দিয়া |
ভাবশিষ্য
|
সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
প্রবেশদ্বার |
খাজা হাজী দোস্ত মুহাম্মদ কান্ধারী (উর্দু: حاجی دوست محمد قندھاری) ঊনবিংশ শতাব্দির (১৮০১-১৮৬৮) একজন আফগানস্তানি সুফি পীর যিনি নকশবন্দিয়া ত্বরিকার অনুসারী ছিলেন।
দোস্ত মুহাম্মদ আফগানিস্তানের কান্দাহারে ১২১৬ হিজরী (১৮০১/১৮০২) এ জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে নিজের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তরুণ বয়সেই তিনি মদীনার নববী মসজিদে একজন বিখ্যাত ভারতীয় নকশাবন্দি তরিকার পীর গোলাম আলী দেহলভীর (১৭৪৩-১৮২৪) অপ্রত্যাশিত স্বাক্ষাত পেয়ে যান। তিনি বলেন যে গোলাম আলীর আধ্যাত্বিক শক্তি (ফয়েজ) এতটাই প্রখর ছিল যা তাকে সর্বদা অস্থির এবং মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করত। গোলাম আলীর আধ্যাত্বিক শক্তিতে তিনি এতটাই মোহিত হয়েছিলেন যে তিনি নিজের গৃহ থেকে বেরও হতে পারতেন না। ভারতে ফিরে তিনি আধ্যাত্বিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েন যার কিছু কয়েক সপ্তাহ অবধি স্থায়ী ছিল। যা হোক, দোস্ত মুহাম্মদ বায়াত দান করার আগেই গোলাম আলী ওফাত বরণ (মৃত্যুবরণ) করেন।তাই তিনি গোলাম আলীর খলিফা (আধ্যাত্বিক প্রতিনিধি) আবু ছৈয়দ মোজাদ্দেদী রামপুরী এর হাতে বায়াত দান করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের সময় আবু ছৈয়দ হজ্জ করার জন্য দেশ ত্যাগ করছিলেন, তাই তিনি দোস্ত মুহাম্মদকে তার পুত্র (এবং খলিফা) শাহ আহমদ ছৈয়দ দেহলভীর (১৮০২-১৮৬০) কাছে প্রেরণ করেন। প্রায় ১৪ মাস আপন মুর্শিদের (পীর) সাথে অতিবাহিত করার পর, হাজী দোস্ত মুহাম্মদ আহমেদ ছৈয়দের খলিফা (আধ্যাত্বিক প্রতিনিধি) হিসেবে নিযুক্ত হন এবং আফগানিস্তানের কান্দাহার এলাকায় নিযুক্ত হন।১৮৪২ সালে শাহ সুজার, (আফগানিস্তানের শাসক) গুপ্তহত্যার জের ধরে দোস্ত মুহাম্মদ দেশ ত্যাগে বাধ্য হন।(এই এক ঘটনায় তার বিখ্যাত কতিপয় শিষ্য যেমন ছৈয়দ মুহাম্মদ শাহ জান-ফিশান খান পাগমানিও দেশ ত্যাগে বাধ্য হন।) আহমেদ ছৈয়দ তাকে এমন এক জায়গায় স্খায়ী হতে পরামর্শ দেন যেখানে পশতু এবং পাঞ্জাবী উভয় ভাষায় কথা বলা যায়। কেন্দ্র গড়ে তুলেন এবং মৃত্যুর পর সেখান সমাহিত হন।
দোস্ত মুহাম্মদের উত্তরসূরী ছিলেন খাজা মুহাম্মদ উসমান দামানি , যাকে তিনি নকশাবিন্দয়া, মোজাদ্দেদীয়া, মাসুমিয়া, মাজহারিয়া এবং কাদেরিয়া, চিশতিয়া, সোহরার্দিয়া, কুবরিয়া, সাত্তারিয়া, মাদারিয়া, কালান্দারিয়া সহ অন্যান্য সুফি তরিকার জ্ঞান শিক্ষাদানের জন্য শর্তহীন অনুমতি দেন।
হাজী দোস্ত মুহাম্মদ কান্দাহারি সুফিবাদের মোজাদ্দেদিয়া, নকশাবন্দিয়া তরিকার মূল শাখা, তরিকার অনুসারী ছিলেন। তার আধ্যাত্বিক বংশ অনুক্রম সুফি পীর আহমেদ সিরহিন্দি এর মধ্য হয়ে হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর বংশের সাথে মিলিত হয়েছে।[১]