জেমস পি. অ্যালিসন | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | আমেরিকান |
মাতৃশিক্ষায়তন | টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সাস |
পরিচিতির কারণ | ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়ানো সংক্রান্ত গবেষণা |
দাম্পত্য সঙ্গী | পদ্মমনি শর্মা, এমডি, পিএইচডি[১] |
পুরস্কার | ব্রেকথ্রু পুরস্কার, লাইফ সায়েন্স (২০১৪) ট্যাঙ পুরস্কার (২০১৪)[২] লুইসা গ্রোস হরউইটজ পুরস্কার (২০১৪) হারভে পুরস্কার (২০১৪) গারিদনার ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার (২০১৪) লাস্কের-ডিবাকে ক্লিনিক্যাল মেডিক্যাল রিসার্চ পুরস্কার (২০১৫)[৩] ওল্ফ পুরস্কার (২০১৭) বালজান পুরস্কার (রবার্ট ডি. স্ক্রিবারের সাথে যুগ্নভাবে, ২০১৭) দ্য সজোবার্গ পুরস্কার (এন্থনি আর. হান্টার) কিং ফয়সাল ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার (২০১৮) আলবেনি মেডিক্যাল সেন্টার পুরস্কার (২০১৮) ড. পল জ্যাবসেন এওয়ার্ড ফর বাইওমেডিক্যাল রিসার্চ (২০১৮)[৪] চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল (২০১৮) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | অনাক্রম্যবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | এম.ডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার ক্যালফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | জি. ব্যারি কিটো |
জেমস পি অ্যালিসন (জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৪৮)[৫] একজন মার্কিন অনাক্রম্যবিজ্ঞানী। তিনি এম. ডি. অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারের অনাক্রম্যচিকিৎসার কার্যনির্বাহী সম্পাদক এবং অনাক্রম্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও অধ্যক্ষ। তার আবিষ্কার প্রাণঘাতী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে নব চিকিৎসার সুচনা করে। তিনি ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিউট বিজ্ঞান পরিষদ কাউন্সিলের পরিচালক। তিনি প্রথম টি-কোষ এন্টিজেন রিসেপ্টর কমপ্লেক্স প্রোটিনকে পৃথক করেন।[৬] তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ তে তাসাকু হনজো এর সাথে যুগ্নভাবে যথাক্রমে ঔষুধপ্রস্তুত বিজ্ঞানে ট্যাঙ পুরস্কার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।[৭][৮]
তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট জেমস অ্যালিসন ৭ আগস্ট ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আলবার্ট ও কন্সট্যান্স অ্যালিসনের সন্তান। ৮ম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় তার গণিত শিক্ষককে দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন। তখনি সিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানের দুনিয়াতেই নিজের পেশা বাছাই করবেন।[৯] ১৯৬৯ সালে অ্যালিসন অণুজীববিজ্ঞান শাস্ত্রে বিজ্ঞানে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। সেখানে তিনি ডেল্টা কাপ্পা এপসিলন ভ্রাতৃসঙ্ঘের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি জীববিজ্ঞানের উপর ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন। তার ডক্টরাল উপদেষ্টা ছিলেন জি. ব্যারি কিটো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার রিসার্চ পরীক্ষাগারের প্রধান এবং অনাক্রম্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৪ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক শহরের মেমরিয়াল স্লোন কেটারিনফ ক্যান্সার সেন্টারে চলে যায় এবং লুডউইগ সেন্টার ফর ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপির পরিচালক ও অনাক্রম্যবিজ্ঞান কর্মসূচির প্রধান হন। তিনি ২০১২ সাল পর্যন্ত হাওয়ার্ড হিউজ মেডিক্যাল ইন্সটিউটের তদন্তকারী ছিলেন এবং এরপর এম. ডি. অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারে ২০১২ সালেই যোগদান করেন। তিনি এম. ডি. অ্যান্ডারসনে অনাক্রম্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।[১০]
তিনি মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি ও মার্কিন চিকিৎসাবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সদস্য এবং মার্কিন অণুজীববিজ্ঞান অ্যাকাডেমি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি জন্য মার্কিন সংস্থার বিশিষ্ট সভ্য (ফেলো)। তিনি মার্কিন ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পর্ষদের পরিচালক। পূর্বে তিনি মার্কিন অনাক্রম্যবিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০১১ সালে অ্যালিসন জৈবপ্রযুক্তি এবং ঔষধী বিভাগ থেকে জ্যাকব হেসকেল গ্যাবে পুরস্কার [১১] এবং মার্কিন অনাক্রম্যবিজ্ঞানী সংঘ সমগ্র জীবনের অর্জনের জন্য সম্মানসূচক পুরস্কার পান।[১২] ২০১৩ সালে তিনি যুগ্নভাবে নোভার্টিস পুরস্কার পান। ২০১৪ সালে তিনি জৈব ওষুধ বিভাগ থেকে তাসুকু হনজোর সাথে যুগ্নভাবে ট্যাং পুরস্কার পান। তিনি ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ থেকে ক্যান্সার গবেষণায় অবদানের জন্য নবম বার্ষিক সেন্ট গ্রিওরী পুরস্কার পান। ৩ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ব্রেকথ্রু প্রাইজ ইন লাইভ সায়েন্স পান, অর্জন করেন কানাডা গাইরডনার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার অর্জন করেন।[১৩]
অ্যালিসন এমডি এন্ডারসনে তার সহকর্মী পদ্মমনি শর্মাকে বিবাহ করেন। অ্যালিসনের মা তাঁর ১১ বছর বয়সে লিম্ফোমাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং তার ভাই ২০০৫ সালে প্রস্থিতগ্রন্থির কর্কটরোগে (প্রস্টেট ক্যান্সার) মারা যান। তিনি "চেকপয়েন্ট" নামক অনাক্রম্যবিজ্ঞানী ও অর্বুদবিজ্ঞানী দ্বারা গঠিত ব্যান্ডে হারমোনিকা বাজান। তিনি চেকমেট নামক স্থানীয় ব্যান্ডেও এই বাদ্যযন্ত্রটি বাজান।[১]