হায়দ্রাবাদ Hyderabad حیدر آباد | |
---|---|
শহর | |
![]() উপরের দিক থেকে মিয়ান গোলাম কালহোরের সমাধি, তালপুর মীরের সমাধি, রানী বাগ, নবলরাই মার্কেট ক্লকটার | |
পাকিস্তানে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°২২′৪৫″ উত্তর ৬৮°২২′০৬″ পূর্ব / ২৫.৩৭৯১৭° উত্তর ৬৮.৩৬৮৩৩° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
প্রদেশ | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Sindh |
জেলা | হায়দ্রাবাদ জেলা |
স্বায়ত্তশাসিত শহর | ৫ |
ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা | ২০ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• মেয়র | তৌয়েব হোসেন |
• ডেপুটি মেয়র | সৈয়দ সুহাইল মেহমুদ মাশদী |
আয়তন | |
• মোট | ৩১৯ বর্গকিমি (১২৩ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১৩ মিটার (৪৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৭ সালের আদমশুমারি)[২] | |
• মোট | ১৭,৩২,৬৯৩[১] |
বিশেষণ | হায়দ্রাবাদি |
সময় অঞ্চল | পিএসটি (ইউটিসি+৫) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | পিডিটি (ইউটিসি+৬) |
এলাকা কোড | ০২২ |
ওয়েবসাইট | প্রযোজ্য নহে |
হায়দ্রাবাদ (সিন্ধি এবং উর্দু: حيدرآباد; (/ˈhaɪdərəbɑːd/ ( )) পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অবস্থিত একটি অন্যতম শহর। করাচি থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হায়দ্রাবাদ হচ্ছে সিন্ধু প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং পাকিস্তানের ৮ম বৃহত্তম শহর।[৩] ১৭৬৮ খ্রিষ্টাব্দে হায়দ্রাবাদের কালহোরা রাজবংশের মিয়া গোলাম শাহ কালহারোর কর্তৃক শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীকালে ১৮৪৩ সালে ব্রিটিশ রাজধানী করাচিতে স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত তালপুর রাজধানী ছিল।
ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর চাচাতো ভাই এবং ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলীর সম্মানে শহরটির নামকরণ করা হয়েছিল।[৪] হায়দ্রাবাদের নামের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "সিংহ নগর" হিসাবে অনুবাদ করা হয়ে থাকে - হায়দার থেকে অর্থ দাড়ায় "সিংহ" এবং আবাদ এর একটি উপধারাকে বোঝায়। তবে এখানে "সিংহ" এর অর্থ বোষায় হযরত আলী এর যুদ্ধের সাহসী ভূমিকাকে।[৫] তাই তাকে প্রায়শই আলী হায়দার বলে অভিহিত করা হয়, যার অর্থ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমরা "আলি দ্য লায়নহার্ট" বা আলী সিংহ হৃদয়।
হায়দ্রাবাদ প্রাদেশিক রাজধানী করাচী থেকে ১৫০ কিলোমিটার বা ৯৩ মাইল দুরে, সিন্ধু নদীর পূর্ব তীরে, ২৫.৩৬৭° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৬৮.৩৬৭° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। পাকিস্তানের বৃহত্তম দুটি মহাসড়ক সিন্ধু হাইওয়ে এবং জাতীয় মহাসড়ক হায়দরাবাদের সাথে সংযুক্ত। হায়দ্রাবাদের আশেপাশের কয়েকটি শহরে দুরত্ব হল কোটরি ৬.৭ কিলোমিটার (৪.২ মাইল), জামশোরো ৮.১ কিলোমিটার (৫.০ মাইল), হাটরি ৫.০ কিলোমিটার (৩.১ মাইল) এবং হুশরী ৭.৫ কিলোমিটার (৪.৭ মাইল)।
কোপেন জলবায়ু শ্রেণী বিন্যাস অনুযায়ী হায়দ্রাবাদে গ্রীষ্মকালীন শুষ্ক মহাদেশীয় জলবায়ু বিরাজমান। শহরটি বাতাসের জন্য বিখ্যাত যা গরম জলবায়ুকে মাঝারি ঠাণ্ডা করে। ফলস্বরূপ, হায়দরাবাদি বাড়িগুলি ঐতিহ্যবাহীভাবে "বায়ু-আকর্ষণীয়" টাওয়ার বৈশিষ্ট্যযুক্ত যা তাপকে প্রশমিত করার জন্য জীবিত প্রান্তগুলিতে বাতাস বয়ে নিয়ে যায়।
হায়দ্রাবাদ (সিন্ধু) পাকিস্তান-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩৩.৩ (৯১.৯) |
৩৮.২ (১০০.৮) |
৪৩.৪ (১১০.১) |
৪৬.০ (১১৪.৮) |
৪৮.৪ (১১৯.১) |
৪৮.৫ (১১৯.৩) |
৪৫.৫ (১১৩.৯) |
৪৩.৯ (১১১.০) |
৪৫.০ (১১৩.০) |
৪৪.০ (১১১.২) |
৪১.০ (১০৫.৮) |
৩৬.০ (৯৬.৮) |
৪৮.৫ (১১৯.৩) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৫.০ (৭৭.০) |
২৮.১ (৮২.৬) |
৩৩.৯ (৯৩.০) |
৩৮.৯ (১০২.০) |
৪১.৬ (১০৬.৯) |
৪০.২ (১০৪.৪) |
৩৭.৪ (৯৯.৩) |
৩৬.৩ (৯৭.৩) |
৩৬.৮ (৯৮.২) |
৩৭.২ (৯৯.০) |
৩১.৯ (৮৯.৪) |
২৬.৩ (৭৯.৩) |
৩৪.৫ (৯৪.০) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১১.১ (৫২.০) |
১৩.৬ (৫৬.৫) |
১৮.৫ (৬৫.৩) |
২৩.০ (৭৩.৪) |
২৬.২ (৭৯.২) |
২৮.১ (৮২.৬) |
২৭.৮ (৮২.০) |
২৬.৭ (৮০.১) |
২৫.৩ (৭৭.৫) |
২২.৩ (৭২.১) |
১৭.৩ (৬৩.১) |
১২.৫ (৫৪.৫) |
২১.০ (৬৯.৯) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩.৩ (৩৭.৯) |
৪.০ (৩৯.২) |
৯.০ (৪৮.২) |
১২.০ (৫৩.৬) |
১৯.০ (৬৬.২) |
২০.০ (৬৮.০) |
২১.৪ (৭০.৫) |
২২.৮ (৭৩.০) |
২০.৬ (৬৯.১) |
১৫.০ (৫৯.০) |
৬.০ (৪২.৮) |
৩.০ (৩৭.৪) |
৩.০ (৩৭.৪) |
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১.২ (০.০৫) |
৩.৯ (০.১৫) |
৫.১ (০.২০) |
৫.৮ (০.২৩) |
৩.৫ (০.১৪) |
১৩.৯ (০.৫৫) |
৫৬.৭ (২.২৩) |
৬০.৮ (২.৩৯) |
২১.৪ (০.৮৪) |
১.৫ (০.০৬) |
২.১ (০.০৮) |
২.০ (০.০৮) |
১৭৭.৯ (৭) |
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় | ২৭২.৮ | ২৫৭.১ | ২৮৮.৩ | ২৮৮.০ | ৩১৩.১ | ২৭৯.০ | ২৩৫.৬ | ২৫১.১ | ২৮৫.০ | ৩০৬.৯ | ২৭৯.০ | ২৭২.৮ | ৩,৩২৮.৭ |
উৎস ১: [৬] | |||||||||||||
উৎস ২: HKO (sun only, 1969–1989) [৭] |
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯৪১ | ১,৩৫,০০০ | — |
১৯৫১ | ২,৪২,০০০ | +৭৯.৩% |
১৯৬১ | ৪,৩৫,০০০ | +৭৯.৮% |
১৯৭২ | ৬,২৯,০০০ | +৪৪.৬% |
১৯৮১ | ৭,৫২,০০০ | +১৯.৬% |
১৯৯৮ | ১১,৬৬,৮৯৪ | +৫৫.২% |
২০১৭ | ১৭,৩২,৬৯৩ | +৪৮.৫% |
উৎস: [৮][৯] |
২০১৭ সালের আদমশুমারী তথ্য অনুযায়ী হায়দ্রাবাদের জনসংখ্যা ছিল ১,৭৩২,৬৯৩ জন।[১] ১৯৯৮ সালের আদমশুমারির পর থেকে এই শহরটিতে ৫৭৫,৭৯৯ জন বাসিন্দা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বৃদ্ধির হার ৪৮.৫%, যা পাকিস্তানের দশটি বৃহত্তম শহরের মধ্যে সর্বনিম্ন বৃদ্ধির হার।[১০]
১৯৪৮ এর আগে হায়দরাবাদ সংখ্যাগরিষ্ঠ সিন্ধি হিন্দু শহর ছিল, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরে যখন অনেকে ভারতে এবং অন্যান্য জায়গায় চলে গিয়েছিল। যে হিন্দুরা চলে গিয়েছিল তারা শহরের অর্থনীতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল এবং হায়দরাবাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী ছিল। শহরের হিন্দু জনসংখ্যা প্রস্থানের শূন্যস্থানের বেশিভাগই শীঘ্রই পূর্ণ হয়েছিল ভারত থেকে আগত উর্দু ভাষী মুসলিম শরণার্থীদের দ্বারা, যারা মুহাজির নামে পরিচিত ছিল। মুহাজিরদের আগমনের পরে হায়দ্রাবাদ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ উর্দুভাষী শহর হয়ে ওঠে, মুহাজিররা শহরের মোট জনসংখ্যার ৬৬% ছিল। উত্তর পাকিস্তান থেকে পশতুন ও পাঞ্জাবীদের আগমনের পরবর্তী কয়েক দশক ধরে শহরের নৃগোষ্ঠীর কাঠামো আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠে, এবং ১৯৯৮ সালের মধ্যে উর্দু ভাষাভাষীদের সংখ্যা কমে ৫৮% এ দাড়িয়েছে। বেশিরভাগ পাঞ্জাবী এবং পাখতুনরা আলাদা আলাদা এবং পৃথকভাবে রেলস্টেশন ও এর পাশ্ববর্তী অঞ্চলে বসবাস করে। শহরটিতে তাই বহুবিধ এবং বহুসংস্কৃতির সম্প্রদায়ের একত্রে বিশ্বজনীন পরিবেশ বয়ে চলেছে। শহরটি বর্তমানে সিন্ধি, উর্দুভাষী মুহাজির, ব্রাহুইস, পাঞ্জাবী, পশতুন, মেমনস এবং বালুচসহ বহু-জাতিগত এবং ভাষাগত মিশ্রিত জাতি বসবাস করে।
৬ লেনের এম-৯ মোটরওয়ে ১৩৬ কিলোমিটার দূরে করাচী সাথে হায়দ্রাবাদকে সংযুক্ত করেছে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের বৃহৎ অংশ হিসাবে নির্মিত সুক্কুরের সাথে এটি এম-৬ মোটরওয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে। সুক্কুর থেকে মোটরওয়ে দ্বারা মুলতান, লাহোর, ইসলামাবাদ, ফয়সালাবাদ এবং পেশোয়ার সহ অন্যন্য স্থানের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
হায়দরাবাদ জংশন রেলস্টেশনটি শহরের প্রধান রেল স্টেশন হিসাবে সেবা প্রদান করে। যাত্রী পরিষেবা একচেটিয়াভাবে পাকিস্তান রেলওয়ে সরবরাহ করে থাকে। নগরীর স্টেশনটি থেকে আল্লামা ইকবাল এক্সপ্রেস শিয়ালকোট, বদিন এক্সপ্রেস এবং খাইবার মেইল পেশোয়ার পর্যন্ত যাতায়াত করে। নবাবশাহ, বাদিন, ট্যান্ডো আদম জংশন, করাচী এবং উত্তর পাকিস্তানের পয়েন্টগুলোতে যাওয়ার জন্য হায়দ্রাবাদে ট্রেণ রয়েছে।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দ দ্বারা আর বাণিজ্যিক বিমান পরিবহন পরিসেবা প্রদান করা হয় না। সর্বশেষ ২০১৩ সালে বাণিজ্যিক উড্ডয়ন স্থগিত করা হয়েছিল। এ বিমানবন্দরের পরিবর্তে যাত্রীদের এখন করাচীর জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপর পুরোপুরি নির্ভর করতে হয়।
![]() |
পাকিস্তান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |