ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পাবলো হাভিয়ের জাবালেতা হিরোদ[১] | |||||||||||||
জন্ম | ১৬ জানুয়ারি ১৯৮৫ | |||||||||||||
জন্ম স্থান | বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা | |||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৬ মিটার (৫ ফুট ৯+১⁄২ ইঞ্চি)[২] | |||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ফুল ব্যাক | |||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | ||||||||||||||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার সিটি | |||||||||||||
জার্সি নম্বর | ৫ | |||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||
১৯৯৫–১৯৯৭ | ওব্রাস সানিতারিয়াস | |||||||||||||
১৯৯৭–২০০২ | সান লরেঞ্জো | |||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||
২০০২–২০০৫ | সান লরেঞ্জো | ৬৬ | (৮) | |||||||||||
২০০৫–২০০৮ | এস্পানিওল | ৮০ | (৩) | |||||||||||
২০০৮– | ম্যানচেস্টার সিটি | ১৬৪ | (৭) | |||||||||||
জাতীয় দল‡ | ||||||||||||||
২০০৩–২০০৫ | আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২০ | ২৮ | (৪) | |||||||||||
২০০৮– | আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২৩ | ৯ | (০) | |||||||||||
২০০৫– | আর্জেন্টিনা | ৩৫ | (০) | |||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১১ মে ২০১৪ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২২ জুন ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
পাবলো হাভিয়ের জাবালেতা হিরোদ (স্পেনীয়: Pablo Javier Zabaleta Girod; জন্ম ১৬ জানুয়ারি ১৯৮৫) একজন আর্জেন্টাইন ফুটবলার, যিনি রাইট ব্যাক হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলে খেলেন। জাবালেতা উভয় দলের হয়েই ফুল ব্যাক হিসেবে খেলেন এবং মাঠে নিজের অনমনীয় খেলার ধরনের কারণে সুপরিচিত।
জাবালেতার জন্ম আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ক্লাব আতলেতিকো সান লরেঞ্জো দেল আলমাগ্রোতে। ২০০২ সালে তিনি দলের যুব একাডেমী থেকে বের হন। ১২ বছর বয়সে তিনি স্থানীয় ক্লাব অব্রাস সানিতারিয়াসের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে শুরু করলেও, পরবর্তীতে তিনি মাঝমাঠের ডান পার্শ্বে চলে যান।
২০০৫ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপরই তিনি ৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে যোগ দেন এস্পানিওলে।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে, জাবালেতা কাঁধের ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। ফলে তাকে প্রায় তিন মাস মাঠের বাহিরে থাকতে হয়। অবশ্য ততদিনে তিনি নিজেকে প্রথম একাদশের একজন নিয়মিত সদস্যে পরিণত করেন।
২০০৮ সালের গ্রীষ্মে জুভেন্টাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জাবালেতা যোগ দেন প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটিতে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ম্যানচেস্টার সিটির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা অসম্ভব।”[৩] মেডিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট জাবালেতা সিটির সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সিটিতে জাবালেতার যোগদানের পরের দিনই আবু ধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ ক্লাবটিকে কিনে নেয়।
২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, ম্যানচেস্টার সিটিতে জাবালেতার অভিষেক হয়। সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে চেলসির বিপক্ষে ঐ খেলায় সিটি ১–৩ গোলে পরাজিত হয়।[৪] ৫ অক্টোবর, লিভারপুলের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে নিজের চতুর্থ খেলায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জাবালেতাকে। ঐ খেলায় সিটি ২–৩ গোলে পরাজিত হয়।[৪] ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি, সিটির হয়ে প্রথম গোল করেন জাবালেতা। তার একমাত্র গোলেই উইগান অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে জয় লাভ করে সিটি।[৫]
২০১০ সালের ২১ নভেম্বর, ফুলহামের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৪–১ গোলে জয়ের খেলায় জাবালেতা একটি গোল করেন যা প্রিমিয়ার লিগে তার দ্বিতীয় গোল। ঐ খেলায় তিনি কার্লোস তেবেসের একটি গোলে সহায়তাও করেন।[৬]
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি, সিটির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় নিজের ১০০তম খেলায় বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জাবালেতা। ব্ল্যাকপুলের বিপক্ষে ঐ খেলায় সিটি ১–০ গোলে জয় লাভ করে। ১৫ জানুয়ারি, উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে জাবালেতা একটি গোলে সহায়তা করেন। খেলায় ৪–৩ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে সিটি।[৭] এই জয়ের ফলে লিগে শীর্ষস্থানে উঠে আসে সিটি। অবশ্য ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে ফর্মহীনতার কারণে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
২০১১ সালের ১ মে, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে সিটির হয়ে জয়সূচক গোল করেন জাবালেতা। এটি ছিল মৌসুমে তার দ্বিতীয় গোল এবং এই জয়ের ফলে চতুর্থ স্থান লাভের দৌড়ে লিভারপুল এবং টটেনহ্যামের চেয়ে সাত পয়েন্ট এগিয়ে যায় সিটিজেনরা।[৮]
২০১১ সালের ১৪ মে, এফএ কাপের ফাইনালে খেলায় ৮৮তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন জাবালেতা। স্টোক সিটিকে ১–০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ম্যানচেস্টার সিটি।[৯]
২০১১ সালের গ্রীষ্মে, প্রকাশিত হয় যে ফরাসি ক্লাব রোমা জাবালেতার সাথে চুক্তি করতে আগ্রহী। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় যে জাবালেতা বিক্রয়ের জন্য নয়।[১০] ২০১১ সালের জুলাইয়ে, জাবালেতা সিটির সাথে তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করে।[১১] ২০১১ সালের ১ অক্টোবর, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে তিনি পুরো ৯০ মিনিট খেলেন এবং ম্যানচেস্টার সিটি ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। ২৩ অক্টোবর, নগর প্রতিদ্বন্দী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিটিজেনদের ১–৬ গোলে জয়ের খেলায় মিকাহ্ রিচার্ডসের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জাবালেতা।[১২]
২০১১ সালের নভেম্বরে, জাবালেতা সিটির সাথে তার চুক্তির মেয়াদ ২০১৫ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত বাড়িয়ে নেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি খুব ভাল একটি দলে আছি, এবং আমি ক্লাব, দল এবং সমর্থকদের জন্য আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা করিনি, খুব দ্রুতই উত্তর দিয়েছি কারণ আমি চুক্তি করতে খুবই আগ্রহী ছিলাম।”[১৩][১৪]
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল, ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট খেলেন জাবালেতা খেলায় ম্যানচেস্টার সিটি ১–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। মৌসুমের শেষ খেলায় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩–২ গোলের নাটকীয় জয় পায় সিটি। সিটির পক্ষে প্রথম গোলটি করেন জাবালেতা। এই জয়ের ফলে ১৯৬৮ সালের পর প্রথম বারের মত প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে ম্যানচেস্টার সিটি।[১৫]
ডিসেম্বর ২০১২[১৬] এবং জানুয়ারি ২০১৩[১৭] উভয় মাসের জন্যই ম্যানচেস্টার সিটির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন জাবালেতা। এছাড়া জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভিনসেন্ট কোম্পানির ইনজুরির সময় তিনি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।[১৮] ২০১২–১৩ মৌসুমের পিএফএ বর্ষসেরা দলে জায়গা করে নেয়া ম্যানচেস্টার সিটির একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন জাবালেতা।[১৯]
২০১৩ এফএ কাপের ফাইনালে, খেলার ৮৪তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জাবালেতাকে। খেলায় উইগান ১–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। ফলে শিরোপা হাতছাড়া হয় সিটিজেনদের।[২০]
একটি দূর্দান্ত মৌসুম কাটানোর পর জাবালেতা ২০১২/১৩ ইতিহাদ ম্যানচেস্টার সিটি এফসি বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।[২১][২২]
১৪ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পান জাবালেতা। তিনি অসংখ্য যুব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে রয়েছে ২০০৩ এবং ২০০৫ সালের ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ২০০৫ সালের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় অর্জেন্টিনা। যুব দলগুলোর হয়ে ৭৫টি খেলায় মাঠে নামেন জাবালেতা এবং ২০০৫ সাল থেকে সিনিয়র দলের হয়ে খেলছেন তিনি। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ফুটবলে স্বর্ণপদক জয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। অবশ্য ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য দিয়েগো মারাদোনার ঘোষিত আর্জেন্টিনা দলে তিনি ছিলেন না। তবে বর্তমানে তিনি নিজেকে দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত করেছেন। ২০১১ সালের ১ জুন, নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায় জাবালেতা প্রথম বারের মত আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।[২৩]
জাবালেতার জন্ম আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে। শৈশবে তার বাবা জর্জ তাকে ফুটবলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তার বয়স যখন ১৫ তখন তার মা মারা যান।[২৪] জাবালেতার বুকে তার মা’র নাম লেখা একটি ট্যাটু আছে।[২৫]
২০১১ সালে, জাবালেতার বাবা আর্জেন্টিনায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ফলে ম্যানচেস্টার সিটি জাবালেতাকে অনির্দিষ্ট কালের ছুটি প্রদান করে।
১১ মে ২০১৪ অনুসারে।
ক্লাব | মৌসুম | লিগ | ঘরোয়া কাপ[২৬] | আন্তর্জাতিক কাপ[২৭] | মোট | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||||||||||
সান লরেঞ্জো | ২০০২–০৩ | ১১ | ০ | ০ | ০ | - | - | - | - | ১ | ০ | ১ | ০ | ১২ | ০ | ১ | ০ |
২০০২–০৪ | ২৭ | ৩ | ৫ | ০ | - | - | - | - | ৩ | ০ | ১ | ০ | ৩০ | ৩ | ৬ | ০ | |
২০০৪–০৫ | ২৮ | ৫ | ৩ | ০ | - | - | - | - | ৯ | ০ | ৩ | ০ | ৩৭ | ৫ | ৬ | ০ | |
মোট | ৬৬ | ৮ | ৮ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ | ১৩ | ০ | ৫ | ০ | ৭৯ | ৮ | ১৩ | ০ | |
এস্পানিওল | ২০০৫–০৬ | ২৭ | ২ | ৭ | ০ | ৫ | ০ | ২ | ০ | ৭ | ০ | ১ | ০ | ৩৯ | ২ | ১০ | ০ |
২০০৬–০৭ | ২০ | ০ | ৭ | ০ | ৩ | ০ | ১ | ০ | ৯ | ০ | ৫ | ০ | ৩২ | ০ | ১৩ | ০ | |
২০০৭–০৮ | ৩২ | ১ | ১৪ | ১ | ৪ | ০ | ০ | ০ | - | - | - | - | ৩৬ | ১ | ১৪ | ১ | |
মোট | ৭৯ | ৩ | ২৮ | ১ | ১২ | ০ | ৩ | ০ | ১৬ | ০ | ৬ | ০ | ১০৭ | ৩ | ৩৭ | ১ | |
ম্যানচেস্টার সিটি | ২০০৮–০৯ | ২৮ | ১ | ৩ | ১ | ২ | ০ | ০ | ০ | ১১ | ০ | ২ | ০ | ৪১ | ১ | ৫ | ১ |
২০০৯–১০ | ২৭ | ০ | ৯ | ১ | ৮ | ১ | ২ | ০ | - | - | - | - | ৩৫ | ১ | ১১ | ১ | |
২০১০–১১ | ২৬ | ২ | ৮ | ১ | ৮ | ০ | ১ | ০ | ১১ | ০ | ১ | ০ | ৪৫ | ২ | ১০ | ১ | |
২০১১–১২ | ২২ | ১ | ৫ | ০ | ৫ | ০ | ০ | ০ | ৫ | ০ | ১ | ০ | ৩২ | ১ | ৬ | ০ | |
২০১২–১৩ | ৩০ | ২ | ৩ | ০ | ১ | ০ | ০ | ০ | ৫ | ০ | ১ | ০ | ৩৭ | ৩ | ৪ | ০ | |
২০১৩-১৪ | ৩১ | ১ | ৪ | ০ | ৭ | ০ | ০ | ০ | ৬ | ০ | ২ | ০ | ৪৪ | ১ | ৬ | ০ | |
মোট | ১৬৪ | ৭ | ৩২ | ৩ | ৩১ | ১ | ৩ | ০ | ৩৮ | ০ | ৮ | ০ | ২৩৩ | ৯ | ৪৩ | ৩ | |
কর্মজীবনে সর্বমোট | ৩০৯ | ১৯ | ৬২ | ৪ | ৪২ | ১ | ৬ | ০ | ৫৯ | ০ | ১৫ | ০ | ৪১০ | ২০ | ৯৩ | ৪ |
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) (পিডিএফ)। The Football Association। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
|তারিখ=
(সাহায্য)