জন গুডএনাফ | |
---|---|
জন্ম | জন ব্যানিস্টার গুডএনাফ ২৫ জুলাই ১৯২২ ইয়েনা, জার্মানি |
মৃত্যু | জুন ২৫, ২০২৩ | (বয়স ১০০)
জাতীয়তা | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নে অবদান, গুডএনাফ-কানামুরি বিধি |
পুরস্কার | জাপান পুরস্কার (2001) এনরিকো ফার্মি অ্যাওয়ার্ড (2009) ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স (2011) চার্লস স্টার্ক ড্রেপার পুরস্কার (2014) ওয়েল্ক অ্যাওয়ার্ড (2017) কপলি পদক (2019) রসায়নবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (2019) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | ক্লারেন্স জেনার |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | উইলিয়াম আই. এফ. ডেভিড (ডক্টরোত্তর)[১] |
জন ব্যানিস্টার গুডএনাফ (জন্ম ২৫ জুলাই ১৯২২)[২] হলেন একজন আমেরিকান অধ্যাপক ও কঠিন অবস্থা নিয়ে কাজ করা পদার্থবিদ। বর্তমানে তিনি অস্টিনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এর যান্ত্রিক প্রকৌশল ও ম্যাটারিয়াল সায়েন্স বিভাগের একজন অধ্যাপক। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি বেশ সুপরিচিত, যেটি তাকে ২০১৯ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে সবচেয়ে এম. স্ট্যানলি হুইটিংহ্যাম ও আকিরা ইয়োশিনো এর সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেতে সহায়তা করে। উল্লেখ্য, গুডএনাফ ই বর্তমানে বয়োজ্যেষ্ঠ নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নে কাজ করায় ২০১৪ সালে চার্লস স্টার্ক ড্রেপার পুরস্কার অর্জন করেন।[৩]
জন গুডএনাফ ১৯২২ সালের ২৫ জুলাই জার্মানির জেনাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আরওয়িন রামসডেল গুডএনাফ (১৮৯৩-১৯৬৫) ও মায়ের নাম হেলেন মেরিয়াম গুডএনাফ। তার জন্মের সময় হার্ভার্ড ডাইভিনিটি স্কুলে পিএইচডিতে পড়ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি ইয়েল এর ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত হন। ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার নৃতাত্ত্বিক বিভাগের ওয়ার্ড গুডএনাফের ছোট ভাই জন গুডএনাফ।[৪]. জন গুডএনাফ ১৯৪৪ সালে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে থেকে গণিতে বি.এস ডিগ্রি লাভ করেন,যখন তিনি করোটি ও হাড় বিভাগের একজন সদস্য ছিলেন।[৫] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীরতে আবহাওয়াবিদ হিসেবে কাজ করার পর[৬] তিনি পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি সম্পন্ন করতে ১৯৫২ সালে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে ফিরে আসেন। সেখানেই তিনি ক্লারেন্স জেনার এর তত্ত্বাবধানে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
গুডএনাফ তার প্রাথমিক ক্যারিয়ারে এমআইটির লিংকন ল্যাবরেটরিতে গবেষণা বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেন। সেইসময় তিনি RAM এর উন্নয়নকল্পে দলের একজন সদস্য হিসেবেও কাজ করেন। তার RAM নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ অরবিটাল অর্ডারিংয়ের সহযোগী ধারণা দেয়, যেটি জন-টেলার বিকৃতি নামে পরিচিত এবং অক্সাইড ম্যাটেরিয়াল ও চৌম্বক সাইন নিয়ে কাজ সুপারএক্সচেঞ্জ যা বর্তমানে গুডএনাফ-কানামুরি বিধি বা নিয়ম নামে পরিচিত।
১৯৭০ এর দশকের শেষ ও ১৯৮০ এর দশকের শুরুর দিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অজৈব রসায়ন ল্যাবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি LixCoO2 শনাক্তকরণ ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন। যেটি ক্যাথোড হিসেবে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসসমূহে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিও সনি তাদের প্রযুক্তির বাণিজ্যিক প্রসারে খুবই দায়িত্ববান, তবুও গুডএনাফকে মূল কাজ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি শনাক্ত ও উন্নয়নে সমাদৃত করেন। ২০০১ সালে রিচার্জেবল ব্যাটারির উন্নয়ন ও আবিষ্কারের জন্য তাকে জাপান পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
১৯৮৬ সাল হতে তিনি অস্টিনে অবস্থিত টেক্সাস ইউনিভার্সিটির ককরেল স্কুল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশল ও তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৭] এই সময়ে তিনি কঠিন ও তড়িৎরসায়নের ডিভাইসসমূহে আয়নিক পরিবাহিতা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি ও তার দল সেখানে থাকা অবস্থায় LixFePO4 আবিষ্কার করেন, যেটি কম খরচে মেশিন যন্ত্রপাতি ও হাইব্রিড বৈদ্যুতিক যানে নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে। তার দল ফুয়েল সেলের জন ইলেকট্রোড ও ইলেক্রোলাইট শনাক্ত করতেও সক্ষম হন। তিনি বর্তমানে ভার্জিনিয়া এইচ. ককরেল কনটেনিয়্যালে প্রকৌশল বিভাগে দায়িত্বরত আছেন।[৮][৯]
অধ্যাপক গুডএনাফ ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস, ফ্রেঞ্চ একাডেমি অব সায়েন্সেস এবং রিয়্যাল একাডেমিয়া ডি সিয়েনসিয়াস এক্সাকটেস (স্পেন) এর সদস্য। তিনি ৫৫০ এর অধিক নিবন্ধ, ৮৫ টি বুক চ্যাপ্টার, রিভিউ এবং পাঁচটি বইয়ের লেখক, যার মধ্যে রয়েছে চৌম্বকত্ব ও রাসায়নিক বন্ধন (১৯৬৩) এবং লেস অক্সাইডস মেটাক্স ডি ট্রানজিশন (১৯৭৩)। গুডএনাফ ২০০৯ সালে এনরিকো ফার্মি অ্যাওয়ার্ড এর ও একজন সহ-অভ্যর্থনাকারী। ২০১০ সালে তিনি রয়েল সোসাইটির ফরেন মেম্বার বা বিদেশী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[১০][১১]
২০১৯ সালে তিনি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নয়নে কাজ করায় রসায়নবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বর্তমানে তিনিই সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; cse2017-2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি