ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হামেস দাবিদ রোদ্রিগেস রুবিও | ||
জন্ম | ১২ জুলাই ১৯৯১ | ||
জন্ম স্থান | কুকুতা, কলম্বিয়া | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার / উইঙ্গার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | আল রাইয়ান | ||
জার্সি নম্বর | ১০ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৫–২০০৭ | এনভিগাদো | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৭–২০০৮ | এনভিগাদো | ৩০ | (৯) |
২০০৮–২০১০ | বানফিল্দ | ৪২ | (৫) |
২০১০–২০১৩ | পোর্তো | ৬৩ | (২৫) |
২০১৩–২০১৪ | মোনাকো | ৩৪ | (৯) |
২০১৪–২০২০ | রিয়াল মাদ্রিদ | ৮৫ | (২৯) |
২০১৭–২০১৯ | → বায়ার্ন মিউনিখ (ধার) | ৪৩ | (১৪) |
২০২০–২০২১ | এভারটন | ২৩ | (৬) |
২০২১– | আল রাইয়ান | ০ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৭ | কলম্বিয়া অনূর্ধ্ব ১৭ | ১১ | (৩) |
২০১১ | কলম্বিয়া অনূর্ধ্ব ২০ | ৫ | (৩) |
২০১১– | কলম্বিয়া | ৮০ | (২৩) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২১ মে ২০২১ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৭ নভেম্বর ২০২০ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
হামেস দাবিদ রোদ্রিগেস রুবিও (স্পেনীয়: James David Rodríguez Rubio, আমেরিকান স্পেনীয়: [ˈxames roˈðɾiɣes]; জন্ম ১২ জুলাই ১৯৯১), সচরাচর হামেস (James, HAHM-ess) নামে পরিচিত, কুকুতায় জন্মগ্রহণকারী একজন কলম্বিয়ান ফুটবলার। বর্তমানে তিনি কাতারের পেশাদার ফুটবল ক্লাব আল রাইয়ান এবং কলম্বিয়া জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন।
উইং কিংবা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে তিনি সাধারণতঃ ১০ নম্বর জার্সি পরিধান করে মাঠে নামেন, বর্তমানে এভারটনে ১৯ নম্বর জার্সি পরিধান করেন। আক্রমণে নেতৃত্ব প্রদানকারী হিসেবে সুদক্ষতার কারণে তাকে এল পিবে ভালদেরামার উত্তরাধিকারীরূপে মনে করা হয়।[১][২][৩]
২ জুন, ২০১৪ তারিখে কলম্বিয়ার ২৩-সদস্যবিশিষ্ট দলের অন্যতম সদস্যরূপে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপে খেলার জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। হামেসকে তার প্রিয় ১০ নম্বর জার্সি প্রদান করা হয়।[৪] প্রতিযোগিতায় কলম্বিয়া দলের উদ্বোধনী খেলায় গ্রিসের বিপক্ষে প্রথম দুই গোলে সহযোগিতা করাসহ শেষ মিনিটের গোলটি করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে জয় এনে দেন।[৫] এ খেলায় ফিফা কর্তৃপক্ষ তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার প্রদান করে। দ্বিতীয় খেলায়ও তিনি তার ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী অব্যাহত রাখেন। আইভোরি কোস্টের বিপক্ষে হেডের মাধ্যমে গোল করেন। খেলায় তার দল ২-১ ব্যবধানে জয় পায় ও পুনরায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[৬] গ্রুপ পর্বের তৃতীয় খেলায় দূর্বল জাপানের বিপক্ষে হামেস রোদ্রিগেস দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন। শেষ গোলটি করলে তার দল ৪-১ গোলে জয়ী হয়।[৭][৮] গ্রুপ পর্ব শেষে ফিফা কর্তৃক সেরা ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনকারী খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান তিনি।[৯]
২৮ জুন, ২০১৪ তারিখে ১৬-দলীয় দ্বিতীয় রাউন্ডে এস্তাদিও দো মারাকানায় অনুষ্ঠিত খেলায় তার দুই গোলের সুবাধে উরুগুয়ে দল পরাজিত হয় ও প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়। এরফলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে কলম্বিয়া দল প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নেয় ও ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে রোনালদো ও রিভালদো’র পর প্রথম খেলোয়াড়রূপে দলের সবগুলো খেলায় গোল করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত ৫ গোল করে শীর্ষস্থানীয় গোলদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[১০] তার প্রথম গোলটিকে প্রতিপক্ষীয় উরুগুয়ের ম্যানেজার অস্কার তাবারেজ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোলরূপে আখ্যায়িত করেন।[১১] এছাড়াও তাবারেজকে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বর্ণনা করেন। এ খেলায়ও তাকে তৃতীয়বারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচরূপে আখ্যায়িত করে ফিফা।[১২] কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ব্রাজিল দলের বিপক্ষে পেনাল্টির মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ৬ষ্ঠ গোল করেন। কিন্তু এ খেলায় ১-২ গোলে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয় কলম্বিয়া দল।
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৪। |শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)