শুরুতে এ প্রতিযোগিতাটি ১১ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখ পর্যন্ত পাকিস্তানে আয়োজনের কথা ছিল।[৩] কিন্তু বেশ কয়েকটি অংশগ্রহণকারী দেশের নিরাপত্তাহীনতায় আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজনে স্থগিতাদেশ দেয়। ২৪ জুলাই, ২০০৮ তারিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ঘোষণা করে যে, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের ঐ দেশ ভ্রমণে অনিশ্চয়তা স্বত্ত্বেও প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে।[৪] ২২ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘোষণা করে যে, নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিবে না।[৫] দুই দিন পর ২৪ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে দৃশ্যতঃ দেখা যায় যে, প্রতিযোগিতাটি ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা বা দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। আইসিসি অক্টোবর, ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রতিযোগিতাটি স্থগিত ঘোষণা করে।[৬]
ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে আইসিসি পরিচালনা পরিষদের সভায় নিরাপত্তা বিষয়কে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের বাইরে প্রতিযোগিতাটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঐ সময়ে বিকল্প স্বাগতিক দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে প্রাধান্য দেয়া হয়।[৭] মার্চ, ২০০৯ সালে আইসিসি প্রধান নির্বাহী কমিটি আইসিসি পরিচালনা পরিষদকে পরামর্শ দেয় যে, প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজন করার। কেননা, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকবে ও এতে অনেকগুলো খেলা পরিত্যক্ত হতে পারে।[৮] আইসিসি পরিচালনা পরিষদ এ প্রস্তাবনাকে স্বাগতঃ জানায় ও ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিযোগিতার স্বাগতিক দেশ হিসেবে মনোনীত করে।[৯] খেলাগুলো জোহেন্সবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম ও সেঞ্চুরিয়ন পার্কে আয়োজনের কথা জানানো হয়।[২]