আই স দ্য ডেভিল (কোরীয়: আংমার্যুল পোয়াত্তা) | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||
পরিচালক | কিম চি-উন | ||||||||||
প্রযোজক | কিম হিয়ন-উ | ||||||||||
রচয়িতা | পার্ক হুন-জং | ||||||||||
শ্রেষ্ঠাংশে |
| ||||||||||
সুরকার | মোগ (প্রযোজক) | ||||||||||
চিত্রগ্রাহক | লি মো-গে | ||||||||||
সম্পাদক | নাম না-ইয়ং | ||||||||||
প্রযোজনা কোম্পানি | পিপারমিন্ট অ্যান্ড কোম্পানি | ||||||||||
পরিবেশক | সফটব্যাংক ভেঞ্চারস কোরিয়াa শোবক্স/মিডিয়াপ্লেক্স (দক্ষিণ কোরিয়া) ম্যাগনেট রিলিজিং (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা) | ||||||||||
মুক্তি |
| ||||||||||
স্থিতিকাল | ১৪১ মিনিট | ||||||||||
দেশ | দক্ষিণ কোরিয়া | ||||||||||
ভাষা | কোরীয় | ||||||||||
নির্মাণব্যয় | মার্কিন$৬ মিলিয়ন[১] | ||||||||||
আয় | মার্কিন$১২.৯ মিলিয়ন[২] |
আই স দ্য ডেভিল (কোরীয়: 악마를 보았다, আংমার্যুল পোয়াত্তা) ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরীয় মারপিটধর্মী রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র।[৩] পার্ক হুন-চঙের চিত্রনাট্যে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন কিম চি-উন। চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয় চাং কিয়ং-ছুল নামক এক সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলারের হাতে তার বাগদত্তা নির্মমভাবে খুন হওয়ার পর, এনআইসি এজেন্ট কিম সু-হিয়ন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এক অভিযানে জড়িয়ে পড়ে। সু-হিয়ন ও কিয়ং-ছুল চরিত্রে যথাক্রমে লি পিয়ং-হুন ও ছোয়ে মিন-শিক অভিনয় করেন। ২০১১ সালের সানডেন্স চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রথম প্রদর্শিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে এটি সীমিত পরিসরে মুক্তি পায়।[৪]
চাং কিয়ং ছল (ছোয়ে মিন-শিক) একজন সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলার। সে ভয়ংকর উপায়ে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড করেছে যা মানুষের কল্পনার বাইরে। পুলিশ তাকে অনেকদিন ধরেই খুঁজে বেড়াচ্ছে, কিন্তু ধরতে পারছে না। একদিন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে চু-ইয়ন তার নৃশংসতার শিকার হয় এবং বিভৎস অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। চু-ইয়নের বাগদত্তা, এনআইসি কর্মকর্তা সু-হিয়ন (লি পিয়ং-হন) হত্যাকারীকে নিজহাতে ধরার জন্য কাজে নামেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন তার ক্ষমতার সর্বস্ব দিয়ে তিনি খুনের বদলা নেবেন। এতে যদি তাকে এক দানবে পরিণত হতে হয়, তবুও।
চলচ্চিত্রটিতে হিংস্রতা ও ভয়াবহতার অভিযোগে কোরিয়া মিডিয়া রেটিং বোর্ড প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির উপযোগী করতে চলচ্চিত্রটিকে পুনরায় সম্পাদনার জন্য কিম চে-উনকে বাধ্য করে। দুইবার এটি নিষিদ্ধ তকমা পায় এবং প্রেক্ষাগৃহে অথবা গৃহে প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা লাভ করে।[৬] সাতবার এটি সম্পাদনা করা হয় এবং ৮০ থেকে ৯০ মিনিটের মতো দৃশ্য কেটে বাদ দেওয়া হয়।[৭]
আই স দ্য ডেভিল ২০১০ সালের ১২ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ায় মুক্তি পায়। ২০১১ সালের ২১ জানুয়ারি এটি ২০১১ সালের সানডেন্স চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়।[৪] এছাড়াও এটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়, যেমন, ফান্টাস্পোর্টো চলচ্চিত্র উৎসব, টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, সিচাস চলচ্চিত্র উৎসব, সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব ও লন্ডন কোরীয় চলচ্চিত্র উৎসব[৮]
ম্যাগনেট রিলিজিং উত্তর আমেরিকায় পরিবেশক হিসেবে কাজ করে এবং ২০১১ সালের ৪ঠা মার্চ এটি সীমিত পরিসরে মুক্তি পায়।[৯][১০] অপটিমাম রিলিজিং এটি যুক্তরাজ্যে পরিবেশনা করে।[১১]
রটেন টমেটোতে চলচ্চিত্রটি ৮৩ জন সমালোচকের ভোটে ৮১% স্কোর লাভ করে, ওজনের গড়ে ১০ এর মধ্যে ৭.১৩।[১২] On Metacritic the film received "Generally favorable reviews," with a weighted average of 67 out of 100, based on 19 reviews.[১৩]
২০১৪ সালে রোলিং স্টোন' ম্যাগাজিন আই স দ্য ডেভিল চলচ্চিত্রটিকে টপ ২০ ভয়ানকতম চলচ্চিত্র যা আপনি কখনো দেখেননি তালিকায় স্থান দেয়।[১৪]
পুরস্কার | শ্রেনী | মনোনীত ব্যক্তি | ফলাফল |
---|---|---|---|
এশীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | সেরা সম্পাদক | নাম না-ইয়ং | বিজয়ী |
সেরা চিত্রগ্রাহক | লি মো-গে | মনোনীত | |
অস্টিন চলচ্চিত্র সমালোচক সংস্থা | সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | আই স দ্য ডেভিল | বিজয়ী |
সেরা চলচ্চিত্র | বিজয়ী | ||
নীল ড্রাগন চলচ্চিত্র পুরস্কার | সেরা অভিনেতা | লি পিয়ং-হন | মনোনীত |
Best Cinematography | Lee Mo-gae | বিজয়ী | |
সেরা শিল্পনির্দেশক | ছো হোয়া-সং | মনোনীত | |
সেরা সঙ্গীত | মোগ | বিজয়ী | |
কারিগরি পুরস্কার | চং তো-আন, লি হ্যুই-গিয়ং (স্পেশাল ইফেক্ট) |
মনোনীত | |
পেকসাং শিল্প পুরস্কার | গ্রান্ড প্রাইজ (তেসাং) | লি পিয়ং-হন | বিজয়ী |
সেরা অভিনেতা | মনোনীত | ||
ব্রাসেলস আন্তর্জাতিক কল্পনামূলক চলচ্চিত্র উৎসব | স্বর্ণ বায়স | আই স দ্য ডেভিল | বিজয়ী |
মধ্য ওহাইও চলচ্চিত্র সমালোচক সংস্থা | সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | মনোনীত | |
ফ্যানগোরিয়া চেইন স পুরস্কার | সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | মনোনীত | |
সেরা অভিনেতা | ছোয়ে মিন-শিক | মনোনীত | |
ফ্যান্টাস্পোর্টো চলচ্চিত্র উৎসব | সেরা চলচ্চিত্র | আই স দ্য ডেভিল | বিজয়ী |
সেরা পরিচালক | কিম চি-উন | বিজয়ী | |
ফ্রাইট মেটার পুরস্কার | সেরা লোমহর্ষক চলচ্চিত্র | আই স দ্য ডেভিল | মনোনীত |
সেরা পরিচালক | কিম চি-উন | বিজয়ী | |
৪৭তম তেজং চলচ্চিত্র পুরস্কার | সেরা চলচ্চিত্র | আই স দ্য ডেভিল | মনোনীত |
সেরা অভিনেতা | লি পিয়ং-হন | মনোনীত | |
সেরা অভিনেতা | ছোয়ে মিন-শিক | মনোনীত | |
সেরা চিত্রগ্রাহক | লি মো-গে | মনোনীত | |
সেরা আলোকসম্পাত | ও স্যুং-ছন | বিজয়ী | |
সেরা পোশাক পরিকল্পনা | কোয়ন ইউ-জিন | মনোনীত | |
জেরার্মে চলচ্চিত্র উৎসব | দর্শক পুরস্কার | আই স দ্য ডেভিল | বিজয়ী |
সমালোচক পুরস্কার | কিন চি-উন | বিজয়ী | |
বিশেষ জুরি পুরস্কার | কিন চি-উন | বিজয়ী | |
ইউথ জুরি গ্রান্ড প্রাইজ | আই স দ্য ডেভিল | বিজয়ী | |
হিউস্টন চলচ্চিত্র সমালোচক সংস্থা পুরস্কার ২০১১ | সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | বিজয়ী | |
স্ক্রিম পুরস্কার ২০১১ | সেরা লোমহর্ষক চলচ্চিত্র | মনোনীত | |
সেরা খলনায়ক | ছোয়ে মিন-শিক | মনোনীত | |
সেরা স্বাধীন চলচ্চিত্র | কিম চি-উন | মনোনীত | |
সেইন্ট লুই চলচ্চিত্র সমালোচক সংস্থা পুরস্কার | সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | আই স দ্য ডেভিল | মনোনীত |
ওয়াশিংটন ডি.সি. এলাকা চলচ্চিত্র সমালোচক সংস্থা পুরস্কার ২০১১ | সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | মনোনীত |
চলচ্চিত্রটি তিন ডিস্কের ডিভিডি হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ায় মুক্তি পায়, যার মধ্যে কোরিয়ার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত সংস্করণ ও আন্তর্জাতিক সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১৫] ২০১১ সালের ১০ মে তারিখে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ডিভিডি সংস্করণ মুক্তি পায়।[১৬]
|archive-url=
এবং |আর্কাইভের-ইউআরএল=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য); একের অধিক |archive-date=
এবং |আর্কাইভের-তারিখ=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য); একের অধিক |url-status=
এবং |ইউআরএল-অবস্থা=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)